বিল্লাল হোসেন প্রান্তঃ
ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল হক শামীমকে উদ্দেশ্য করে মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্ত বলেছেন,”আপনাকে আওয়ামী লীগার হতে হলে আরো কয়েকটি বছর আওয়ামী লীগ করতে হবে। কারণ বিগত সময়ে যখন আপনি বিএনপি করেছেন, সাবেক ছাত্র দলের নেতা ছিলেন এই গন্ধ মুছতে মুছতে আপনার অনেক দিন চলে যাবে”।
৪ মার্চ ৩৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ আয়োজিত ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণের উপর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মোহিত উর রহমান শান্ত। উল্লেখ্য সম্প্রতি চরাঞ্চলের একটি সভায় মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্তকে উদ্দেশ্য করে আমিনুল হক শামীমের দেয়া বক্তব্যের প্রেক্ষিতে নেতাকর্মীরা চর গোবদিয়ার সভায় তা উল্লেখ্য করে বক্তব্য রাখেন।
আলোচনা সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সেলিম সরকারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যাপক গোলাম ফেরদৌস জিল্লু, মহানগর আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হোসাইন জাহাঙ্গীর বাবু, জেলা যুবলীগ যুগ্ন আহবায়ক আখেরুল ইমাম সোহাগ, সিরতা ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হাসান সরকার, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মোফাখখর খোকন, সদর উপজেলা যুবলীগ সভাপতি শাহজাহান সরকার, মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা ইমরান, মহানগর আওয়ামী লীগ সদস্য সোহাগ, ছাত্রলীগ নেতা পাভেল প্রমূখ।
মোহিত উর রহমান শান্ত বলেন, শেখ হাসিনা ছাড়া আর কারো উপর আস্থা রাখার দরকার নাই। শেখ হাসিনা ছাড়া আওয়ামী লীগের কিছু নাই। মানুষের তার ওপর আস্থা ভালোবাসা ছাড়া আওয়ামী লীগের কিছু নাই। আমরা যারা তাঁর নেতাকর্মী আমরা তার আলোয় আলোকিত। শেখ হাসিনার আলো যদি নিভে যায়। সেদিন আমাদের কারো কিছু করার থাকবেনা। বাংলাদেশের আলো নিভে যাবে।
মোহিত উর রহমান শান্ত নিজের বক্তব্যের শেষ দিকে বলেন, শেষ করার আগে একটি কথা বলি বক্তারা সবাই সেই কথা এখানে তুলেছেন। আমিনুল হক শামীম সাহেব একজন ব্যবসায়ী মানুষ সদ্য আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন। তিনি এই ঈশ্বরদিয়া ইউনিয়নে, আমার বাবার হাত ধরে যারা নেতা হয়েছিল সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক মন্ডল, যাকে আমি নেতা বানিয়েছিলাম এই জুটমিলের সভাপতি বানিয়েছিলাম ওসমান চাচা, তাদের সামনে রেখে উনি কিছু কথা বলে গেছেন।
শান্ত বলেন, আমি মোহিত উর রহমান শান্ত আমার রাজনৈতির বয়স ২৮ বছর। আমি স্বৈরাচার বিরোধী এরশাদ আমলে জিল্লু ভাই বাবু ভাইদের মিছিলের সামনে, পেছনে পেছনে ছোট্ট ছেলে রাজনীতি করেছি। আমি যদি বলতে চাই তাহলে তো তিনি অনেক সম্মানিত হয়ে যাবেন। কারণ আমি মানুষ হিসেবে না, আমি একজন আওয়ামী লীগার হিসেবে বঙ্গবন্ধুর কর্মী হিসেবে, জননেত্রী শেখ হাসিনার কর্মী হিসেবে আমি তার চাইতে অনেক বেশি সমৃদ্ধ। এখানে আমার অনেক নেতা-কর্মী আছেন আমার সবচাইতে কনিষ্ঠকর্মীর রাজনৈতিক বয়স ১০ থেকে ১২ বছরের নিচে না।
তিনি আমিনুল হক শামীম সাহেবকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনাকে আওয়ামী লীগার হতে হলে আরো কয়েকটি বছর আওয়ামী লীগ করতে হবে। কারণ বিগত আমলে যখন আপনি বিএনপি করেছেন, সাবেক ছাত্রদলের নেতা ছিলেন এই গন্ধ মুছতে মুছতে আপনার অনেক দিন চলে যাবে। এরপর যদি রাজনীতি ছেড়ে দেই, আল্লাহ আপনাকে বাঁচিয়ে রাখুক অনেক বছর, আমরা সবাই রাজনীতি ছেড়ে দিলেও যতদিন বাঁচবো, ততদিন আপনি জয়বাংলা বলতে বলতে আমাদের সমকক্ষ হতে পারবেন না।
শান্ত বলেন, আরেকটি কথা। “আপনি যে কথাগুলো তুলেছেন, আমাকে নিয়ে যে কথাগুলোর অবতারণ করেছেন”। “যেই জায়গায় করেছেন, যাদেরকে নিয়ে করেছেন, তাদের আঙ্গীনায় এই চরাঞ্চলের হাজার হাজার মানুষকে সাথে নিয়ে খুব তাড়াতাড়ি একটি জনসভা করবো”। “সেই জনসভায় আমি আপনার সম্বন্ধে খালি তিনটি কথা বলবো, এরপর দিন যদি আপনি সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ হিসেবে ময়মনসিংহে মুখ দেখাতে পারেন তাহলে আমি মোহিত উর রহমান শান্ত ময়মনসিংহ ছেড়ে দিবো”।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ মহানগর যুবলীগ সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক রাসেল পাঠান, ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সরকার মোহাম্মদ সব্যসাচী, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফয়জুর রাজ্জাক ঊষাণ, জেলা যুবলীগ সদস্য পিন্টু সরকার, সেলিম উদ্দিন, এবিএম আক্তারুজ্জামান রবিন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ যুগ্মসাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ পান্না, যুবলীগ নেতা রাফিউল রাজ্জাক বাদশা, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা ফয়জুর রহমান মারুফ, আবুল হোসেন, মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা প্রিয়ম প্রমূখ।