বিল্লাল হোসেন প্রান্তঃ
অনুপ্রবেশকারী দুর্নীতিবাজরা আওয়ামী লীগে আসে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে। দলের সুনাম, অর্জনকে নষ্ট করতে এরা পরিকল্পিতভাবে দলে ডুকে নানা অপকর্মে নিজেদের আখের গুছাতে মরিয়া। এদের প্রতিহত করতে তৃনমুলের একনিষ্ঠ ও আদর্শিক কর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সকল নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার কথা বলেব সাবেক ধর্মমন্ত্রী ও ময়মনসিংহ আওয়ামী লীগের কিংবদন্তী নেতা আলহাজ অধ্যক্ষ মতিউর রহমান।
বুধবার ২৩ অক্টোবর ময়মনসিংহ সদরের ১১ নং ঘাগড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিশেষ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য অধ্যক্ষ মতিউর রহমান এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও চেয়ারম্যান শাহজাহান সরকার সাজু সভাপতিত্ব করেন। সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম কাজলের সঞ্চালনায় এতপ বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সর্বস্থরের নেতাকর্মীরা।
ময়মনসিংহ আওয়ামী লীগের বর্ষিয়ান জনপ্রিয় নেতা অধ্যক্ষ মতিউর রহমানকে কাছে পেয়ে ইউনিয়নের তৃণমূল নেতাকর্মীরা সেদিন ছিলো আত্মহারা। তিনি দীর্ঘ রাজনেতিক জীবনে প্রতিটি ইউনিয়নের এভাবেই আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করতে ছুটে বেরিয়েছেন। তৈরি করেছেন দলের জন্য নিবেদিত আদর্শিক কর্মী বাহিনী।
ডিসেম্বরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন এর আগে জেলা উপজেলা ইউনিয়ন পর্যায়ে সম্মেলন সম্পন্ন করার নির্দেশনাকে বেগবান করতে ঘাগড়া ইউনিয়নের ওয়ার্ড সমুহের সম্মেলন উদ্বোধন করেন অধ্যক্ষ মতিউর রহমান।
অধ্যক্ষ মতিউর রহমান বলেন, সংগঠনকে শক্তিশালী করতে, যোগ্য নেতৃত্ব সৃষ্টি করতে সম্মেলন সম্পন্ন করা অতি জরুরী। সম্মেলনের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচন করলে তাতে তৃনমূল ও কমান্ডের চেইন সৃষ্টি হয়। উঠে আসে আস্থাশীল ও আদর্শিক নেতৃত্ব।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের দল। দেশের স্বাধীনতা ও উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে এ দল কাজ করে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। দলের ক্ষমতাকে ব্যবহার করে স্বার্থ হাসিলকারীদের প্রতি সকলকে শতর্ক থাকার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, যুগে যুগে ষড়যন্ত্রকারীরা আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করতে মরিয়া। তারা এখন দলে ডুকে, নিজেদের লোক সেজে ক্ষতি করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
বর্ষিয়ান এ নেতা বলেন, ৭১ এর পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান যখন দেশ গঠনে নানা কর্মকান্ডে ব্যস্ত। তখনও একটি স্বার্থবাদী দূর্নীতিবাজ চক্র সে কর্মকান্ড ধ্বংস করে চেয়েছিলো। বঙ্গবন্ধু তাদের শর্তক করেও কোন ফল না হওয়ায় আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতোই শুদ্ধি অভিযান চালান। তবে এর মধ্যেই ৭৫এ ঘাতকরা জাতির পিতাকে হত্যা করে।