বিল্লাল হোসেন প্রান্তঃ আপডেটঃ
নির্মম সেবা। সিজার করতে গিয়ে নবজাতকের পিঠ,মুখ,হাত কেটে ফেলেছে ডাক্তার। মৃতদেহ অভিভাবকের হাতে দিয়ে বলেছে দুদিন আগেই গর্ভে মারা গেছে বাচ্চা। অভিযোগ অভিভাবকের। ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহ নগরীর কেওয়াটখালি পরশ প্রাইভেট ক্লিনিকে।
রবিবার ২০ জানুয়ারি প্রসব ব্যাথা নিয়ে পরশ ক্লিনিকে ভর্তি হয় খাগডহর এলাকার হারুনের স্ত্রী জান্নাত। রাত ১১ টার পরে সিজার করতে হবে বলে ওটিতে নিয়ে যায় জান্নাতকে। ওটিতে সিজার করতে আসেন ময়মনসিংহ সিবিএমসি হাসপাতাল থেকে পাশ করা ডাক্তার শিশির। তিনি বর্তমানে প্রাইভেটে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।
সিজার শেষে নবজাতকের মরদেহ স্বজনদের হাতে দিয়ে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ বলেন বাচ্চা গর্ভেই দুদিন আগে মারা গিয়েছিল। নিয়ে যান দ্রুত কবর দিয়ে ফেলেন। পরে অভিভাবকরা নবজাতকের শরীরে বিভিন্ন স্থানে কাটা ও পিঠের পুরো চামড়া কাটা দেখে বুঝতে পারেন এ কারনেই তাদের সন্তান মারা গেছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে মৃত নবজাতকের স্বজনরা।
কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দিয়েছে মৃত নবজাতকের পিতা গার্মেস কর্মী হারুন। তারা জানায় ওটিতে আসার সময়ই ডাক্তারের কথাবার্তা ও আচরন স্বাভাবিক ছিল না। সে নেশাগ্রস্ত ছিলো।
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে ক্লিনিক ও ডাক্তারের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাদের পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসিকে চাইলে তিনি বলেন স্বজনদের অভিযোগ পেয়েছি ক্লিনিক ও ডাক্তারের বিরুদ্ধে মামলা নেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন অব্যবস্থাপনা ও গাফিলতির কারনে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে বলে ধারনা করছি,এমন সিমটমই দেখা যাচ্ছে।