বিল্লাল হোসেন প্রান্তঃ
আন্তকলহের জেরে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার ভাটি ঘাগড়ায় ইউনিয়নে তালাবদ্ধ করা মাদ্রাসা “মাদ্রাসায়ে আবু বকর মোমেনশাহী” অবশেষে খুলে দেয়া হয়েছে।
সোমবার ১০ জুন সন্ধ্যায় কোতোয়ালী মডেল থানায় দুপক্ষের সাথে কথা বলে আপোষ সিমাংশায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সদর সার্কেল অতিরিক্ত পুশিল সুপার আল আমিন এর নির্দেশনায় কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি অপারেশন খন্দকার শাকের আহমেদ ও তদন্তকারী এসআই মাহবুব অর রশিদ এর সার্বিক দায়িত্বশীলতায় এটি সম্ভব হয়েছে।
গত ৩ জুন মাদ্রাসা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান একক সিদ্ধান্তে তালাবদ্ধ করেন মাদ্রাসাটি। এ বিষয়ে প্রিন্সিপাল আনোয়ার হোসেন এর থানায় অভিযোগের প্রেক্ষিতে জনমত ডট কমসহ একাধিক মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা মাহবুব দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে দুপক্ষকে থানায় আসার নির্দেশ প্রদান করেন।
থানার ওসি অপারেশন খন্দকার শাকের আহমেদসহ কর্মকর্তারা প্রায় ৩ ঘন্টাব্যাপী মাদ্রাসা কমিটি ও প্রিন্সিপালসহ এলাকার মুরব্বিদের সকল অভিযোগ শুনেন। অবশেষে মাদ্রাসা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমানসহ সকলের স্বাক্ষরে ভবিষ্যতে কোনোরূপ অচলাবস্থা তৈরি ছাড়াই প্রতিষ্ঠানটির সচল রাখার অঙ্গিকারমূলে বিষয়টি সমাধান হয়।
পরে সর্বসম্মতিক্রমে আজ থেকে মাদ্রাসার তালা খুলে শিশু শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদান কার্যক্রম চালু রাখার ব্যবস্থা করা হয়। এ ঘটনায় জনমনে ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছে কোতোয়ালী থানা পুলিশের ভূমিকা। আইনের শাসনই নয় সামাজিকতাও পুলিশিং ভূমিকা রাখা যায় তা প্রমান হলো।
উল্লখ্য, ১৯৮৪ সালের ২২ মার্চে ৫২ শতাংশ জমি ওয়াকফ করে দেন মরহুম নশের আলী মন্ডল। পরে সেখানে স্থানীয়দের সহায়তায় দরিদ্র ও এতিম শিশুদের ইসলামি শিক্ষার জন্য গড়ে উঠে মাদ্রাসায়ে আবু বকর মোমেনশাহী। মাদ্রাসা কমিটি সাধারণ সম্পাদক ও প্রিন্সিপালের সমন্বয়হীনতা ও সাংর্ঘষিক ভূমিকায় প্রতিষ্ঠানটি বেআইনীভাবে তালা বদ্ধ করেন সম্পাদক।
বর্তমানে মাদ্রাসাটিতে ৩৫ জন মেয়ে ৪৫ জন ছেলে শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছে। প্রতি বছর এ মাদ্রাসা থেকে প্রায় ৬ জন করে কোরআনে হাফেজ শিক্ষা গ্রহন করে বের হচ্ছেন।