বিল্লাল হোসেন প্রান্তঃ
দীর্ঘ প্রায় ৪ বছরে পুর্ণাঙ্গ হয়নি ময়মনসিংহ ছাত্রলীগের কমিটি। তবে এ দীর্ঘ সময়ে ময়মনসিংহের রাজপথে সংগঠনের সকল কর্মসূচি, সরকারের সকল উন্নয়নের পাশে থেকে জেলা ছাত্রলীগ রেখেছেন বলিষ্ঠ ভূমিকা। সভাপতি রকিবুল ইসলাম রকিব সাধারণ সম্পাদক সরকার মোঃ সব্যসাচীর নেতৃত্বে একঝাক কর্মী পরিনত হয়েছে যোগ্য নেতৃত্বদানকারী নেতা। যাদের দক্ষতা, একনিষ্ঠতা, বলিষ্ঠ নেতৃত্বে উদ্দীপ্ত ছিলো ছাত্রলীগ। দেশ বিরোধী জামায়াত বিএনপির সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে সরব রয়েছে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি ময়মনসিংহ ছাত্রলীগ।
সেই যোগ্য কর্মীবাহিনী আজও পেলোনা তাদের কর্ম ও দক্ষতার স্বীকৃতি। আজও হলোনা ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের কমিটি পূর্ণাঙ্গ। পাছে স্বার্থনেসী একটি মহল উঠে পড়ে লেগেছে বর্তমান নেতৃত্বের গড়ে তোলা হাজার হাজার কর্মীদের রাজনৈতিক ডার্ক রুমে পাঠাতে। যেখান থেকে বের হয়ে ভবিষ্যৎ পদপদবী ধারন করা যাদের জন্য হবে ডুমুরে স্বপ্ন। রাজনীতির এ ভবিষ্যত একজন প্রকৃত আদর্শিক কর্মীকে কতটুকু হত্যা করে তা শুধু তারাই বুঝে।
বিশেষ মহলে সমালোচনা রয়েছে ময়মনসিংহ ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিচ্ছে বিবাহিত নেতারা। কথা সত্য। তবে তাদের বিয়ে করার ফলে তারা ছাত্রত্ব হরায়নি। একান্ত পারিবারিক প্রয়োজনে তারা নেতৃত্বে থেকেও বিয়ের পিরিতে বসেছেন। এটিও সত্য। নেতৃত্বের দু জন নেতার পরিবারেই তাদের বিয়েটি অতিব জরুরী হয়ে পড়েছে। তবে এদের কেউই পদ পাওয়ার আগে বিয়ে করেনি বা প্রয়োজন হয়নি। দীর্ঘ ৪ বছরে নেতৃত্বের দু পরিবারেই ঘটে যাওয়া আকস্মিকতায় এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন তারা। তাদের এ প্রয়োজনিয়তার অপারগতা পুরো কর্মীবাহিনীকে নিরাশ করলে তা হবে নির্মম কশাঘাত।
২০১৬ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এম সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাবেক সাধারন সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন এর যৌথ স্বাক্ষরিত প্যাডে ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পান মোঃ রকিবুল ইসলাম রকিব ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পান সরকার মোহাম্মদ সব্যসাচী। এরপর থেকে আজ পর্যন্ত ময়মনসিংহের রাজপথে সংগঠনের সকল কর্মসূচি বাস্তবায়ন ও সরকারের সকল উন্নয়নের প্রচার প্রচারণায় ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগ বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে।
তাদের নেতৃত্বে ময়মনসিংহ ছাত্রলীগে এক ঝাঁক তরুণ,পরিশ্রমী ও দক্ষ যোগ্য কর্মী বাহিনী তৈরি হয়েছে যারা দেশ বিরোধী জামাত-বিএনপি’র সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে রাজপথে সর্বদা সরব ও জাগ্রত ভূমিকা রেখেছে।
কিন্তু কোন এক অশুভ ছায়া ময়মনসিংহের রাজপথে সৃষ্ট এসকল কর্মীদের তাদের প্রাপ্য সাংগঠনিক পরিচয় রুখে দিতে দীর্ঘ দিন ধরে বিরামহীন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
আলোচনায় আছে ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের দক্ষ কর্মী বাহিনী তাদের অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করেছে এরপরও ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগ তাদের বহুল কাঙ্ক্ষিত পূর্ণাঙ্গ কমিটি থেকে বারবার বঞ্চিত হয়েছে।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ রকিবুল ইসলাম রকিব বলেন, দেখুন,বিগত সময়ে ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্দেশনা বাস্তবায়ন,জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে পুনরায় ক্ষমতায় আনার ক্ষেত্রে,সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে প্রচলিত গুজব রুখে দিতে,বিএনপি-জামাতের আগ্রাসন প্রতিহত করতে,শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টিতে ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগ সর্বদা বিচক্ষণ ভূমিকা রেখেছে যা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নির্দ্বিধায় স্বীকার করে নিয়েছে।
কিন্তু আক্ষেপের বিষয় হচ্ছে আমরা এ যাবত যতবারই আমাদের প্রাপ্য অধিকারের সাংগঠনিক স্বীকৃতি চাইতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দ্বারস্থ হয়েছে ঠিক ততবারই স্থানীয়ভাবে আমাদের বাধা প্রদান করা হয়েছে। সত্যি বলতে কি আমরা ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগ রাজপথে রাজনীতিতে সবসময়ই আওয়ামীলীগের সহায়ক ভূমিকা পালন করেছি কিন্তু পরিণামে বারবার প্রহসনের শিকার হয়েছি।”
ইতিপূর্বে ২০ মে তারিখে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে যে সকল সাংগঠনিক ইউনিট পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি তাদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে মাধ্যমে জমা দেওয়ার নির্দেশ করা হয়েছে।এরপর থেকে ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের প্রত্যেক কর্মী মধ্যে আবারও আশা জেগেছে এবং রাজপথ প্রাণের সঞ্চার ঘটেছে।
তারই ধারাবাহিকতায় ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগ তাদের পূর্ণাঙ্গ কমিটির একটি কপি ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ও উপ দপ্তর সম্পাদকের প্রত্যক্ষ উপস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দপ্তর সেলে জমা হয়েছে।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, শিক্ষা শান্তি প্রগতির পতাকা হাতে দেশ মাতৃকার সেবায় নিজেকে সর্বদাই নিবেদীত রেখেছি রাজপথে। দলের সকল নির্দেশনা বাস্তবায়ন করেছি। ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগ তাদের কর্মীদের প্রাপ্য সাংগঠনিক স্বীকৃতির আশায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতৃত্বের দিকে আশায় তাকিয়ে আছে। তারা যে সিদ্ধান্ত নিবেন মাথা পেতে নিবো আতীতের মতো।