বিকাল ৪:০৫ | বৃহস্পতিবার | ১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইভিএমকে ভোট ডাকাত বললেন জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি নুরুজ্জামান খোকন

বিল্লাল হোসেন প্রান্ত ॥
“ব্যালটে চুরি করা যায়,আর ইভিএম এ করা যায় ডাকাতি….!(ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা)” সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ময়মনসিংহ জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি এডভোকেট এ বিএম নুরুজ্জামান খোকনের এমন স্ট্যাটাস রিতিমত তোলপাড় সৃষ্টি করেছে।

 

গত ৫ মে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএম পদ্বতিতে ভোটিং সম্পন্ন হয়েছে। ৭ মে মঙ্গলবার ৪ টা ৪৫ মিনিটে নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি নুরুজ্জামান খোকন স্ট্যাটাসটি আপলোড করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ২৫৫ লাইক,৭৪ কমেন্টস, ২৭ শেয়ার হয়েছে পড়েছে স্ট্যাটাসটিতে । আওয়ামী লীগ নেতার এমন স্ট্যাটাসে মন্তব্যের ঘরে আলোচনা সমালোচানা ঝড় চলছে পাল্টাপাল্টিভাবে।

মন্তব্যের ঘরে আমিনুল ইসলাম আমিনুল নামের একজন যা লিখেছেন- তা হুবহু তুলে ধরা হলো- ‘যিনি পরিচালনা করে যেকাউকে বিজয়ী করতে পারে’ “কতৃপক্ষ মেনেজ হলেই মিনিটে ৬০/৭০ ভোট মোবাইল বাটন যেভাবে টিপে ঐভাবে ৫০০ চাপ দিলে ভোট হয়ে যাবে। ৫৫% ভোটার হয়েছে ৪৫% বৃদ্ধ খড়া অন্দ প্রতিবন্দীর ভোট কে দিলো ঐ ইভিএম পরিচালক টাকার খেলা জনতা যাকে চেয়েছে সে জয়ী হয়নি ১০০% সত্য”।

 

কামরুল হাসান মন্তব্য করেছেন- “আমরা কিছু বললে সরকারের ইজ্জত থাকেনা আপনীতো হাড়ী ভেঙ্গে দিলেন”।

 

মির নাছের লিখেছেন- “আমি একটি কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসার ছিলাম। ঐ কেন্দ্রে শতভাগ সুষ্ঠু ভোট হয়েছে নিরানব্বই ভাগও না। যাক অন্য কোথাও ব্যাতিক্রম হলে হতেও পারে”।

 

মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার কবির মিটল লিখেছেন- “বড় ভাই একদম মনের কথাটা কইলা”।

 

শাওন খান লিখেছেন-“ভাই সরকারী দলের একটি শীর্ষ নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আপনার মুখে সরকার বিরোধী কথা বেমানান। মাফ করবেন আপনি সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছেন” এ মন্তব্যের প্রতিউত্তরে নুরুজ্জামান খোকন লিখেছেন-‘শাওন খান নুরুজ্জামান খোকন বড় বড় নেতাদের ভাবমূর্তি জন্ম দেয় ক্ষুন্ন করে না….”।

 

তপন ঘোষ নামেন একজন লিখেছন-“বিতর্কিত কথাবার্তা না বললে ভালো লাগে না?”।
সুমন হাবিব লিখেছেন-আমার অভিজ্ঞতা হচ্ছে ইভিএমে ১০০ ভাগ ফেয়ার নির্বাচন হয়! কারচুপির পরিমান শূণ্য”।

 

শেখ কামরুল ইসলাম কামরুল লিখেছেন-“বিএনপির মতো কথা বলেন কেন। দুইদিন পরে মনে হয় জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বলবেন”।

 

ফজলে রাব্বি লিখেছেন-“তাহলেতো চোরের চেয়ে ডাকাত হওয়াই ভাল”।

 

স্ট্যাটাসটিতে মন্তব্য করেছেন কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যাওয়া প্রার্থী ইলোরা পারভিন সম্পা, লিখেছেন-“আমিও ডাকাতির শিকার..৭,৮,ও ৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছি ভোট ডাকাতির কারনে। ভোট গণনার সময় নিজে যে বুথে ভোট দিয়েছি সেটিতে এক ভোটও পাইনি। আমি কি পাগল, যে নিজের ভোটটিও দেইনি??? ডিজিটাল যন্ত্রের ডিজিটাল চুরি!!!”।

 

আরেকজন হেরে যাওয়া প্রতিদ্বন্দ্বি খন্দকার এলিছ লিখেছেন-“আমিও ডাকাতির শিকার। ১১ নং ওয়ার্ডে তাই হয়েছে”।

 

 

রবিউল হোসাইন শাহীন কমেন্টসে লিখেছেন-“এইডা একটা কথা কইলান মিয়া ভাই? পদ থাকবো তো? আপনি আপনার খুব পছন্দের একজন ভালো মানুষ।” প্রতিউত্তরে নুরুজ্জামান খোকন লিখেছেন-“নুরুজ্জামান খোকন অনেক পদ পাইছে….! সত্যি কথাটা তো কাউকে না কাউকে বলতে হবে…”। এখানে প্রতিউত্তরে নাদিরা সুলতানা লিখেছেন-“সম্মান জানাই আপনাদের মতো নেতাদের, যারা সত্যি বলতে পিছপা হয়না, আর ধিরাক জানাই সেই নেতাদের যারা দূর্নীতি দেখেও মুখবুজে জনণনের ক্ষতি করে,নিজের স্বার্থে আঘাত পড়লে বুঝা যায়, তাই আইন সবার জন্য সমান হওয়া উচিৎ”। এখানে আবারও প্রতিউত্তরে নাদিরা সুলতানাকে ধন্যবাদ জানান নুরুজ্জামান খোকন।

 

 

৮মে বুধবার দুপুর ১২ টায় জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি এড. এবিএম নুরুজ্জামান খোকন এর সাথে কথা হলে এই প্রতিবেদককে তিনি স্ট্যাটাস দেয়ার বিষয়ে বলেন, “এটি অবশ্যই আমার দেয়া স্ট্যাটাস, আমার আইডি থেকে দেয়া স্ট্যাটাস,দায় দায়িত্ব নিয়েই দিয়েছি।

 

তিনি বলেন, “আপনারা খবর নিয়ে দেখেন ঘটনা সত্য কিনা। আমার স্ট্যাটাসে অনেক প্রার্থী কমেন্টস করেছে। তাদের সাথেও কথা বলেন। আমার দেখা মুকুল নিকেতন কেন্দ্রে দিবা সরকার লিন্টু ভোট পাইছে ৪শত কত যেন, শীতল পাইছে ১৪৪ ভোট। সেখানে লিন্টুর ভোট শীতলকে ,শীতলের ভোট লিন্টুকে দেখানো হয়েছে।

 

 

তিনি বলেন, “কোন এলাকায়, কোন জায়গায়, কোন এজেন্ট কি দেখতে পারছে, কার কত ভোট। ওরা কি দেখাইছে?”

 

 

এড. নুরুজ্জামান খোকন বলেন, “ইভিএমএ ভোট শেষ হওয়ার ৫ মিনিটের মধ্যে রেজাল্ট দিতে পারে, ৫ ঘন্টা সময় লাগে কেন ? প্রচুর পরিমানে টাকা পয়সার লেনদেন হইছে ময়মনসিংহে। ৫শত ১হাজার টাকার নোট ছাড়া কেউ কি ভোট কেন্দ্রে গেছে?” “বিশেষ করে বৃদ্ধ, বয়স্ক ভোটাররা যখন ভোট কেন্দ্রে গেছে আঙ্গুল দেয়ার পর ইভিএম ওপেন হয়ে গেছে। বলেছে আপনার ভোট দেয়া হয়ে গেছে। ভোটার যাওয়ার পর তাদের ইচ্ছামত ভোট দিছে”।

 

 

তিনি অভিযোগ তুলে বলেন, “৩২ নং ওয়ার্ডে সাগরের কথাই বলি। সেখানকার আকাশ বাতাস, গাছের পাতা বলছে সাগর সাগর। সাগরকে ফেল দেখানো হয়েছে। কেমনে হইছে।” প্রশ্ন রাখেন জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি এড. নুরুজ্জামান খোকন।

 

 

এবিষয়ে জানতে জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এড. মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুলর সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান, “সে তার ইচ্ছামত কথা বলেছে, এগুলো কথার কোন ভিত্তি নাই। তার দুইটা কথারই কোন ভিত্তি নাই”।

 

 

এবিষয়ে মুঠোফোনে কথা হয় কেন্দ্রিয় স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি আবু কাউসার মোল্লার সাথে। তিনি বলেন, এটি তার ব্যাক্তিগত অভিমত। আমরা জানিনা। এখনও দেখি নাই। আমি তার স্ট্যাটাসটা দেখবো। তাকে জিগ্যাসাবাদ করবো।

Print Friendly, PDF & Email

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ খবর



» আগামীকাল ময়মনসিংহ মেতে উঠবে স্বাধীনতা কনসার্টে

» ভাষা শহীদদের প্রতি সংসদ সদস্য মোহিত উর রহমান শান্তর শ্রদ্ধাঞ্জলী

» ১৪৭ বেকার তরুণ তরুণীকে চাকুরির প্রস্তুতি কর্মশালা করালেন এমপি মোহিত উর রহমান শান্ত

» হালুয়াঘাট-ধোবাউড়ায় ৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ বৃদ্ধি ; কৃষি সেচে গুরুত্ব এমপির

» ময়মনসিংহ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আলোচনায় আবু সাঈদ

» সংবর্ধনা বাতিল করে শীতার্তদের মাঝে এমপি মোহিত উর রহমানের কম্বল বিতরণ

» ব্রহ্মপুত্রে নৌকায় চড়ে অনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করলেন মোহিত উর রহমান শান্ত

» ময়মনসিংহে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে উল্লাসভরে ফুলেল শুভেচ্ছায় সমাবেশ

» লেঃ কর্ণেল (অবঃ)নজরুল ইসলামের হস্তক্ষেপে দীর্ঘদিনের জমি সংক্রান্ত বিরোধের অবসান

» ময়মনসিংহ-৪ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মোহিত উর রহমান শান্ত

» আবারও জাপাকে দিলে জনগনের আস্থা হারাবে আওয়ামী লীগ

» ময়মনসিংহ-৪ আসনে মনোনয়ন কিনেছেন মহানগর সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্ত

» জনসভায় জনসমুদ্র ; সদরের প্রত্যাশা মোহিত উর রহমান শান্ত

» সংবিধান মেনে নির্বাচনে আসেন, আমরাও আসবো-বিএনপিকে মোহিত উর রহমান শান্ত

» প্রতীকী অটোরিকশা চালিয়ে অবরোধের বিরুদ্ধে মোহিত উর রহমান শান্তর প্রতিবাদ

আমাদের সঙ্গী হোন

যোগাযোগ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় –

২২ সি কে ঘোষ রোড, ময়মনসিংহ
বার্তা কক্ষ : ০১৭৩৬ ৫১৪ ৮৭২
ইমেইল : dailyjonomot@gmail.com

© সর্বস্বত্ব স্বাত্বাধিকার দৈনিক জনমত .কম

কারিগরি সহযোগিতায় BDiTZone.com

,

basic-bank

ইভিএমকে ভোট ডাকাত বললেন জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি নুরুজ্জামান খোকন

বিল্লাল হোসেন প্রান্ত ॥
“ব্যালটে চুরি করা যায়,আর ইভিএম এ করা যায় ডাকাতি….!(ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা)” সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ময়মনসিংহ জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি এডভোকেট এ বিএম নুরুজ্জামান খোকনের এমন স্ট্যাটাস রিতিমত তোলপাড় সৃষ্টি করেছে।

 

গত ৫ মে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএম পদ্বতিতে ভোটিং সম্পন্ন হয়েছে। ৭ মে মঙ্গলবার ৪ টা ৪৫ মিনিটে নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি নুরুজ্জামান খোকন স্ট্যাটাসটি আপলোড করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ২৫৫ লাইক,৭৪ কমেন্টস, ২৭ শেয়ার হয়েছে পড়েছে স্ট্যাটাসটিতে । আওয়ামী লীগ নেতার এমন স্ট্যাটাসে মন্তব্যের ঘরে আলোচনা সমালোচানা ঝড় চলছে পাল্টাপাল্টিভাবে।

মন্তব্যের ঘরে আমিনুল ইসলাম আমিনুল নামের একজন যা লিখেছেন- তা হুবহু তুলে ধরা হলো- ‘যিনি পরিচালনা করে যেকাউকে বিজয়ী করতে পারে’ “কতৃপক্ষ মেনেজ হলেই মিনিটে ৬০/৭০ ভোট মোবাইল বাটন যেভাবে টিপে ঐভাবে ৫০০ চাপ দিলে ভোট হয়ে যাবে। ৫৫% ভোটার হয়েছে ৪৫% বৃদ্ধ খড়া অন্দ প্রতিবন্দীর ভোট কে দিলো ঐ ইভিএম পরিচালক টাকার খেলা জনতা যাকে চেয়েছে সে জয়ী হয়নি ১০০% সত্য”।

 

কামরুল হাসান মন্তব্য করেছেন- “আমরা কিছু বললে সরকারের ইজ্জত থাকেনা আপনীতো হাড়ী ভেঙ্গে দিলেন”।

 

মির নাছের লিখেছেন- “আমি একটি কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসার ছিলাম। ঐ কেন্দ্রে শতভাগ সুষ্ঠু ভোট হয়েছে নিরানব্বই ভাগও না। যাক অন্য কোথাও ব্যাতিক্রম হলে হতেও পারে”।

 

মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার কবির মিটল লিখেছেন- “বড় ভাই একদম মনের কথাটা কইলা”।

 

শাওন খান লিখেছেন-“ভাই সরকারী দলের একটি শীর্ষ নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আপনার মুখে সরকার বিরোধী কথা বেমানান। মাফ করবেন আপনি সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছেন” এ মন্তব্যের প্রতিউত্তরে নুরুজ্জামান খোকন লিখেছেন-‘শাওন খান নুরুজ্জামান খোকন বড় বড় নেতাদের ভাবমূর্তি জন্ম দেয় ক্ষুন্ন করে না….”।

 

তপন ঘোষ নামেন একজন লিখেছন-“বিতর্কিত কথাবার্তা না বললে ভালো লাগে না?”।
সুমন হাবিব লিখেছেন-আমার অভিজ্ঞতা হচ্ছে ইভিএমে ১০০ ভাগ ফেয়ার নির্বাচন হয়! কারচুপির পরিমান শূণ্য”।

 

শেখ কামরুল ইসলাম কামরুল লিখেছেন-“বিএনপির মতো কথা বলেন কেন। দুইদিন পরে মনে হয় জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বলবেন”।

 

ফজলে রাব্বি লিখেছেন-“তাহলেতো চোরের চেয়ে ডাকাত হওয়াই ভাল”।

 

স্ট্যাটাসটিতে মন্তব্য করেছেন কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যাওয়া প্রার্থী ইলোরা পারভিন সম্পা, লিখেছেন-“আমিও ডাকাতির শিকার..৭,৮,ও ৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছি ভোট ডাকাতির কারনে। ভোট গণনার সময় নিজে যে বুথে ভোট দিয়েছি সেটিতে এক ভোটও পাইনি। আমি কি পাগল, যে নিজের ভোটটিও দেইনি??? ডিজিটাল যন্ত্রের ডিজিটাল চুরি!!!”।

 

আরেকজন হেরে যাওয়া প্রতিদ্বন্দ্বি খন্দকার এলিছ লিখেছেন-“আমিও ডাকাতির শিকার। ১১ নং ওয়ার্ডে তাই হয়েছে”।

 

 

রবিউল হোসাইন শাহীন কমেন্টসে লিখেছেন-“এইডা একটা কথা কইলান মিয়া ভাই? পদ থাকবো তো? আপনি আপনার খুব পছন্দের একজন ভালো মানুষ।” প্রতিউত্তরে নুরুজ্জামান খোকন লিখেছেন-“নুরুজ্জামান খোকন অনেক পদ পাইছে….! সত্যি কথাটা তো কাউকে না কাউকে বলতে হবে…”। এখানে প্রতিউত্তরে নাদিরা সুলতানা লিখেছেন-“সম্মান জানাই আপনাদের মতো নেতাদের, যারা সত্যি বলতে পিছপা হয়না, আর ধিরাক জানাই সেই নেতাদের যারা দূর্নীতি দেখেও মুখবুজে জনণনের ক্ষতি করে,নিজের স্বার্থে আঘাত পড়লে বুঝা যায়, তাই আইন সবার জন্য সমান হওয়া উচিৎ”। এখানে আবারও প্রতিউত্তরে নাদিরা সুলতানাকে ধন্যবাদ জানান নুরুজ্জামান খোকন।

 

 

৮মে বুধবার দুপুর ১২ টায় জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি এড. এবিএম নুরুজ্জামান খোকন এর সাথে কথা হলে এই প্রতিবেদককে তিনি স্ট্যাটাস দেয়ার বিষয়ে বলেন, “এটি অবশ্যই আমার দেয়া স্ট্যাটাস, আমার আইডি থেকে দেয়া স্ট্যাটাস,দায় দায়িত্ব নিয়েই দিয়েছি।

 

তিনি বলেন, “আপনারা খবর নিয়ে দেখেন ঘটনা সত্য কিনা। আমার স্ট্যাটাসে অনেক প্রার্থী কমেন্টস করেছে। তাদের সাথেও কথা বলেন। আমার দেখা মুকুল নিকেতন কেন্দ্রে দিবা সরকার লিন্টু ভোট পাইছে ৪শত কত যেন, শীতল পাইছে ১৪৪ ভোট। সেখানে লিন্টুর ভোট শীতলকে ,শীতলের ভোট লিন্টুকে দেখানো হয়েছে।

 

 

তিনি বলেন, “কোন এলাকায়, কোন জায়গায়, কোন এজেন্ট কি দেখতে পারছে, কার কত ভোট। ওরা কি দেখাইছে?”

 

 

এড. নুরুজ্জামান খোকন বলেন, “ইভিএমএ ভোট শেষ হওয়ার ৫ মিনিটের মধ্যে রেজাল্ট দিতে পারে, ৫ ঘন্টা সময় লাগে কেন ? প্রচুর পরিমানে টাকা পয়সার লেনদেন হইছে ময়মনসিংহে। ৫শত ১হাজার টাকার নোট ছাড়া কেউ কি ভোট কেন্দ্রে গেছে?” “বিশেষ করে বৃদ্ধ, বয়স্ক ভোটাররা যখন ভোট কেন্দ্রে গেছে আঙ্গুল দেয়ার পর ইভিএম ওপেন হয়ে গেছে। বলেছে আপনার ভোট দেয়া হয়ে গেছে। ভোটার যাওয়ার পর তাদের ইচ্ছামত ভোট দিছে”।

 

 

তিনি অভিযোগ তুলে বলেন, “৩২ নং ওয়ার্ডে সাগরের কথাই বলি। সেখানকার আকাশ বাতাস, গাছের পাতা বলছে সাগর সাগর। সাগরকে ফেল দেখানো হয়েছে। কেমনে হইছে।” প্রশ্ন রাখেন জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি এড. নুরুজ্জামান খোকন।

 

 

এবিষয়ে জানতে জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এড. মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুলর সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান, “সে তার ইচ্ছামত কথা বলেছে, এগুলো কথার কোন ভিত্তি নাই। তার দুইটা কথারই কোন ভিত্তি নাই”।

 

 

এবিষয়ে মুঠোফোনে কথা হয় কেন্দ্রিয় স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি আবু কাউসার মোল্লার সাথে। তিনি বলেন, এটি তার ব্যাক্তিগত অভিমত। আমরা জানিনা। এখনও দেখি নাই। আমি তার স্ট্যাটাসটা দেখবো। তাকে জিগ্যাসাবাদ করবো।

Print Friendly, PDF & Email

সর্বশেষ খবর



এ বিভাগের অন্যান্য খবর



আমাদের সঙ্গী হোন

যোগাযোগ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় –

২২ সি কে ঘোষ রোড, ময়মনসিংহ
বার্তা কক্ষ : ০১৭৩৬ ৫১৪ ৮৭২
ইমেইল : dailyjonomot@gmail.com

© সর্বস্বত্ব স্বাত্বাধিকার দৈনিক জনমত .কম

কারিগরি সহযোগিতায় BDiTZone.com