দুপুর ১:৩২ | বৃহস্পতিবার | ১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ছাত্রলীগের পদ প্রত্যাশায় ত্যাগী নেতাদের নিয়ে সমালোচনার প্রতিযোগীতা

বিল্লাল হোসেন প্রান্তঃ

বাংলাদেশ ছাত্রলীগে কোন গ্রুপিং থাকবে না, ছাত্রলীগ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন হিসাবে সহযোগী হয়ে সকলের সাথে মিশে কাজ করবে। শোকাবহ আগস্ট আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতারা নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যের ঠিক উল্টোচিত্র দেখা গেছে ময়মনসিংহ ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী বেশ কয়েজন কর্মীর কার্যকলাপে। তারা ত্যাগী, দুঃসময়ের নেতা, এমন রাজনীতিকদের অনেকটা তাচ্ছিল্যতার দৃষ্টিতে মূল্যায়ন করেছেন তাদের মন্তব্যে।

 

 

সম্প্রতি ময়মনসিংহ ছাত্রলীগের একাধিক পদপ্রত্যাশী গ্রুপ রাজনীতিতে গা ভাসিয়ে গ্রুপ নেতার মন জয় করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দলের ত্যাগী নেতাদের নিয়ে সমালোচনামুখর হয়ে উঠেছে। তারা দলের দুঃসময়ে অবদান রাখা নেতাদের তাচ্ছিল্লতার ভাষায় পরিহাস করতেও ছাড়েননি। তাদের এহেন সমালোচনাকে দলীয় শিষ্টাচার বিরোধী বলে উল্লেখ করে সমালোচনা করেছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা। তারা এসব পদপ্রত্যাশীদের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক শৃঙ্খলা নিয়ে শংকা প্রকাশ করেছেন।

 

 

স্বয়ং দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ময়মনসিংহের মাটিতে যতবার পা রেখেছেন ততবার আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে রফিক উদ্দিন ভূইয়া, এম শাসসুল হক, অধ্যক্ষ মতিউর রহমানসহ নেতাদের দলের প্রতি ত্যাগ,তিতিক্ষা, অবদানের কথা বলেছেন। দুঃসময়ে দলীয় আদর্শের প্রতি অনড় থেকে অবর্ণনিয় নির্যাতন সহ্যের কথা জননেত্রী শেখ হাসিনা বার বার উচ্চারণ করেছেন। সেই নেতাদের নিয়ে নবাগত ছাত্রলীগ নেতা হতে চাওয়াদের সমালোচনা করাকে চরম উদ্ধত্তপূর্ণের বহিঃপ্রকার বলেও মন্তব্য করেছেন সিনিয়র নেতারা।

 

 

ঐক্য। এ শব্দটি সম্প্রতিক বছরগুলোতে ময়মনসিংহ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যতবার উচ্চারিত হয়েছে। তার চেয়ে বেশি গ্রুপিং আর ভাঙ্গনের বীজ বুনেছে একটি মহল। স্বার্থবাদী সেই মহল জানে ঐক্য থাকলে হঠাৎ অনুপ্রবেশ সম্ভব নয়। আলোচনা আছে গ্রুপিং আর ভাঙ্গনে তারা সফল হলেও, মূলধারার ত্যাগী নেতাকর্মীদের কাছে মহলটি সুবিধাবাদী বলেই চিহ্নিত। সেই মহল এখন মরিয়া ঐক্যের দিশারি, নিবেদিত আওয়ামী লীগারদের অতীত অর্জনকে মলিন করে নিজেদের ভীত গড়তে। আর এ অপকৌশলকে চরিতার্থ করতে ত্যাগী নেতাদের নিয়ে সমালোচনামূখর হয়ে উঠেছে নবাগত কিছু ছাত্রলীগ পদপ্রত্যাশীরা। গুঞ্জন উঠেছে এসব কার্যক্রমের পুরস্কার হিসাবে গ্রুপ নেতারা খুশি হয়ে তাদের প্রত্যাশীত পদ পাইয়ে দিবেন।

 

 

সম্প্রতি ময়মনসিংহের রাজনীতি ও অতীত অর্জন নিয়ে গ্রুপ পলিটিক্সের আলোচনা সমালোচনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অনেকটা সরব হয়ে উঠেছে। এক্ষেত্রে বিগত রাজনৈতিক পথচলায় আওয়ামী লীগের মহিরুহ নেতাদের অবমূল্যায়নের এই চর্চাকে রাজনৈতিক অশনিসংকেত বলেই মন্তব্য করেছেন একাধিক প্রবীণ নেতারা। তারা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতাদের দৃষ্টিআকর্ষণ করেছেন শৃঙ্খলাতার বিষয়ে।

 

 

সাবেক ছাত্রনেতা বর্তমান ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মঞ্জুরুল মুর্শেদ রাজু বলেন, যারা দুঃসময়ের নেতাদের নিয়ে অবমূল্যায়ন করে কথা বলছে তাদের রাজনৈতিক নেতারা তাদের সঠিক শিক্ষা দিতে পারেনি। এটি অনুসরণকারী নেতাদের ব্যর্থতা। তিনি বলেন, একজন ছাত্রলীগ নেতা হবে সবচাইতে সুশৃঙ্খল, তারা শৃঙ্খলাতার রাজনীতির চর্চায় ইতিহাসকে ধারন করে এগিয়ে যাবে। ময়মনসিংহ ছাত্রলীগ অনেকটা অগোছালো তাই এখানে শৃঙ্খলতার ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

 

 

আওয়ামী লীগ যখন বিরোধী দলে,দুঃসময়ের ছাত্রনেতা ময়মনসিংহ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ জাহান চৌধুরী শাহীন দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, যারা দুঃসময়ের ত্যাগী নেতাদের সম্মান করতে যানে না তারা আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে ধারন করতে পারেনি। তিনি বলেন, যারা দুঃসময়ের নেতাদের নিয়ে তাচ্ছিল্য করে, তারা দুঃসময়টা দেখেনি, তারা বুঝেনা। তিনি বলেন, আমি মনে করি তাদের দিয়ে সুশৃঙ্খল রাজনীতি সম্ভবনা। এটি একটি ঘৃণিত কাজ।

 

 

জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবিএম আক্তারুজ্জামান রবিন বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। যারা দুঃসময়ের ত্যাগী নেতাদের নিয়ে তাচ্ছিল্য করছেন তারা রাজনৈতিক শিষ্টাচার শিখতে পারেনি। কারণ তারা যাদের অনুসারী তারা অনেকই রাজনীতিতে নতুন।

 

 

ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মোঃ রকিবুল ইসলাম রকিব বলেছেন, এখন পর্যন্ত যে কজন ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আসতে তোড়জোড় চালাচ্ছেন তাদের বেশিরভাগ অযোগ্য বলেই আমি মন্তব্য করতে চাই। তিনি বলেন, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আসতে চাওয়া বেশ কয়েকজনের বিতর্কিত কিছু লেখা আমার চোখে পড়েছে। তারা যাদের বিরুদ্ধে সমালোচনা করার প্রয়াস করেছে তাদের রাজনৈতিক জীবন সম্পর্কে জ্ঞান রাখার অযোগ্য। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ব্যার্থতা আমাদের শত চেষ্টা করেও পরবর্তী নেতৃত্ব তৈরি করে যেতে পারিনি, কেন্দ্রের বিগত নেতৃত্বের অসহযোগীতার কারণে।

 

 

ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক সরকার মোঃ সব্যসাচী বলেন, দুঃসময় বলতে আমরা বুঝি বিএনপি যখন রাষ্ট্র ক্ষমতায় আর ওয়ান ইলিভেনকে। সে সময়টায় যারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেছে, রাজপথে সংগ্রাম করেছে, নির্যাতনের শিকার হয়েছে। আজকে যারা সেই সময়টাকে নিয়ে, সেই সময়ের নেতাদের নিয়ে অবমূল্যায়ন করে। তারা নিজেরাই সে সময় সম্পর্কে অবগত নয়, সে সময়টি দেখেনি। তিনি বলেন, ছাত্রলীগ নিয়ে বর্তমান কেন্দ্রীয় নেতাদের কঠোর নির্দেশনা এসেছে। কোন বির্তকিত কর্মকান্ড করে, অন্যদল থেকে এসে কেই পদপদবী পাবেনা।

 

Print Friendly, PDF & Email

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ খবর



» আগামীকাল ময়মনসিংহ মেতে উঠবে স্বাধীনতা কনসার্টে

» ভাষা শহীদদের প্রতি সংসদ সদস্য মোহিত উর রহমান শান্তর শ্রদ্ধাঞ্জলী

» ১৪৭ বেকার তরুণ তরুণীকে চাকুরির প্রস্তুতি কর্মশালা করালেন এমপি মোহিত উর রহমান শান্ত

» হালুয়াঘাট-ধোবাউড়ায় ৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ বৃদ্ধি ; কৃষি সেচে গুরুত্ব এমপির

» ময়মনসিংহ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আলোচনায় আবু সাঈদ

» সংবর্ধনা বাতিল করে শীতার্তদের মাঝে এমপি মোহিত উর রহমানের কম্বল বিতরণ

» ব্রহ্মপুত্রে নৌকায় চড়ে অনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করলেন মোহিত উর রহমান শান্ত

» ময়মনসিংহে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে উল্লাসভরে ফুলেল শুভেচ্ছায় সমাবেশ

» লেঃ কর্ণেল (অবঃ)নজরুল ইসলামের হস্তক্ষেপে দীর্ঘদিনের জমি সংক্রান্ত বিরোধের অবসান

» ময়মনসিংহ-৪ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মোহিত উর রহমান শান্ত

» আবারও জাপাকে দিলে জনগনের আস্থা হারাবে আওয়ামী লীগ

» ময়মনসিংহ-৪ আসনে মনোনয়ন কিনেছেন মহানগর সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্ত

» জনসভায় জনসমুদ্র ; সদরের প্রত্যাশা মোহিত উর রহমান শান্ত

» সংবিধান মেনে নির্বাচনে আসেন, আমরাও আসবো-বিএনপিকে মোহিত উর রহমান শান্ত

» প্রতীকী অটোরিকশা চালিয়ে অবরোধের বিরুদ্ধে মোহিত উর রহমান শান্তর প্রতিবাদ

আমাদের সঙ্গী হোন

যোগাযোগ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় –

২২ সি কে ঘোষ রোড, ময়মনসিংহ
বার্তা কক্ষ : ০১৭৩৬ ৫১৪ ৮৭২
ইমেইল : dailyjonomot@gmail.com

© সর্বস্বত্ব স্বাত্বাধিকার দৈনিক জনমত .কম

কারিগরি সহযোগিতায় BDiTZone.com

,

basic-bank

ছাত্রলীগের পদ প্রত্যাশায় ত্যাগী নেতাদের নিয়ে সমালোচনার প্রতিযোগীতা

বিল্লাল হোসেন প্রান্তঃ

বাংলাদেশ ছাত্রলীগে কোন গ্রুপিং থাকবে না, ছাত্রলীগ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন হিসাবে সহযোগী হয়ে সকলের সাথে মিশে কাজ করবে। শোকাবহ আগস্ট আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতারা নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যের ঠিক উল্টোচিত্র দেখা গেছে ময়মনসিংহ ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী বেশ কয়েজন কর্মীর কার্যকলাপে। তারা ত্যাগী, দুঃসময়ের নেতা, এমন রাজনীতিকদের অনেকটা তাচ্ছিল্যতার দৃষ্টিতে মূল্যায়ন করেছেন তাদের মন্তব্যে।

 

 

সম্প্রতি ময়মনসিংহ ছাত্রলীগের একাধিক পদপ্রত্যাশী গ্রুপ রাজনীতিতে গা ভাসিয়ে গ্রুপ নেতার মন জয় করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দলের ত্যাগী নেতাদের নিয়ে সমালোচনামুখর হয়ে উঠেছে। তারা দলের দুঃসময়ে অবদান রাখা নেতাদের তাচ্ছিল্লতার ভাষায় পরিহাস করতেও ছাড়েননি। তাদের এহেন সমালোচনাকে দলীয় শিষ্টাচার বিরোধী বলে উল্লেখ করে সমালোচনা করেছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা। তারা এসব পদপ্রত্যাশীদের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক শৃঙ্খলা নিয়ে শংকা প্রকাশ করেছেন।

 

 

স্বয়ং দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ময়মনসিংহের মাটিতে যতবার পা রেখেছেন ততবার আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে রফিক উদ্দিন ভূইয়া, এম শাসসুল হক, অধ্যক্ষ মতিউর রহমানসহ নেতাদের দলের প্রতি ত্যাগ,তিতিক্ষা, অবদানের কথা বলেছেন। দুঃসময়ে দলীয় আদর্শের প্রতি অনড় থেকে অবর্ণনিয় নির্যাতন সহ্যের কথা জননেত্রী শেখ হাসিনা বার বার উচ্চারণ করেছেন। সেই নেতাদের নিয়ে নবাগত ছাত্রলীগ নেতা হতে চাওয়াদের সমালোচনা করাকে চরম উদ্ধত্তপূর্ণের বহিঃপ্রকার বলেও মন্তব্য করেছেন সিনিয়র নেতারা।

 

 

ঐক্য। এ শব্দটি সম্প্রতিক বছরগুলোতে ময়মনসিংহ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যতবার উচ্চারিত হয়েছে। তার চেয়ে বেশি গ্রুপিং আর ভাঙ্গনের বীজ বুনেছে একটি মহল। স্বার্থবাদী সেই মহল জানে ঐক্য থাকলে হঠাৎ অনুপ্রবেশ সম্ভব নয়। আলোচনা আছে গ্রুপিং আর ভাঙ্গনে তারা সফল হলেও, মূলধারার ত্যাগী নেতাকর্মীদের কাছে মহলটি সুবিধাবাদী বলেই চিহ্নিত। সেই মহল এখন মরিয়া ঐক্যের দিশারি, নিবেদিত আওয়ামী লীগারদের অতীত অর্জনকে মলিন করে নিজেদের ভীত গড়তে। আর এ অপকৌশলকে চরিতার্থ করতে ত্যাগী নেতাদের নিয়ে সমালোচনামূখর হয়ে উঠেছে নবাগত কিছু ছাত্রলীগ পদপ্রত্যাশীরা। গুঞ্জন উঠেছে এসব কার্যক্রমের পুরস্কার হিসাবে গ্রুপ নেতারা খুশি হয়ে তাদের প্রত্যাশীত পদ পাইয়ে দিবেন।

 

 

সম্প্রতি ময়মনসিংহের রাজনীতি ও অতীত অর্জন নিয়ে গ্রুপ পলিটিক্সের আলোচনা সমালোচনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অনেকটা সরব হয়ে উঠেছে। এক্ষেত্রে বিগত রাজনৈতিক পথচলায় আওয়ামী লীগের মহিরুহ নেতাদের অবমূল্যায়নের এই চর্চাকে রাজনৈতিক অশনিসংকেত বলেই মন্তব্য করেছেন একাধিক প্রবীণ নেতারা। তারা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতাদের দৃষ্টিআকর্ষণ করেছেন শৃঙ্খলাতার বিষয়ে।

 

 

সাবেক ছাত্রনেতা বর্তমান ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মঞ্জুরুল মুর্শেদ রাজু বলেন, যারা দুঃসময়ের নেতাদের নিয়ে অবমূল্যায়ন করে কথা বলছে তাদের রাজনৈতিক নেতারা তাদের সঠিক শিক্ষা দিতে পারেনি। এটি অনুসরণকারী নেতাদের ব্যর্থতা। তিনি বলেন, একজন ছাত্রলীগ নেতা হবে সবচাইতে সুশৃঙ্খল, তারা শৃঙ্খলাতার রাজনীতির চর্চায় ইতিহাসকে ধারন করে এগিয়ে যাবে। ময়মনসিংহ ছাত্রলীগ অনেকটা অগোছালো তাই এখানে শৃঙ্খলতার ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

 

 

আওয়ামী লীগ যখন বিরোধী দলে,দুঃসময়ের ছাত্রনেতা ময়মনসিংহ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ জাহান চৌধুরী শাহীন দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, যারা দুঃসময়ের ত্যাগী নেতাদের সম্মান করতে যানে না তারা আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে ধারন করতে পারেনি। তিনি বলেন, যারা দুঃসময়ের নেতাদের নিয়ে তাচ্ছিল্য করে, তারা দুঃসময়টা দেখেনি, তারা বুঝেনা। তিনি বলেন, আমি মনে করি তাদের দিয়ে সুশৃঙ্খল রাজনীতি সম্ভবনা। এটি একটি ঘৃণিত কাজ।

 

 

জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবিএম আক্তারুজ্জামান রবিন বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। যারা দুঃসময়ের ত্যাগী নেতাদের নিয়ে তাচ্ছিল্য করছেন তারা রাজনৈতিক শিষ্টাচার শিখতে পারেনি। কারণ তারা যাদের অনুসারী তারা অনেকই রাজনীতিতে নতুন।

 

 

ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মোঃ রকিবুল ইসলাম রকিব বলেছেন, এখন পর্যন্ত যে কজন ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আসতে তোড়জোড় চালাচ্ছেন তাদের বেশিরভাগ অযোগ্য বলেই আমি মন্তব্য করতে চাই। তিনি বলেন, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আসতে চাওয়া বেশ কয়েকজনের বিতর্কিত কিছু লেখা আমার চোখে পড়েছে। তারা যাদের বিরুদ্ধে সমালোচনা করার প্রয়াস করেছে তাদের রাজনৈতিক জীবন সম্পর্কে জ্ঞান রাখার অযোগ্য। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ব্যার্থতা আমাদের শত চেষ্টা করেও পরবর্তী নেতৃত্ব তৈরি করে যেতে পারিনি, কেন্দ্রের বিগত নেতৃত্বের অসহযোগীতার কারণে।

 

 

ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক সরকার মোঃ সব্যসাচী বলেন, দুঃসময় বলতে আমরা বুঝি বিএনপি যখন রাষ্ট্র ক্ষমতায় আর ওয়ান ইলিভেনকে। সে সময়টায় যারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেছে, রাজপথে সংগ্রাম করেছে, নির্যাতনের শিকার হয়েছে। আজকে যারা সেই সময়টাকে নিয়ে, সেই সময়ের নেতাদের নিয়ে অবমূল্যায়ন করে। তারা নিজেরাই সে সময় সম্পর্কে অবগত নয়, সে সময়টি দেখেনি। তিনি বলেন, ছাত্রলীগ নিয়ে বর্তমান কেন্দ্রীয় নেতাদের কঠোর নির্দেশনা এসেছে। কোন বির্তকিত কর্মকান্ড করে, অন্যদল থেকে এসে কেই পদপদবী পাবেনা।

 

Print Friendly, PDF & Email

সর্বশেষ খবর



এ বিভাগের অন্যান্য খবর



আমাদের সঙ্গী হোন

যোগাযোগ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় –

২২ সি কে ঘোষ রোড, ময়মনসিংহ
বার্তা কক্ষ : ০১৭৩৬ ৫১৪ ৮৭২
ইমেইল : dailyjonomot@gmail.com

© সর্বস্বত্ব স্বাত্বাধিকার দৈনিক জনমত .কম

কারিগরি সহযোগিতায় BDiTZone.com