ডেক্স নিউজ : কয়েকদিনের ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার অষ্টধার ইউনিয়নে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।
এক সপ্তাহে উপজেলার অষ্টধার ইউনিয়নে রাস্তা ঘাটসহ শতাধিক বসতবাড়ি ও এক শতাধিক একর ফসলি জমি নদে বিলীন হয়ে গেছে। নদের ভাঙনের তীব্রতার কারণে সংশ্লিষ্ট এলাকার পরিবারগুলো তাদের ঘরবাড়ি সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধির কারণে অষ্টধার ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সেনেরচর, তারাপুর সেনেরচর,রেহাই তারাপুর, ঝাপারকান্দা গ্রামে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে।
ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তীব্র স্রোত দেখা দিয়েছে। প্রবল স্রোতের কারণে উজানের ভাঙনে তারাপুর সেনেরচর, ঝাপারকান্দা গ্রামের আবাদি বিভিন্ন ফসলের জমি নদে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে এসব আবাদী জমিতে বেগুন, মরিচ, পটল, কড়লা, শসা, ঢেঁড়স, পাটসহ নানাবিধ ফসল রয়েছে। কিন্তু নদের ভাঙনের কারণে সেসব ফসল কৃষকরা ঘরে তুলতে পারছেন না।
অষ্টধার ইউনিয়নের ঝাপারকান্দা গ্রামের জয়নাল আবেদীন জানান, ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে চরাঞ্চলের লোকজন দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এ সময় নদী ভাঙনের কথা নয়। অথচ গত চার মাস থেকে দফায় দফায় নদে ভাঙন চলছে। যার কারণে অষ্টধার ইউনিয়নের পাচশ বিঘা ফসলি জমি ইতিমধ্যে নদে বিলীন হয়ে গেছে।
চরের মানুষ শাকসবজির আবাদ করে ৬ মাস সংসার চালায়। কিন্তু এ বছর নদে ভাঙন অব্যাহত থাকায় কৃষকরা শাকসবজি ঘরে তুলতে পারছে না।
তিনি জানান, তার দুই বিঘা জমির তোষাপাট ও এক বিঘা জমির পটোল ক্ষেত নদে বিলীন হয়ে গেছে। তাই ভাঙনরোধে একটি স্থায়ী বাঁধের নির্মাণের দাবি স্থানীয়দের। ১নং অষ্টধার ইউপি চেয়ারম্যান মো: তারেক হাসান জানান, ড্রেজিং করে নদের স্বাভাবিক গতিপথ ঠিক রাখা ছাড়া ভাঙন রোধ সম্ভব নয়। কারণ দীর্ঘদিন ধরে পলি জমে নদের গতিপথ পরিবর্তন হয়েছে। নদের ভাঙন ঠেকাতে হলে স্থায়ীভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ হাফিজুর রহমান জানান, আমি ব্রহ্মপুত্র নদে ভাঙ্গন কবলিত ঝাপারকান্দা গ্রাম পরিদর্শন করেছি। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
তিনি আরো জানান, ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে নগদ অর্থ প্রদান করেছি। এবং উক্ত ক্ষতিগ্রস্থ লোকদের পুন:বাসনের ব্যবস্থা নিতে কাজ করে যাচ্ছি ।