বিল্লাল হোসেন প্রান্তঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আগামী পাঁচ বছরে আমরা দেড় কোটি কর্মসংস্থানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি। সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কাজ এগিয়ে চলেছে। এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগের জন্য আসছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের সামনে সবচেয়ে বড় দায়িত্ব শিক্ষিত তরুণদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা। তরুণদের কর্মসংস্থানের জন্য আমরা বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ শর্তে আর্থিক সহায়তা প্রদানসহ বিভিন্ন সুবিধা-নিশ্চিত, তরুণ নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ সুবিধা ও প্রণোদনা প্রদান, সরকারি উদ্যোগে কর্মসংস্থান পরিকল্পনা, তরুণ উদ্ভাবকদের উদ্ভাবনসমূহ আন্তর্জাতিকভাবে পেটেন্ট করার উদ্যোগ গ্রহণ, দেশ-বিদেশে কর্মে নিয়োগের জন্য কারিগরি বিষয়ে দক্ষ কর্মী তৈরি এবং কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন দক্ষ জনবল গড়ে তোলার জন্য প্রতিটি উপজেলায় একটি করে কারিগরি কলেজ স্থাপন করা। ইতোমধ্যে কারিগরি কলেজ স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে।’
শুক্রবার (২৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। চতুর্থবারের মতো সরকারপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর প্রথম ভাষণ এটি।
সরকারপ্রধান বলেন, ‘সারাদেশে ২ ডজনের বেশি হাইটেক পার্ক এবং আইটি ভিলেজ নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলছে। কৃষি, মৎস্য, পশুপালন, পর্যটন, সেবাখাতসহ অন্যান্য খাতে প্রাতিষ্ঠানিক এবং আত্মকর্মসংস্থানের ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। আমরা চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলো যথাসময়ে শেষ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। বিশেষ করে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, মহেষখালী-মাতারবাড়ি সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্পসহ ফাস্ট ট্রাক মেগা প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন কাজে গতি আনা হবে।’
প্রসঙ্গত, গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২৮৮টি আসন পেয়ে সরকার গঠন করে। বিজয়ী সংসদ সদস্যরা ৩ জানুয়ারি শপথ গ্রহণ করেন। এরপর ৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন সরকারের ২৪ জন মন্ত্রী, ১৯ প্রতিমন্ত্রী ও তিনজন উপমন্ত্রীকে শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।