বিল্লাল হোসেন প্রান্তঃ
ময়মনসিংহে ডাঃ মুশফিকুর রহমান শুভ বালিকা উচ্চবিদ্যালয় সিটি করপোরেশন কর্তৃক উচ্ছেদের প্রতিবাদে ও পুনরায় চালুর দাবিতে সর্বস্থরের জনগণকে সাথে নিয়ে মানববন্ধন করেছে নগরীর ১০ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ। এ ঘটনায় সম্প্রতি পর্যায়ক্রমে মহানগরীর ৩৩ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠন মানববন্ধন করছে।
এরই ধারাবাহিকতায় ২৩ নভেম্বর গাঙ্গিনারপাড় প্রেসক্লাব চত্বরে এ মানববন্ধন আয়োজন করে ১০ নং ওয়ার্ড এলাকাবাসী।
ময়মনসিংহ নগরীর আকুয়া ফুলবাড়িয়া রোডের পরিত্যক্ত ময়লা আবর্জনার ভাগাড় পরিস্কার করে আকুয়া এলাকাবাসীর উদ্যােগে ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত করা হয় ডাঃ মুশফিকুর রহমান শুভ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। যা গত ৯ নভেম্বর সিটি করপোরেশন বুলডোজার চালিয়ে গুড়িয়ে দেয়।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মাহবুবুর রহমান বিপ্লব, ১০ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সমীর কুমার ঘোষ, মাহবুবুল আলম সিদ্দিক রাজীব, সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান রাসেল, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক দাসু ঘোষ, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক দুলাল ঘোষ, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ফেরদৌস আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ যুগ্ম সম্পাদক দেবাশীষ পান্না, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সদস্য মোঃ নজিবুল হক, জেলা যুবলীগ সদস্য রাশেদুল হক রনি, সৈয়দ তানিম, পিন্টু সরকার, ছাত্রলীগ নেতা অমিত মিশ্র প্রমুখ।
মানববন্ধন থেকে পুনরায় স্কুলটি চালুর দাবি জানানো হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে ময়মনসিংহ সিটি মেয়র ইকরামুল হক টিটুর প্রয়াত মায়ের নামে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে তা কতটুকু বৈধতার নিমিত্তে করা হয়েছে?
বক্তারা বলেন, স্কুলটির জমি সংলগ্ন স্থানে একাধিক সমিতি, নামে বেনামে প্রতিষ্ঠান ও বসতবাড়ী গড়ে উঠতে পারলে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেন উচ্ছেদের নামে গুড়িয়ে দেয়া হলো? স্কুলটি সাবেক ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের প্রায়ত পুত্র ডাঃ মুশফিকুর রহমান শুভর নামে হওয়ার কারনেই কি গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে কি না এমন প্রশ্নও উঠেছে মানববন্ধন থেকে।
উল্লেখ ডাঃ মুশফিকুর রহমান শুভ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেনী থেকে নবম শ্রেনীর পর্যন্ত ২৬০ জন নারী শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত। স্কুলটি বন্ধ হয়ে গেলে যাদের বেশির ভাগ শিক্ষার্থীর জীবন চরমভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। কারণ এ স্কুলটিতে প্রায় ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী নিন্ম আয়ের পরিবার থেকে এখানে বিনাবেতনে পড়ালেখা করতো। নারী শিক্ষায় অগ্রজ এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির বিলুপ্তি ঘটলে ময়মনসিংহ হারাবে নারী শিক্ষায় অবদান রাখা একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।