জনমত ডেক্সঃ
ফেসবুকে ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে হুমকি ও পরবর্তীতে বাকবিতণ্ডা,হাতাহাতি ঘটনা ঘটে। এঘটনায় এক যুবক আহতও হয়। পরে এটি থানা পুলিশ পর্যন্ত গড়ায়। কিন্তু এ ঘটনাকে ভিন্নদিকে প্রবাহিত করতে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে রাজাকার ও তার ছেলেকে শিবিরের সন্ত্রাসী বলে স্থানীয় ছাত্রলীগকে উসকে দেয়ার পায়তারা হয়েছে। অন্যদিকে মুক্তিযোদ্ধের সনদ বা কোন স্বীকৃতি না থাকলেও মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়েছে একটি পক্ষকে। যা নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ব্যাপক বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

হায়দার আলীর দেয়া ট্যাটাসের কপি
ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার বিসকা ইউনিয়নের আমশোলা গ্রামে। এ নিয়ে দেশের প্রথম সারির একটি দৈনিকে “তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাংবাদিককে পিটুনি” শিরোনামে খবর প্রকাশ করা হয়েছে। যাতে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে উদ্দেশ্যমূলক সংবাদ প্রকাশ হয়েছে বলে দাবি করেছেন হয়রানির শিকার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম।

মুক্তিযুদ্ধের সনদ
মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম অভিযোগ একটি পত্রিকার নাম উল্লেখ করে বলেন,”একতরফাভাবে আমাদের কোন বক্তব্য ছাড়া মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে উদ্দেশ্যপ্রনোদীত সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে।” নিউজে আমাকে ও আমার পরিবারকে হেয়প্রতিপন্ন করা হয়েছে। “আমাজাদ হোসেন ও তার ছেলে নেসারের পক্ষ নিয়ে মিথ্যা ঘটনাকে সত্য বলে রূপ দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক বলে মনে করেন তিনি। এক্ষেত্রে পত্রিকার একজন সাংবাদিককে তিনি দায়ি করেছেন।
তিনি আরও বলেন, পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করার সাথে সাথে উদ্দেশ্যমূলকভাবে “আমাকে রাজাকার ও আমার ছেলেকে শিবিরের সন্ত্রাসী” উল্লেখ করে ফেসবুক ট্যাটাস দিয়েছে ওই পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার হায়দার আলী নামের একজন সাংবাদিক। যা আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে মেনে নিতে পারছিনা।
তিনি বলেন, আমার গ্রামের আমজাদ হোসেনের সাথে পারিবারিকভাবে একটি ঝামেলা চলছে দীর্ঘদিন ধরে। এরই জের ধরে আমজাদ হোসেনের ছেলে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যার প্রতিফল ঘটেছে পত্রিকায় খবর প্রকাশের মাধ্যমে।

নেসারের দেয়া হুমকির কপি
মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম বলেন, আমার ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন বিএসসিতে পড়ালেখা করছে। সে ছাত্রলীগের একজন সক্রীয় কর্মী হিসাবে কাজ করে আসছে।আমার ছেলে ও নাতিকে মোবাইল ফোনের ম্যাসেঞ্জারে আমজাদ হোসেনের ছেলে শাহরিয়ার নেসার মেরে ফেলার হুমকি দেয়।বাড়িঘর পুড়িয়ে ফেলারও হুমকি দেয়। এ নিয়ে কথা কটাকাটির জেরে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। যা তারা পরে হামলা ও আহত হওয়ার মিথ্যা ঘটনা সাজায়। যা পত্রিকাটি সম্পূর্ন পাশ কাটিয়ে অপপ্রচার চালিয়েছে। তিনি এ প্রতিবেদনের তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানান।
তিনি অবিলম্বে এ খবরের সংশোধন ও প্রতিবাদ দাবি করেছেন। অন্যথায় জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড কাউন্সিল ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড এর মাধ্যমে মিথ্যা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সমুচিত জবাব দেয়া হবে বলে জানান।
এ ঘটনা সরজমিনে জানতে বিসকা ইউনিয়নের আমশোলা গ্রামের আমজাদ হোসেনের সাথে কথা বলতে গিয়েও তার সাথে কথা বলা যায়নি। তবে আমজাদ হোসেনের ভাতিজা আব্দুল হাই মির্জা বলেন, পত্রিকায় প্রকাশিত খবরটির কোন দায়দায়িত্ব তাদের নয়।
এবিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড এর সভাপতি হুমায়ন রশিদ সোহাগ বলেন, তারাকান্দা উপজেলার বিসকা ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেমকে রাজাকার ও তার সন্তানকে শিবিরের সন্ত্রাসী অখ্যায়িত করায় এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একই সাথে সনদ বা কোন স্বীকৃতি ছাড়া একজন ব্যাক্তিকে মুক্তিযোদ্ধা ঘোষনা করে মিথ্যা অপপ্রচার করায় এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অনতিবিলম্বে এঘটনায় জড়িতরা ক্ষমা চেয়ে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ না দিলে, আমরা সাংগঠনিকভাবে প্রধানমন্ত্রী বরাবর বিচার প্রার্থনা করবো।