বিল্লাল হোসেন প্রান্তঃ
সারা দেশে যখন উপজেলা নির্বাচনের ডামাডোল বাজছে তখন ময়মনসিংহে সিটি করপোরেশন নিয়ে ঘুম হামার হয়েছে প্রার্থীতার হিরিকে। মেয়র পদে সেভাবে কোন উত্তাপ না থাকলেও কাউন্সিলর পদে ৩৩ ওয়ার্ডেই ইতিমধ্যে প্রার্থীতার কথা জানান দিচ্ছে অনেকেই।
নগরীর রাজনৈতিক সচেতন মহলের বলছে, এখানে সিরিয়াস সম্ভাবনাময়ী প্রার্থীরা একটু নিরব থাকলেও জদু মধুরা আটঘাট বেধেই মাঠে নেমেছে। পোস্টার আর ফেইসবুক সার প্রচারনায় চালাচ্ছেন নিরন্তর ওয়ার্ক। যাদের এলাকায় জনপ্রিয়তা দুরে থাক পরিচিতির বালাই নেই তারাও সটান হয়ে দাড়িয়ে পড়েছেন নির্বাচনের ময়দানে। চিহ্নত ছিনতাইকারী,চাঁদাবাজ,মাদক ব্যবসায়ী,অস্ত্রমামলার আসামীও রিতিমত পোষ্টার সাটিয়ে চায়ের দোকানে আলোচনার খোরাক হয়েছেন।
এক্ষেত্রে পূর্বের ২১ ওয়ার্ডের বাড়তি ১২ টি ওয়ার্ডেই প্রার্থীতার হিরিক পড়েছে গণহারে। ইতিমধ্যে প্রতি ওয়ার্ডে ডজনখানেক করে প্রার্থীতার খবর চাউর হয়েছে। আগে আসলে আগে পাবেন লটারি মাথায় রেখেই চলছে প্রার্থীর ছড়াছড়ি।
ময়মনসিংহ সিটি নির্বাচনের বিষয়ে সরকারের নিদিষ্ট কোন দিনখন এখনোও জানা যায়নি। তবে মহানগর ঘোষনার গ্যাজেট প্রকাশের পর গত ২ এপ্রিল ২০১৮ প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) সভায় নতুন এই সিটি করপোরেশন গঠনের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। সেমতে ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন দেয়ার বাধ্যবাদকতার একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা মাঠে রয়েছে। ৩৩ ওয়ার্ড নিয়ে সীমানা গ্যাজেট প্রকাশের পর থেকে কাউন্সিলর পদে প্রার্থীতার তোরজোর শুরু হয়।
তবে এতে রাজনৈতিক পদপদবীধারীরা যেমন সাড়া ফেলছে তেমনি গ্রহনযোগ্যতার বালাই নেই এমন লোকজনও প্রার্থীতা জানান দিচ্ছে। এক্ষেত্রে সাবেক ২১ ওয়ার্ডে কাউন্সিলরা একটু রয়েসয়েই স্টেপ নিচ্ছেন। বাড়তি ১২ ওয়ার্ডের সাবেক ইউনিয়নের মেম্বাররা প্রায় সকলেই এবার কাউন্সিলর প্রার্থী হচ্ছেন। তবে ময়মনসিংহ প্রথম সিটি নির্বাচনে মহানগর আওয়ামী লীগ ২১ ওয়ার্ড সভাপতি সাধারন সম্পাদকদের বেশিরভাগই অংশগ্রহন করতে যাচ্ছে এমন আভাস চলছে নগরীজুড়ে। এক্ষেত্রে রাজনৈতিকভাবে প্রার্থী বাছাই হলে মহানগর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে হতে পারে।