সন্ধ্যা ৬:০০ | বৃহস্পতিবার | ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

গফরগাঁওয়ে ইটভাটার তেজস্ক্রিয়ায় কপাল পুড়ছে কৃষকের

সরেজমিনে জালেশ্বর ঘুরে,বিল্লাল হোসেন প্রান্তঃ

পুড়ে কলো হয়ে গেছে ক্ষেতের ধান,ফসলের মাঠ। একর কে একর জমিতে ধানের গাছ আছে ,ধান নেই। সব জ্বলসে চিটা হয়ে গেছে। মৌসুমী ফল পচে পড়ে যাচ্ছে গাছ থেকে । পুকুড়ের মাছ মরে সাবার। ঘরের নতুন টিনে মরিচা ধরেছে। আশংকাজনক হারে বাড়ছে শ্বাসকষ্ট, চর্ম, হার্টের রোগীর সংখ্যা। ১৫ বছর ধরে ইটভাটার বিষাক্ত কালো ধুয়ায় এভাবেই পুড়ছে পুরো গ্রামটি। এমন চিত্রই দেখা গেছে ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার ৭ নং সালটিঁয়া ইউনিয়নের জালেশ্বর গ্রামে।

 

সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, জালেশ্বর গ্রামের মধ্যপাড়ায় ৭০/৮০টি বাড়ির প্রায় ৫ শতাধিক মানুষ কোন না কোন ভাবে এ ভাটার কারনে ক্ষতির শিকার। গ্রামটির ঠিক মাঝখানে কোন প্রকার নির্দেশনা না মেনে জোরপূর্বকভাবে গড়ে উঠেছে জালেশ্বর বিক্স নামে ওই ইট ভাটাটি। যার চার পাশে রয়েছে বিশাল এলাকা জুড়ে কৃষকের তিন ফসলী আবাদি জমি। যেখানে গত ২ মৌসমে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতির সম্মুক্ষিন হয়েছে সাধারন কৃষক।

জালেশ্বর গ্রামের নব্বই বছরের বৃদ্ধ আব্দুর রশিদ বলেন, গত ১৫ বছর যাবৎ এ গ্রামের মানুষ এই ইট ভাটার ক্ষতিকর ধুয়ার শিকার। সরকার বাড়ির আব্দুল হামিদ (৬৫) বলেন, বাড়িঘরের ২০০ মিটার দুরে ভাটার কয়লা ভাঙ্গার মেশিন চলে দিন রাত। শব্দের কারণে বাচ্চারা ঘুমাতে এবং পড়ালেখাও করতে পারেনা।

ফারুক মৌলবী বাড়ির মোঃ কামাল হোসেন (৬৫) বলেন, দক্ষিনপাড়ায় প্রায় ১০ একর কৃষি জমির মাঝখানে এই ভাটাটি জোর পূর্বক নির্মান করেছে মৃত আব্দুর রহিম মাষ্টারের ছেলে মোঃ মোজাম্মেল হক বুলবুল মিয়া। এ বিষয়ে আমরা গ্রামবাসি অনেক বার তাকে এটি সরিয়ে নিতে বললেও সে জোড় করেই ভাটাটি চালিয়ে যাচ্ছেন।

মাছ ব্যবসায়ী আলতাফ (৩৮) বলেন, ১০ কাঠা জমিতে আমার একটি ফিসারী। এটি আমার একমাত্র উপার্জনের মাধ্যম। ৮ মাস আগে ৫০ হাজার টাকার তেলাপিয়া, রুই, সিং, কাতল মাছ ছেড়েছিলাম। সব তেলাপিয়া মাছ মরে এখন পুকুরশূন্য। গ্রামের আম, কাঠাল, জলপাই, বেল, কলাসহ সকল ফল গাছই কালো হয়ে পচে পড়ে যাচ্ছে। কোন শাক সবজির ফলন এখানে হয়না। ঝুকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে গ্রামের শিশুদের জীবন। আশংকাজনক হারে বাড়ছে শ্বাসকষ্ট, চর্ম, হৃদরোগীর সংখ্যা। একই ঘরে শিশুসহ চারজন হৃদরোগে আক্রান্ত বলেও জানান তিনি।

আগষ্ট মাস থেকে মে মাস পর্যন্ত ৯ মাস বিরামহীন চলে এই হাওয়াই অটো ইট ভাটা। ভাটার চুঙ্গি নিচা হওয়ার ফলে তেজস্ক্রিয়াযুক্ত কালো ধুঁয়া গ্রামটিকে গ্রাস করে নিচ্ছে। উপরন্তু কৃষি জমির সেচ কাজে গভীর নলকুপের লাইসেন্স নিয়ে বুলবুল গ্রামের একশত একর জমিতে পানি বন্ধ করে পতিত করেছে বলেও অভিযোগ তুলেন এলাকাবাসী।

তিন দফতরে দেয়া পৃথক অভিযোগ

ইটভাটাটি অতিসত্বর বন্ধের দাবিতে গ্রামবাসীর পক্ষে গত ৭ মে পরিবেশ অধিদপ্তর ময়মনসিংহ অঞ্চল, জেলা প্রশাসক, গফরগাঁও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর স্মারকলিপি ও অভিযোগ দিয়েছেন মোঃ ফারুক গং। ইতিপূর্বেও এবিষয়ে স্থানীয় পর্যায়ে নানা উদ্যেগ নেয়া হয় ভাটাটি বন্ধের জন্য। তবে প্রভাবশালী মহলের ইন্ধনে অবৈধভাবে গড়ে উঠা ইটভাটাটি বন্ধ করা যাচ্ছে না বলে জানান এলাকাবাসী।

 

 

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ গফরগাঁও-১০ আসনের সংসদ সদস্য ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল বলেন, বিষয়টি আমি আপনার মাধ্যমে অবগত হলাম। বিষয়টি ইউএনও এবং জেলা প্রশাসক দেখেন। আমাকে কেউ অভিযোগ দেয়নি বা জানায়নি। এখন আমি জানতে পেড়েছি। দ্রুত ব্যবস্থা নিবো। তিনি অতি সত্তর পরিবেশ অধিদপ্তর বরাবর ডিও লেটার দিয়ে ভাটাটি বন্ধ করার ব্যবস্থা করবেন বলে এই প্রতিবেদককে আশ্বস্ত করেছেন।

 

 

এবিষয়ে গফরগাঁও উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী মাহবুব উর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। করোনা ভাইরাসের কারণে এ কার্যক্রমগুলো একটু ধীর গতি হয়ে পড়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।

 

 

অন্যদিকে, ইটভাটায় নয়, খরার কারণে ধানসহ ফসল নষ্ট হচ্ছে দাবি করে ভাটার মালিক মোজাম্মেল হক বুলবুল বলেন, ১৮ বছর যাবৎ সরকারকে ভ্যাট দিয়ে ইট ভাটা চালাচ্ছি। ক্ষতিকর হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারই এটি বন্ধ করে দিতেন। তিনি বলেনল, কৃষকের ধান নষ্ট হওয়ায় ১০ মন ধানের দাম ক্ষতিপূরণ দিয়েছেন। তবে কৃষকরা তা নেয়নি।

Print Friendly, PDF & Email

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ খবর



» আগামীকাল ময়মনসিংহ মেতে উঠবে স্বাধীনতা কনসার্টে

» ভাষা শহীদদের প্রতি সংসদ সদস্য মোহিত উর রহমান শান্তর শ্রদ্ধাঞ্জলী

» ১৪৭ বেকার তরুণ তরুণীকে চাকুরির প্রস্তুতি কর্মশালা করালেন এমপি মোহিত উর রহমান শান্ত

» হালুয়াঘাট-ধোবাউড়ায় ৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ বৃদ্ধি ; কৃষি সেচে গুরুত্ব এমপির

» ময়মনসিংহ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আলোচনায় আবু সাঈদ

» সংবর্ধনা বাতিল করে শীতার্তদের মাঝে এমপি মোহিত উর রহমানের কম্বল বিতরণ

» ব্রহ্মপুত্রে নৌকায় চড়ে অনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করলেন মোহিত উর রহমান শান্ত

» ময়মনসিংহে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে উল্লাসভরে ফুলেল শুভেচ্ছায় সমাবেশ

» লেঃ কর্ণেল (অবঃ)নজরুল ইসলামের হস্তক্ষেপে দীর্ঘদিনের জমি সংক্রান্ত বিরোধের অবসান

» ময়মনসিংহ-৪ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মোহিত উর রহমান শান্ত

» আবারও জাপাকে দিলে জনগনের আস্থা হারাবে আওয়ামী লীগ

» ময়মনসিংহ-৪ আসনে মনোনয়ন কিনেছেন মহানগর সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্ত

» জনসভায় জনসমুদ্র ; সদরের প্রত্যাশা মোহিত উর রহমান শান্ত

» সংবিধান মেনে নির্বাচনে আসেন, আমরাও আসবো-বিএনপিকে মোহিত উর রহমান শান্ত

» প্রতীকী অটোরিকশা চালিয়ে অবরোধের বিরুদ্ধে মোহিত উর রহমান শান্তর প্রতিবাদ

আমাদের সঙ্গী হোন

যোগাযোগ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় –

২২ সি কে ঘোষ রোড, ময়মনসিংহ
বার্তা কক্ষ : ০১৭৩৬ ৫১৪ ৮৭২
ইমেইল : dailyjonomot@gmail.com

© সর্বস্বত্ব স্বাত্বাধিকার দৈনিক জনমত .কম

কারিগরি সহযোগিতায় BDiTZone.com

,

basic-bank

গফরগাঁওয়ে ইটভাটার তেজস্ক্রিয়ায় কপাল পুড়ছে কৃষকের

সরেজমিনে জালেশ্বর ঘুরে,বিল্লাল হোসেন প্রান্তঃ

পুড়ে কলো হয়ে গেছে ক্ষেতের ধান,ফসলের মাঠ। একর কে একর জমিতে ধানের গাছ আছে ,ধান নেই। সব জ্বলসে চিটা হয়ে গেছে। মৌসুমী ফল পচে পড়ে যাচ্ছে গাছ থেকে । পুকুড়ের মাছ মরে সাবার। ঘরের নতুন টিনে মরিচা ধরেছে। আশংকাজনক হারে বাড়ছে শ্বাসকষ্ট, চর্ম, হার্টের রোগীর সংখ্যা। ১৫ বছর ধরে ইটভাটার বিষাক্ত কালো ধুয়ায় এভাবেই পুড়ছে পুরো গ্রামটি। এমন চিত্রই দেখা গেছে ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার ৭ নং সালটিঁয়া ইউনিয়নের জালেশ্বর গ্রামে।

 

সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, জালেশ্বর গ্রামের মধ্যপাড়ায় ৭০/৮০টি বাড়ির প্রায় ৫ শতাধিক মানুষ কোন না কোন ভাবে এ ভাটার কারনে ক্ষতির শিকার। গ্রামটির ঠিক মাঝখানে কোন প্রকার নির্দেশনা না মেনে জোরপূর্বকভাবে গড়ে উঠেছে জালেশ্বর বিক্স নামে ওই ইট ভাটাটি। যার চার পাশে রয়েছে বিশাল এলাকা জুড়ে কৃষকের তিন ফসলী আবাদি জমি। যেখানে গত ২ মৌসমে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতির সম্মুক্ষিন হয়েছে সাধারন কৃষক।

জালেশ্বর গ্রামের নব্বই বছরের বৃদ্ধ আব্দুর রশিদ বলেন, গত ১৫ বছর যাবৎ এ গ্রামের মানুষ এই ইট ভাটার ক্ষতিকর ধুয়ার শিকার। সরকার বাড়ির আব্দুল হামিদ (৬৫) বলেন, বাড়িঘরের ২০০ মিটার দুরে ভাটার কয়লা ভাঙ্গার মেশিন চলে দিন রাত। শব্দের কারণে বাচ্চারা ঘুমাতে এবং পড়ালেখাও করতে পারেনা।

ফারুক মৌলবী বাড়ির মোঃ কামাল হোসেন (৬৫) বলেন, দক্ষিনপাড়ায় প্রায় ১০ একর কৃষি জমির মাঝখানে এই ভাটাটি জোর পূর্বক নির্মান করেছে মৃত আব্দুর রহিম মাষ্টারের ছেলে মোঃ মোজাম্মেল হক বুলবুল মিয়া। এ বিষয়ে আমরা গ্রামবাসি অনেক বার তাকে এটি সরিয়ে নিতে বললেও সে জোড় করেই ভাটাটি চালিয়ে যাচ্ছেন।

মাছ ব্যবসায়ী আলতাফ (৩৮) বলেন, ১০ কাঠা জমিতে আমার একটি ফিসারী। এটি আমার একমাত্র উপার্জনের মাধ্যম। ৮ মাস আগে ৫০ হাজার টাকার তেলাপিয়া, রুই, সিং, কাতল মাছ ছেড়েছিলাম। সব তেলাপিয়া মাছ মরে এখন পুকুরশূন্য। গ্রামের আম, কাঠাল, জলপাই, বেল, কলাসহ সকল ফল গাছই কালো হয়ে পচে পড়ে যাচ্ছে। কোন শাক সবজির ফলন এখানে হয়না। ঝুকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে গ্রামের শিশুদের জীবন। আশংকাজনক হারে বাড়ছে শ্বাসকষ্ট, চর্ম, হৃদরোগীর সংখ্যা। একই ঘরে শিশুসহ চারজন হৃদরোগে আক্রান্ত বলেও জানান তিনি।

আগষ্ট মাস থেকে মে মাস পর্যন্ত ৯ মাস বিরামহীন চলে এই হাওয়াই অটো ইট ভাটা। ভাটার চুঙ্গি নিচা হওয়ার ফলে তেজস্ক্রিয়াযুক্ত কালো ধুঁয়া গ্রামটিকে গ্রাস করে নিচ্ছে। উপরন্তু কৃষি জমির সেচ কাজে গভীর নলকুপের লাইসেন্স নিয়ে বুলবুল গ্রামের একশত একর জমিতে পানি বন্ধ করে পতিত করেছে বলেও অভিযোগ তুলেন এলাকাবাসী।

তিন দফতরে দেয়া পৃথক অভিযোগ

ইটভাটাটি অতিসত্বর বন্ধের দাবিতে গ্রামবাসীর পক্ষে গত ৭ মে পরিবেশ অধিদপ্তর ময়মনসিংহ অঞ্চল, জেলা প্রশাসক, গফরগাঁও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর স্মারকলিপি ও অভিযোগ দিয়েছেন মোঃ ফারুক গং। ইতিপূর্বেও এবিষয়ে স্থানীয় পর্যায়ে নানা উদ্যেগ নেয়া হয় ভাটাটি বন্ধের জন্য। তবে প্রভাবশালী মহলের ইন্ধনে অবৈধভাবে গড়ে উঠা ইটভাটাটি বন্ধ করা যাচ্ছে না বলে জানান এলাকাবাসী।

 

 

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ গফরগাঁও-১০ আসনের সংসদ সদস্য ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল বলেন, বিষয়টি আমি আপনার মাধ্যমে অবগত হলাম। বিষয়টি ইউএনও এবং জেলা প্রশাসক দেখেন। আমাকে কেউ অভিযোগ দেয়নি বা জানায়নি। এখন আমি জানতে পেড়েছি। দ্রুত ব্যবস্থা নিবো। তিনি অতি সত্তর পরিবেশ অধিদপ্তর বরাবর ডিও লেটার দিয়ে ভাটাটি বন্ধ করার ব্যবস্থা করবেন বলে এই প্রতিবেদককে আশ্বস্ত করেছেন।

 

 

এবিষয়ে গফরগাঁও উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী মাহবুব উর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। করোনা ভাইরাসের কারণে এ কার্যক্রমগুলো একটু ধীর গতি হয়ে পড়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।

 

 

অন্যদিকে, ইটভাটায় নয়, খরার কারণে ধানসহ ফসল নষ্ট হচ্ছে দাবি করে ভাটার মালিক মোজাম্মেল হক বুলবুল বলেন, ১৮ বছর যাবৎ সরকারকে ভ্যাট দিয়ে ইট ভাটা চালাচ্ছি। ক্ষতিকর হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারই এটি বন্ধ করে দিতেন। তিনি বলেনল, কৃষকের ধান নষ্ট হওয়ায় ১০ মন ধানের দাম ক্ষতিপূরণ দিয়েছেন। তবে কৃষকরা তা নেয়নি।

Print Friendly, PDF & Email

সর্বশেষ খবর



এ বিভাগের অন্যান্য খবর



আমাদের সঙ্গী হোন

যোগাযোগ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় –

২২ সি কে ঘোষ রোড, ময়মনসিংহ
বার্তা কক্ষ : ০১৭৩৬ ৫১৪ ৮৭২
ইমেইল : dailyjonomot@gmail.com

© সর্বস্বত্ব স্বাত্বাধিকার দৈনিক জনমত .কম

কারিগরি সহযোগিতায় BDiTZone.com