বিল্লাল হোসেন প্রান্ত ॥
‘এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার শ্রেষ্ঠ সময় তার’ আধুনিক কবি হেলাল হাফিজের এ কবিতাটি দেশ সমাজ জাতি গঠনে যুব সমাজকে উজ্জীবিত করে। দেশ গড়ার যুদ্ধে উন্নয়নের মশাল নিয়ে এগিয়ে যেতে ময়মনসিংহ সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে মাঠে নেমেছেন তারুণ্যে উদ্দীপ্ত যুবক মোস্তাফিজুর রহমান শাহীন।
তিনি ময়মনসিংহ সদর উপজেলা যুবলীগ নেতা। যিনি ইতিমধ্যে তার দুরদর্শী সাংগঠনিক তৎপরতার প্রমাণ রেখেছেন জেলা যুবলীগকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করতে। ১শ ওয়ার্ড ও ইউনিয়নে যুবলীগের যোগ্য নেতৃত্ব একাট্টা করতে জেলা যুবলীগকে সর্বাত্মকভাবে সহায়তা করতে সমর্থ হয়েছেন তিনি।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ময়মনসিংহ জেলা ইউনিট সদ্য সাবেক সহকারী কামান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ইবাদুল ইসলাম সরকারের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান শাহীন । তিনি বর্তমানে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড যুগ্ম আহবায়ক এর দায়িত্ব পালন করছেন।
যদিও এবার উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রার্থী দেবেন না আওয়ামী লীগ। তবে সম্প্রতি সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ এর নির্বাচনী বিশেষ বর্ধিতসভায় নিজের প্রার্থীতার দরখাস্ত করেছেন শাহীন। সেখানে তিনি আওয়ামী লীগ তৃণমূলের নিরংকুশ সমর্থন লাভ করেন।
মোস্তাফিজুর রহমান শহীন চরাঞ্চলের ১৩ ইউনয়নে যুবলীগের পরিচিত মুখ। দল মত নির্বিশেষে তিনি সাধারণ জনগণের কাছে ক্লিন ইমেজের জনপ্রিয় ব্যাক্তিত্ব। যার কর্ম দক্ষতা, সততা, বিনয়ী আচরণ সর্বস্থরের জনগণকে মুগ্ধ করেছে। ইতিমধ্যে মোস্তাফিজুর রহমান শাহীনের প্রার্থীতার খবর জেলা সদরে চমক সৃষ্টি করেছে। সাধারণ জনগণ ও ভোটাররা তাকে নির্বাচীত করতে সবুজ সংকেত দিয়ে এগিয়ে যাবার পক্ষে সমর্থন দিয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধের চেতনায় উদ্ভাসিত যুবক মোস্তাফিজুর রহমান শাহীন বলেন, যদিও এবার ভাইস চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রার্থী দিচ্ছেনা আমার প্রাণের সংগঠন আওয়ামী লীগ। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি আমার দলের সকল স্থরের নেতাকর্মীদের দোয়া ও ভালোবাসা আমার সাথে আছে।
তিনি বলেন, আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসাবে মনে প্রাণে বিশ্বাস করি দেশ ও সমাজ উন্নয়নে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের আদর্শ ও জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা আমার বিজয়ের বাতিঘর। এই আদর্শকে আমি বুকে ধারণ করে সামনে এগিয়ে যেতে চাই।
তিনি বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহন মানে সমাজকে এগিয়ে নিতে কাজ করার একটি প্লাটফর্ম তৈরি করা মাত্র। আমি জয়ী হলে জনকল্যাণে সরাসরি ভূমিকা রাখতে পারবো। ভোটযুদ্ধে জনগণ আমাকে না চাইলেও আতীতের ন্যায় আমি স্বাধীনতার স্বপক্ষের সেনানি হয়ে সর্বস্থরের জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাবো। আমি যেভাবেই হোক জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন কার্যক্রম তরান্বিত করার যুদ্ধে নিজেকে নিয়োজিত রেখেই নিজের পথ চলতে চাই। এটাই আমার অঙ্গিকার।