বিল্লাল হোসেন প্রান্তঃ
ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মজিবুর রহমান খান মিল্কীর নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মরহুমকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষ বিদায় জানানো হয়।
আওয়ালী লীগ অন্তপ্রাণ এই নেতার মৃত্যুতে ময়মনসিংহে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ময়মনসিংহ আওয়ামীলীগ পরিবারে। প্রিয় সহযোদ্ধার বিদায়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক ধর্মমন্ত্রী আলহাজ অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। একসাথে রাজনীতিতে সকল আন্দোলন সংগ্রামে মরহুম মজিবুর রহমান খান মিল্কীর আবদান ও জেল জুলুম অতিক্রম করে বিশ্বস্ততার সাথে রাজনৈতিক অঙ্গনে অবদানের কথা স্মরণ করেন তিনি।
শোক প্রকাশ করেছেন ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এড.জহিরুল হক খোকা, সাধারন সম্পাদক এড. মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন আহমেদ, মরুহমের ছেলে।
জানাজায় শরিক হন ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি আলহাজ এহতেশামুল আলম, সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্ত, সিটি করপোরেশন প্রশাসক ইকরামুল হক টিটুসহ সামাজিক, রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ব্যাক্তিবর্গ।
শনিবার রাত ৭টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তিনি ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির দুইবারের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। দায়িত্ব পালন করেন ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সহসভাপতি হিসাবে।
শত শত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীসহ হাজারো মুসল্লির উপস্থিতিতে রবিবার ২৩ ডিসেম্বর আঞ্জুমান ঈদগাহ মাঠে মরহুমের নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়।
মজিবুর রহমান মিল্কি মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদান রেখেছেন। তার নেতৃত্বেই মুক্তিযুদ্ধের সময়কালে আইয়ুব খানের জনসভা পণ্ড করে দিয়েছিলেন ময়মনসিংহের স্বাধীনতার স্ব-পক্ষের জনতা।
কিশোরগঞ্জের ইটনা থানার রাইটুটি গ্রামে জন্ম নেয়া এ সাহসী নেতা উন্নত পড়াশোনার জন্য কৈশোরেই ময়নসিংহ শহরে চলে এসেছিলেন। আর সেই থেকে মৃত্যু অবধি আওয়ামী লীগ এর রাজনীতি করে গেছেন মনে প্রাণে। মৃত্যুকালে তার ২ সন্তান সহধর্মিণীসহ হাজার হাজার গুনগ্রাহি রেখে গেছেন।
নগরীর গুলকিবাড়ি পারিবারিক গোরস্তানে বীর মুক্তিযোদ্ধা মজিবুর রহমান খান মিল্কীকে চির নিদ্রায় শায়িত করার কথা রয়েছে।