বিল্লাল হোসেন প্রান্তঃ
শীত আসলে গরীব অসহায় মানুষকে সরকারি-বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠান কম্বল দিয়ে থাকে। ময়মনসিংহেও এর ব্যাতিক্রম নয়। তবে ব্যতিক্রম ঘটালেন ময়মনসিংহ পুনাক সভানেত্রী মিসেস কানিজ আহমার। তিনি ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার মোহাঃ আহমার উজ্জামান এর স্ত্রী।
রেলওয়ে ষ্টেশনে ঘুমন্ত জাগ্রত গরীব, অসহায়, ছিন্নমূল মানুষগুলোর হাতে হাতে তুলে দিলেন শীতবস্ত্র। বয়স্ক, শিশুসহ সব বয়সীদের জন্য মাপ মিলিয়ে নিজ হাতে সুয়েটার,জ্যাকেট, বিতরণ করেছেন পুনাক সভানেত্রী। যে শীতবস্ত্রগুলো সত্যিই শীতার্ত মানুষগুলোকে উষ্ণতা দিবে। যাদের সামর্থ হয়না একটি শীতের পোষাক কিনার। নতুন একটি সুয়েটার হাতে পেয়ে অসহায় মানুষগুলোর চোখ অনেকটাই আঁটকে ছিলো মিসেস কানিজ আহমারের দিকে।
গরীব অসহায়দের জন্য একটু সহায়তার হাতছানি সমাজের সাবলম্বি ও প্রতিষ্ঠিতরা দিতেই পারেন। তবে ময়মনসিংহে সহায়তার নামে শোডাউনের যে কালচার তৈরি হয়েছে তা নিতান্তই হাস্যকর। কিছু মানুষ সহায়তার নামে রসিকতার নজির রেখেছেন। তীব্র শীতে ফেলফেল, পাতলা, আকারে এতটাই ছোট কম্বল বিতরণ করেছে। যা গরীব মানুষগুলো গায়ে দিবে কি, চাদর হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেনি। এটি চরম সমালোচনার জন্ম দিয়েছে সচেতন মহলে।
নাটকিয় কম্বল বিতরণ থেকে বেড়িয়ে আসলেন মিসেস আহমার। মাপ মিলিয়ে হাতে হাতে তুলে দিলেন শীতবস্ত্র। তার এই সচেতনতা ও উপলব্ধির দৃষ্টিকোনকে স্বাগত ও অভিনন্দন জানিয়েছে ময়মনসিংহের আপামর জনগণ। পুলিশ জনতার হবে এই অঙ্গিকারকে বাস্তবায়ন করতে এমন ব্যতিক্রম দৃষ্টিকোন খুবই জরুরি বাংলাদেশ পুলিশের জন্য।
শুক্রবার ১৭ জানুয়ারি রাতে ময়মনসিংহ ষ্টেশনে ময়মনসিংহ পুলিশ নারী কল্যান সমিতির সভানেত্রী মিসেস কানিজ আহমার এর উদ্যোগে ও জেলা পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান এর সহযোগিতায় রেল ভাসমান ছিন্নমুল শীতার্তদের মাঝে প্রায় আড়াইশ শীতবস্ত্র (সুয়েটার) বিতরন করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাফিজ,সদর সার্কেল আল আমিন, কোতোয়ালী ওসি মোঃ মাহমুদুল ইসলাম, ওসি ডিবি শাহ কামাল আকন্দ প্রমুখ। শীতবস্ত্র বিতরনে মায়ের সাথে ছিলেন পুলিশ সুপারের দুই পুত্র।