বিল্লাল হোসেন প্রান্তঃ
কারাগারে একে অপরের সাথে পরিচয়। সেখানে বসেই পরিকল্পনা। ২৫/৩০ জনের ডাকাত টিম গঠন। জামিনে বের হয়েই মেঘনা গ্রুপের ডিপোতে ডাকাতি । ৮ হাজার ৩৮৮ বোতল সয়াবিন তেল, একটি ট্রাক, নগদ ২ লাখ ১১ হাজার টাকাসহ প্রায় ৩০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নেয় এই আন্তজেলা ডাকাত চক্র।
৮ ডাকাত সদস্যকে গ্রেফতার ও ৪ হাজার লিটার তেল উদ্ধার করে ১ নভেম্বর প্রেসব্রিফিংএ এসব তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহম্মাদ ভূঁঞা।
পুলিশ সুপার জানান, গত ২৯ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে বেলতলী মেঘনা গ্রুপের তেলের ডিপোতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মামলা হলে মাঠে নামে কোতোয়ালী পুলিশের একটি চৌকাশ অভিযানীক টিম।
২৫ সেপ্টেম্বর লুটকরা মোবাইলসহ গাজীপুরের টঙ্গী থেকে নজরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর একে একে জামাল হোসেন, আবু সাঈদ সৈকত ওরফে শওকত, বদল ওরফে আসলাম, মোঃ ইন্তাজ আলী, রাকিব ও ইউনুছকে গ্রেফতার করা হয়। সবশেষ ৩১ অক্টোবর শরীয়তপুর থেকে আবুল কালামকে গ্রেফতার করলে তার কাছ থেকে ৪ হাজার লিটার তেল উদ্ধার করে কোতোয়ালী পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত নজরুল ইসলাম, আবু সাঈদ সৈকত ওরফে শওকত, আসলাম ডাকাতির সাথে সম্পৃক্ততা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তি প্রদান করে বলে জানান জেলা পুলিশ সুপার।
ওসি শাহ কামাল আকন্দের নির্দেশনায় তদন্ত ওসি ফারুক আহমেদের নেতৃত্বে এসআই মিনহাজ, এসআই নিরুপম নাগ, এএসআই সুজন চন্দ্র সাহা ডাকাত চক্র সনাক্ত ও গ্রেফতার অভিযান পরিচালনা করেন। দক্ষ এ অফিসাররা এর আগেও ক্লুলেস হত্যাসহ চাঞ্চল্যকর অপরাধের ঘটনা উন্মোচন করে আসামী গ্রেফতারে সক্ষম হন।
পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেসব্রিফিংএ ময়মনসিংহে কর্মরত প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক, অনলাইনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিক জেলা পুলিশের বিভিন্ন স্থরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।