রাত ১১:৪৮ | বুধবার | ৬ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বিদ্যুৎ বিড়ম্বনায় বিক্ষুদ্ধ চুরখাইয়ের শতাধিক পরিবার

বিল্লাল হোসেন প্রান্তঃ

“ও মানিক কি বাত্তি জ্বালাইলি সবতো ফকফকা” ৮০ দশকের এই বিজ্ঞাপনটি এখন আর চলে না। কারণ এখন দেশ বিদ্যুতে স্বয়ংসম্পূর্ণ। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ বর্তমান সরকারের অঙ্গিকার। তবে ময়মনসিংহ চুরখাইয়ের একটি গ্রামে ফিলিপস লাইট লাগিয়েও আলোর দেখা মিলছে না।

 

 

খুটি  ছাড়া গাছের উপর দিয়ে একতারে টানা হয়েছে বিদ্যুতের লাইন। লো ভোল্টেজে জ্বলেনা লাইট, ঘুরে না ফ্যান। প্রতিমাসে বিল আসলেও বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছেনা ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চুরখাই মধ্যপাড়া বাগানবাড়ী এলাকার শতাধিক পরিবার।

 

 

কম ভোল্টেজের কারণে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম নষ্ট, তার পুড়ে যাওয়াসহ নানা বিড়ম্বনায় গ্রামবাসীকে প্রতিমাসেই গুনতে হচ্ছে মিস্ত্রি খরচ। দিনের বেলা যেনতেনভাবে চললেও রাতে কোন কাজই করেনা এ বিদুৎ লাইন। স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা বিদ্যুৎ লাইন থাকা সত্বেও হারিকেন, চার্জ লাইটের আলোয় পড়ালেখা করে। নিজেদের কষ্টের কথাগুলো অভিযোগ তুলেই জানাচ্ছিলেন ভুক্তভোগী গ্রামবাসী।

ভুক্তভোগী মনসুর বলেন, আমি গত মাসে ১৮৫ টাকা বিদুৎ বিল দিয়েছি। আমার ঘরে ২টি ফ্যান ২ টি লাইট আছে। কিন্তু লাইট, ফ্যান না চলেই এই বিল দিতে হচ্ছে। একই অভিযোগ করেন আলতাফ, সাত্তার আকন্দ। তারা আরও অভিযোগ করেন দিনের বেলা ফ্রিজ চলে না, রাতে চলে। এরকম সমস্যা নিয়েই দীর্ঘ ৬ বছর যাবৎ আমরা মধ্যপাড়া বাগানবাড়ী এলাকার মানুষ দিন পার করছি।

 

 

একই গ্রামের সুরুজ আলী বলেন, এখানে বিদ্যুতের লাইন নিতে আমাদের টাকায় তার, খুটি কিনা হয়েছে। লাইন প্রতি ৬-৭ হাজার টাকা করে নিয়েছে বিদ্যুতের লোক। দিয়েছে একটি করে মিটার। বিদুৎ ব্যবহার না করেও বিল দিতে হচ্ছে আমাদের।

 

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ময়মনসিংহ পিডিপি ডিভিশন-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী ইন্দ্রজিৎ বলেন, আগামী জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে ওই এলাকার বিদ্যুতের কোন সমস্যাই থাকবে না। নতুন লাইনের জন্য একটি প্রজেক্ট ধরা হয়েছে। জানুয়ারি ফেব্রুয়ারিতে কাজ ধরা হবে। কোন প্রকারের লো ইস্ট্যান্ডার্ড থাকবে না।

Print Friendly, PDF & Email

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ খবর



» লেঃ কর্ণেল (অবঃ)নজরুল ইসলামের হস্তক্ষেপে দীর্ঘদিনের জমি সংক্রান্ত বিরোধের অবসান

» ময়মনসিংহ-৪ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মোহিত উর রহমান শান্ত

» আবারও জাপাকে দিলে জনগনের আস্থা হারাবে আওয়ামী লীগ

» ময়মনসিংহ-৪ আসনে মনোনয়ন কিনেছেন মহানগর সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্ত

» জনসভায় জনসমুদ্র ; সদরের প্রত্যাশা মোহিত উর রহমান শান্ত

» সংবিধান মেনে নির্বাচনে আসেন, আমরাও আসবো-বিএনপিকে মোহিত উর রহমান শান্ত

» প্রতীকী অটোরিকশা চালিয়ে অবরোধের বিরুদ্ধে মোহিত উর রহমান শান্তর প্রতিবাদ

» টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা নিবেদন

» বঙ্গবন্ধুকে বাঁচিয়ে রেখেছেন শেখ হাসিনা-মোহিত উর রহমান শান্ত

» ময়মনসিংহ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষনা

» ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তারুণ্যের জয়যাত্রা

» ময়মনসিংহের বুক ফাটে মুখ ফোটেনা হতভাগা সদর-৪ শেখ হাসিনার দিকে তাকিয়ে

» অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া মাহফিল

» অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের প্রথম নামাজে জানাজায় লাখো জনতার ঢল; প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধাঞ্জলি

» ময়মনসিংহ রাজনীতির প্রিন্সিপাল বঙ্গবন্ধুর মতিমালা আর নেই

আমাদের সঙ্গী হোন

যোগাযোগ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় –

২২ সি কে ঘোষ রোড, ময়মনসিংহ
বার্তা কক্ষ : ০১৭৩৬ ৫১৪ ৮৭২
ইমেইল : dailyjonomot@gmail.com

© সর্বস্বত্ব স্বাত্বাধিকার দৈনিক জনমত .কম

কারিগরি সহযোগিতায় BDiTZone.com

,

basic-bank

বিদ্যুৎ বিড়ম্বনায় বিক্ষুদ্ধ চুরখাইয়ের শতাধিক পরিবার

বিল্লাল হোসেন প্রান্তঃ

“ও মানিক কি বাত্তি জ্বালাইলি সবতো ফকফকা” ৮০ দশকের এই বিজ্ঞাপনটি এখন আর চলে না। কারণ এখন দেশ বিদ্যুতে স্বয়ংসম্পূর্ণ। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ বর্তমান সরকারের অঙ্গিকার। তবে ময়মনসিংহ চুরখাইয়ের একটি গ্রামে ফিলিপস লাইট লাগিয়েও আলোর দেখা মিলছে না।

 

 

খুটি  ছাড়া গাছের উপর দিয়ে একতারে টানা হয়েছে বিদ্যুতের লাইন। লো ভোল্টেজে জ্বলেনা লাইট, ঘুরে না ফ্যান। প্রতিমাসে বিল আসলেও বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছেনা ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চুরখাই মধ্যপাড়া বাগানবাড়ী এলাকার শতাধিক পরিবার।

 

 

কম ভোল্টেজের কারণে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম নষ্ট, তার পুড়ে যাওয়াসহ নানা বিড়ম্বনায় গ্রামবাসীকে প্রতিমাসেই গুনতে হচ্ছে মিস্ত্রি খরচ। দিনের বেলা যেনতেনভাবে চললেও রাতে কোন কাজই করেনা এ বিদুৎ লাইন। স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা বিদ্যুৎ লাইন থাকা সত্বেও হারিকেন, চার্জ লাইটের আলোয় পড়ালেখা করে। নিজেদের কষ্টের কথাগুলো অভিযোগ তুলেই জানাচ্ছিলেন ভুক্তভোগী গ্রামবাসী।

ভুক্তভোগী মনসুর বলেন, আমি গত মাসে ১৮৫ টাকা বিদুৎ বিল দিয়েছি। আমার ঘরে ২টি ফ্যান ২ টি লাইট আছে। কিন্তু লাইট, ফ্যান না চলেই এই বিল দিতে হচ্ছে। একই অভিযোগ করেন আলতাফ, সাত্তার আকন্দ। তারা আরও অভিযোগ করেন দিনের বেলা ফ্রিজ চলে না, রাতে চলে। এরকম সমস্যা নিয়েই দীর্ঘ ৬ বছর যাবৎ আমরা মধ্যপাড়া বাগানবাড়ী এলাকার মানুষ দিন পার করছি।

 

 

একই গ্রামের সুরুজ আলী বলেন, এখানে বিদ্যুতের লাইন নিতে আমাদের টাকায় তার, খুটি কিনা হয়েছে। লাইন প্রতি ৬-৭ হাজার টাকা করে নিয়েছে বিদ্যুতের লোক। দিয়েছে একটি করে মিটার। বিদুৎ ব্যবহার না করেও বিল দিতে হচ্ছে আমাদের।

 

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ময়মনসিংহ পিডিপি ডিভিশন-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী ইন্দ্রজিৎ বলেন, আগামী জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে ওই এলাকার বিদ্যুতের কোন সমস্যাই থাকবে না। নতুন লাইনের জন্য একটি প্রজেক্ট ধরা হয়েছে। জানুয়ারি ফেব্রুয়ারিতে কাজ ধরা হবে। কোন প্রকারের লো ইস্ট্যান্ডার্ড থাকবে না।

Print Friendly, PDF & Email

সর্বশেষ খবর



এ বিভাগের অন্যান্য খবর



আমাদের সঙ্গী হোন

যোগাযোগ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় –

২২ সি কে ঘোষ রোড, ময়মনসিংহ
বার্তা কক্ষ : ০১৭৩৬ ৫১৪ ৮৭২
ইমেইল : dailyjonomot@gmail.com

© সর্বস্বত্ব স্বাত্বাধিকার দৈনিক জনমত .কম

কারিগরি সহযোগিতায় BDiTZone.com