বিল্লাল হোসেন প্রান্ত ॥
বেঁজে গেছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ডামাডোল। প্রার্থী হতে মাঠে নেমেছে অনেকেই। তবে যোগ্য প্রার্থী খুঁেজ নিতে ভোটাররা সচেতন। কারণ বিগত আমলে ময়মনসিংহ সদরে ভাইস চেয়ারম্যান মহিলা ও পুরুষ পদে বিজয়ীদের নাম নির্বাচনের পর জনগণ আর মনে রাখেনি। দেখা যায়নি তাদের অবয়ব,কর্মতৎপরতা ও ভূমিকা।
এবার আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে ময়মনসিংহ সদর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নিজের অবস্থান ও প্রার্থীতার কথা জানান দিয়েছেন তারুণ্য উদ্দীপ্ত সুশিক্ষিত নারী আফরোজা হক কলি। তিনি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে রণাঙ্গনের বীর সেনানি মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হক মন্ডল এর কন্যা। আফরোজা হক কলি নারী রাজনীতিতে চরাঞ্চলে জনপ্রিয় মুখ। রয়েছে সামাজিক বলয়ে সমাজ উন্নয়নে কাজ করার নিরব ভূমিকা।
ইতিমধ্যে তৃণমূল আওয়ামী লীগের কাছে জমা দিয়েছেন তার প্রার্থীতার দরখাস্ত। সমর্থনও পেয়েছেন শতভাগ। তবে এবার আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত রয়েছে ভাইস চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রার্থী থাকবেনা ,হবে উন্মুক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা। সেক্ষেত্রে সদরে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আফরোজা হক কলিকে চাইছে জনগণ। ইতেমধ্যে তাকে নিয়ে ইতিবাচক সাড়া পড়েছে ভোটারদের মাঝে।
ময়মনসিংহ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা আফরোজা হক কলি আনন্দমোহন কলেজ থেকে বাংলায় মাষ্টার্স করেছেন ২০১৬ সালে। ছাত্র জীবনে তিনি প্রগতির বাহক ছাত্রলীগের সক্রিয় রাজনীতিতে ছিলেন জন্মগত চেতনা মুক্তিযোদ্ধের মননে। কলি নিজেকে প্রস্ফুটিত করেছেন পিতার প্রতিষ্ঠিত সফতুনন্নেছা বিদ্যানিকেতন কিন্ডার গার্ডেন। শিক্ষিত জাতির শক্তিশালী মেরুদন্ড তৈরির কারখানায় ছড়িয়ে দিয়েছেন নিজের শিক্ষার আলো। অসহায়, অর্থনৈতিকভাবে অস্বচ্ছল শিশুদের পড়ালেখায় সহায়তা ও বিনামূল্যে শিক্ষা গ্রহনের সুযোগ করেছেন এই বিদ্যানিকেতনে। প্লে গ্রুপ থেকে ৫ম শ্রেনী পর্যন্ত পাঠদান হয় সফতুন্নেছা বিদ্যানিকেতনে।
মুক্তিযোদ্ধের চেতনাকে শাণিত করা সরকার আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডে নিজের অবস্থান থেকে কাজ করে যাচ্ছেন আফরোজা হক কলি। তিনি কোঠা আন্দোলনের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়ে মাঠে কাজ করেছেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড মহিলা বিষয়ক সম্পাদক হিসাবে। ইতিমধ্যে তিনি সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের চিত্র তুলে ধরে সাধারণ মানুষের কাছে ছুটে যাচ্ছেন নিজের প্রার্থীতার কথা নিয়ে। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে সুপরিচিত কলিকে ১৩ ইউনিয়নের সাধারণ জনগণ ও ভোটাররা সাদরে গ্রহন করে নিয়েছেন। অতীতে হারানো মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদটি পুনরুদ্ধারে জনগণ এবার কলিকেই বেছে নিয়েছে বলে আভাস চলছে।