বিকাল ৩:৫৫ | বৃহস্পতিবার | ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ময়মনসিংহ রাজনীতির প্রিন্সিপাল অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের জীবন বৃত্তান্ত

বিল্লাল হোসেন প্রান্তঃ

রাজনীতির আকাশে নক্ষত্র অনেকেই কিন্তু ধ্রুবতারা একটাই। তিনি সেই ধ্রুবতারা। ময়মনসিংহের রাজনীতির প্রবাদ পুরুষ। অবিসংবাদিত নেতা। ময়মনসিংহ রাজনীতির প্রিন্সিপাল। জনগন তাকে দিয়েছে আন্তরিক খেতাব। মাটি ও মানুষের নেতা। ময়মনসিংহের মাটি ও মানুষের নেতা তিনি। আলহাজ অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের আদর্শের অবিচল অনুসারী। বঙ্গবন্ধু তাকে আদর করে ডাকতেন ‘মতিমালা’। গণতন্ত্রের মানসকন্যা,রাষ্ট্রনায়ক, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের একজন সক্রিয় পরীক্ষিত সৈনিক। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রতিষ্ঠায় নিবেদিতপ্রাণ দক্ষ সংগঠক। আন্দোলন সংগ্রামে ময়মনসিংহের রাজপথের লড়াকু সিপাহশালার। জনগনের সুখ-দুঃখ,আনন্দ-বেদনায় তিনি সম্পৃক্ত। রজনৈতিক সততা,ত্যাগ তিতীক্ষার অগ্নি পরীক্ষায় বার বার উত্তীর্ণ আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান জননেতা। নিস্বার্থ জননেতার প্রতিকৃতি যাকে করেছে ময়মনসিংহের রাজনীতির প্রিন্সিপাল।

 

 

আলহাজ অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। জনপ্রিয় জননেতা। সেই নেতার রাজনৈতিক জীবন:আদর্শ ও সংগ্রাম সমাজসেবা ও উন্নয়নে অবদানে জনগনকে করেছে মুগ্ধ। । দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের পরিক্রমায় ময়মনসিংহের রাজনীতির অগ্রযাত্রা হয়েছে বেগবান। সারাদেশের তুলনায় ময়মনসিংহে রাজনৈতিক শান্তিপূর্ন আবহ ধরে রাখতে অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের প্রগতিশীল ও ইতিবাচক রাজনীতি অন্যতম নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে আপোষহীন নেতৃত্ব দিতে গিয়েই সময়ের সাহসী সন্তান অধ্যক্ষ মতিউর রহমান ময়মনসিংহের মানুষের বিপুল আস্থা ও ভালোবাসায় সমৃদ্ধ হন। সে সময়ই তৎকালীন জান্তা শাসনের রক্তচক্ষু ও লোভলালসা উপেক্ষা করে তিনি আদর্শের পতাকা তুলে ধরেন। জনগনের প্রত্যাশা আশা আকাঙ্খা সেদিন মূর্ত হয়ে উঠেছিলো এই নেতার চারিত্র্যে।

 

রাজনৈতিক জীবনের উষালগ্নে এক অগ্নিযুগের সংগ্রামী হিসেবেও তিনি নেতৃত্বে অগ্রনী ভূমিকা রেখেছেন। ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে ময়মনসিংহের অধ্যায়ে তার নাম লেখা থাকবে স্বার্ণাক্ষরে। ১০ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ মুক্ত দিবসে মুক্তিযোদ্ধা জনতার যে র‌্যালী হয় তার অন্যতম নেতৃত্বদানকারী এই বীর মুক্তিযোদ্ধা স্থানীয় ইতিহাসের মহানায়ক। ময়মনসিংহে আওয়ামী রাজনীতির প্রাণ পুরুষ। সর্বজন শ্রদ্ধেয় জননেতা।

 

১৫ আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর দেশের জটিল রাজনীতিতে অনেক প্রতিকুলতার সুত্রপাত ঘটে। যা জিয়া থেকে শুরু করে এরশাদ পর্যন্ত প্রলম্বিত। এ সময়ে কারাবরণ, অনেক হুমকি আর মন্ত্রীত্বের প্রলোভন উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি ধরে রাখার ইতিহাস আলহাজ অধ্যক্ষ মতিউর রহমানেরই রাজনৈতিক বৈশিষ্ট্য ও জীবনের অধ্যায়। রাজনৈতিক জীবনে ঘাত প্রতিঘাতের মূর্ত প্রতীক এই নেতা ময়মনসিংহের ৪ সিনেমা হলে একযোগে বোমা হামলা মিথ্যামামলার আসামী হয়ে পুত্র মোহিত উর রহমান শান্ত সহ কারান্তরীন ছিলেন বিএনপি জামাত ৪ দলীয় জোট সরকারের আমলে ও ষড়যন্ত্রে। সহ্য করেছেন অসহনীয় নির্যাতন। একাধারে ২৩ মাস আটক রেখে নির্যাতন চালিয়েছিলো তার উপর। ১/১১ পরবর্তী সময়ে সংস্কার পন্থীদের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের পক্ষে আলহাজ্ব অধ্যক্ষ মতিউর রহমানই সর্বপ্রথম গর্জে উঠে ছিলেন। বলেছিলেন নেত্রীকে মাইনাস করে বাংলাদেশে কোন রাজনীতি নয়। কেউ যদি করেন তবে ময়মনসিংহে তাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দিলাম। এই হলেন মতিউর রহমান বঙ্গবন্ধুর আদর্শ জননেত্রীর নেতৃত্ব আর আওয়ামী লীগের জন্য দৃষ্টান্ত। এক জীবন্ত কিংবদন্তী।

 

 

বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় আওয়ামীলীগ সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার এক কথায় নি:শর্ত ভাবে তার নির্বাচনী এলাকা ময়মনসিংহ সদর আসনে তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেন। এই আসনে জাতীয় পার্টির নেতা বেগম রওশন এরশাদকে ছাড় দেন। যা বিরল ও ঐত্যিহাসিক। নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্য প্রকাশে একজন কর্মীর ভূমিকার অনন্য দৃষ্টান্ত প্রিন্সিপাল মতিউর রহমান। সেই সুবাদে আজ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতায় দেশ এগিয়ে চলেছে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে । জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা পেয়েছে ময়মনসিংহ। আর প্রধানমন্ত্রী তাকে মন্ত্রিসভায় সদস্য পদ দিয়ে ধন্য করেছেন। উন্নয়নের পথে ময়মনসিংহ পেয়েছে বিভাগ। সর্বোপরি ময়মনসিংহের উন্নয়নের রূপকার একজন মতিউর রহমান।

 

বঙ্গবন্ধু থেকে বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনার রাজনৈতিক নেতৃত্বের ধারাতেই পথ চলেছেন অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। ৫৭ বছরের রাজনৈতিক জীবনে প্রায় ১৩ বছর তিনি ছিলেন ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সভাপতি । দিয়েছেন বলিষ্ঠ নেতৃত্ব। ময়মনসিংহ জেলার তৃণমূলে আওয়ামী লীগ এর নেতাকর্মী সমর্থকদের এক প্রিয় নাম অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। বর্তমান জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নয়া নেতৃত্বে তার উত্তরসূরী ও নতুন প্রজন্ম ময়মনসিংহের রাজনীতিতে নতুন ধারার সূত্রপাত করেছে। যা ভবিষ্যৎ স্থানীয় নেতৃত্বকে অভিষ্ঠ লক্ষ্যে নিয়ে যাবে । সেই সাথে আগামী দিনের রাজনীতির ভারসাম্য ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আলহাজ্ব অধ্যক্ষ মতিউর রহমান এর নেতৃত্বের প্রভাব ও দিক নির্দেশনার প্রতি রয়েছে জনগনের অগাধ আস্থা ও বিশ্বাস। ময়মনসিংহ বিশ্বাস করে জনগন মনে করে ময়মনসিংহ বিভাগে আওয়ামী রাজনীতিতে প্রিন্সিপাল মতিউর রহমান রয়েছেন অসমান্য উচ্চতায়। তার বিকল্পহীন নেতৃতের প্রতি গনমানুষের আস্থা ও সম্মান নিারংকুশ। বর্ষীয়ান এই জননেতা শুধু ময়মনসিংহ বা ময়মনসিংহবিভাগ নয়,তিনি বাংলাদেশের ইতিবাচক রাজনীতির দৃষ্টান্ত।

জন্ম ও প্রাথমিক জীবন:
মতিউর রহমান ১৯৪২ সালের ৮ ফেব্র“য়ারি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার আকুয়া গ্রামের এক সম্ব্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।তার পিতার নাম আবদুর রেজ্জাক এবং মায়ের নাম মেহেরুন্নেসা খাতুন।

 

 

শিক্ষা জীবন:
মতিউর রহমান আকুয়া মডেল প্রাইমারি স্কুল থেকে ১৯৫৩ সনে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করেন   ।  এ সময় তিনি বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলায় প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় প্রথমস্থান অধিকার করেন।১৯৫৪ সনে ময়মনসিংহ জেলা স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হন এবং সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত লেখা পড়া করেন।এরপর তিনি নকলা উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি সম্পন্ন করেন।নবম ও দশম শ্রেণি পর্যন্ত ময়মনসিংহের মৃত্যুঞ্জয় স্কুলে পড়াশুনা করেন এবং ১৯৫৮ সনে মেট্রিক পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন।ময়মনসিংহ আনন্দমোহন কলেজ থেকে ১৯৬১ সনে বিজ্ঞান বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।এরপর ১৯৬৪ সনে আনন্দমোহন কলেজ থেকে বিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।এ সময় তিনি গফরগাঁও থানার পাঁচবাগ উচ্চ বিদ্যালয় এবং মনোহরদি হাতিরদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে বি.এস.সি. শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।এরপর ১৯৬৬ সনে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাণিবিদ্যা বিভাগে ভর্তি হয়ে ১৯৬৭ সনে এম.এস.সি. সম্পন্ন করেন।এম.এস.সি. পাশের পর তিনি জামালপুর জেলার নান্দিনা কলেজ এবং ময়মনসিংহের নাসিরাবাদ কলেজে প্রাণিবিদ্যার শিক্ষক হিসেবে চাকুরী করেন।তিনি স্বল্পকালীন সময়ের জন্য ময়মনসিংহ কলেজেও শিক্ষকতা করেন।

 

 

রাজনৈতিক জীবন:
মতিউর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে তৎকালীন ঢাকা হল বর্তমানে ড. মুহম্মদ শহিদুল্লাহ হলের ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।১৯৫৮ সালে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগদান করেন।সাংগঠনিক জীবনে অধ্যক্ষ মতিউর রহমান দুইবার ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে ১৯৯৬ সাল থেকে ২০১৪ পর্যন্ত মোট ১৮ বছর দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সম্মানিত সদস্য হিসেবে ২বার দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে জননেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ মতিউর রহমান বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ১৪৯ (ময়মনসিংহ-৪) আসন থেকে ১৯৮৬ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে তিনি জাতীয় সংসদের অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।নবম সংসদে তিনি রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ি কমিটি’র সভাপতি, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি’র সম্মানিত সদস্য, জাতীয় সার সমন্বয় ও বিতরণ কমিটি’র সদস্য, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের সদস্য, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরসের গভর্নর, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।এছাড়া তিনি ১৯৯৬ সনে একবার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট মেম্বার এবং ২০০৮ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত পরপর তিনবার সিন্ডিকেট মেম্বার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।তিনি স্বাধীনতার পর থেকে মোট তিনবার ময়মনসিংহ পৌরসভার নির্বাচিত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।মতিউর রহমান রাজনৈতিক কারণে বিভিন্ন সময়ে কারাবরণ করেন।
১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭ সন পর্যন্ত দুই মেয়াদে দীর্ঘ ২৩ মাস কারাবরণ করেন।তিনি ২০০২ সালে ময়মনসিংহের চারটি সিনেমা হলে বোমা হামলার মিথ্যা মামলায় কারাবরণ করেন।শতপ্রলোভনের মুখে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির প্রতি অবিচল থেকে তিনি তাঁর সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করতে থাকেন।বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে অকৃত্রিম অবদানের জন্য অধ্যক্ষ মতিউর রহমান ‘মুজিব দর্শন বাস্তবায়ন পরিষদ’ কর্তৃক ২০০০ সালে ‘বঙ্গবন্ধু পদক’ লাভ করেন।

 

 

মুক্তিযুদ্ধে অবদান:
অধ্যক্ষ মতিউর রহমান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষক ও সফল সংগঠকের দায়িত্ব পালন করেন।এ সময় মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনে তিনি সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের ঢালু যুব শিবিরের ইনচার্জ ছিলেন।মহান মুক্তিযুদ্ধে ১১ নম্বর সেক্টরে তার নেতৃত্বে অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন এবং পাকিস্তানী বাহিনীর বিরম্নদ্ধ তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেন।তার নেতৃত্বে ১০ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ হানাদার মুক্ত হয়। তিনি বৃহত্তর ময়মনসিংহে অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন গড়ে তুলেন
১৯৬৯ সালের গণআন্দোলনে শাহাদাত বরণকারী আলমগীর মনসুর মিন্টুর নামে ১৯৬৯ সালে তিনি আলমগীর মনসুর মিন্টু মেমোরিয়াল কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত প্রায় ৩৪ বছর তিনি এ কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০২ সালে তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ মতিউর রহমান একাডেমী স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন এছাড়া তিনি প্রতিষ্ঠা করেন মেহের রাজ্জাক বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠা করেন বাসাবাড়ি মার্কেট ও গাঙ্গিনাপাড় হকার্স মার্কেট, ময়মনসিংহ। তিনি নাসিরাবাদ গার্লস স্কুল, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজ এবং নওমহল সানফ্লাওয়ার প্রি-ক্যাডেট স্কুল প্রতিষ্ঠায় বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। তাছাড়াও একাধিক মসজিদ মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন।

 

 

শিক্ষা ক্ষেত্রে অবদান:
একজন শিক্ষা উদ্যোক্তা ও শিক্ষা অনুরাগী হিসেবে তিনি বহু স্কুল ও কলেজ পরিচালনায় তার দক্ষ নেতৃত্বের গুণাবলীকে কাজে লাগিয়েছেন।তিনি ময়মনসিংহের নাসিরাবাদ কলেজ, ময়মনসিংহ মহাবিদ্যালয়, ময়মনসিংহ মহিলা ডিগ্রী কলেজ, আলমগীর মনসুর মেমোরিয়াল কলেজ, ইসলামি একাডেমী, আকুয়াবাড়ি মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি’র সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাছাড়াও ময়মনসিংহের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালন করেছেন।

 

 

পুরস্কার ও সম্মাননা:
অধ্যক্ষ মতিউর রহমান রাজনীতি, শিক্ষা, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ একাধিক পুরস্কার লাভ করেন। তিনি The United Cultural Convention, United State of America কর্তৃক ২০০৫ সালে International Peace Prize,পদকে ভূষিত হন। এছাড়াও তিনি International Biographical Center England কর্তৃক ২০০২ সালে Outstanding Intellectuals Of The 21st Century পদকে ভূষিত হন তিনি অভিনয়, নাটক, আবৃত্তিসহ নানা প্রকার সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর ১৯৬৭-৬৮ সেশনে প্রাণিবিদ্যা বিভাগ থেকে ফুটবল খেলা প্রতিযোগিতায় বিশেষ সম্মানে ভূষিত হন।

Print Friendly, PDF & Email

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ খবর



» আগামীকাল ময়মনসিংহ মেতে উঠবে স্বাধীনতা কনসার্টে

» ভাষা শহীদদের প্রতি সংসদ সদস্য মোহিত উর রহমান শান্তর শ্রদ্ধাঞ্জলী

» ১৪৭ বেকার তরুণ তরুণীকে চাকুরির প্রস্তুতি কর্মশালা করালেন এমপি মোহিত উর রহমান শান্ত

» হালুয়াঘাট-ধোবাউড়ায় ৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ বৃদ্ধি ; কৃষি সেচে গুরুত্ব এমপির

» ময়মনসিংহ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আলোচনায় আবু সাঈদ

» সংবর্ধনা বাতিল করে শীতার্তদের মাঝে এমপি মোহিত উর রহমানের কম্বল বিতরণ

» ব্রহ্মপুত্রে নৌকায় চড়ে অনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করলেন মোহিত উর রহমান শান্ত

» ময়মনসিংহে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে উল্লাসভরে ফুলেল শুভেচ্ছায় সমাবেশ

» লেঃ কর্ণেল (অবঃ)নজরুল ইসলামের হস্তক্ষেপে দীর্ঘদিনের জমি সংক্রান্ত বিরোধের অবসান

» ময়মনসিংহ-৪ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মোহিত উর রহমান শান্ত

» আবারও জাপাকে দিলে জনগনের আস্থা হারাবে আওয়ামী লীগ

» ময়মনসিংহ-৪ আসনে মনোনয়ন কিনেছেন মহানগর সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্ত

» জনসভায় জনসমুদ্র ; সদরের প্রত্যাশা মোহিত উর রহমান শান্ত

» সংবিধান মেনে নির্বাচনে আসেন, আমরাও আসবো-বিএনপিকে মোহিত উর রহমান শান্ত

» প্রতীকী অটোরিকশা চালিয়ে অবরোধের বিরুদ্ধে মোহিত উর রহমান শান্তর প্রতিবাদ

আমাদের সঙ্গী হোন

যোগাযোগ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় –

২২ সি কে ঘোষ রোড, ময়মনসিংহ
বার্তা কক্ষ : ০১৭৩৬ ৫১৪ ৮৭২
ইমেইল : dailyjonomot@gmail.com

© সর্বস্বত্ব স্বাত্বাধিকার দৈনিক জনমত .কম

কারিগরি সহযোগিতায় BDiTZone.com

,

basic-bank

ময়মনসিংহ রাজনীতির প্রিন্সিপাল অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের জীবন বৃত্তান্ত

বিল্লাল হোসেন প্রান্তঃ

রাজনীতির আকাশে নক্ষত্র অনেকেই কিন্তু ধ্রুবতারা একটাই। তিনি সেই ধ্রুবতারা। ময়মনসিংহের রাজনীতির প্রবাদ পুরুষ। অবিসংবাদিত নেতা। ময়মনসিংহ রাজনীতির প্রিন্সিপাল। জনগন তাকে দিয়েছে আন্তরিক খেতাব। মাটি ও মানুষের নেতা। ময়মনসিংহের মাটি ও মানুষের নেতা তিনি। আলহাজ অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের আদর্শের অবিচল অনুসারী। বঙ্গবন্ধু তাকে আদর করে ডাকতেন ‘মতিমালা’। গণতন্ত্রের মানসকন্যা,রাষ্ট্রনায়ক, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের একজন সক্রিয় পরীক্ষিত সৈনিক। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রতিষ্ঠায় নিবেদিতপ্রাণ দক্ষ সংগঠক। আন্দোলন সংগ্রামে ময়মনসিংহের রাজপথের লড়াকু সিপাহশালার। জনগনের সুখ-দুঃখ,আনন্দ-বেদনায় তিনি সম্পৃক্ত। রজনৈতিক সততা,ত্যাগ তিতীক্ষার অগ্নি পরীক্ষায় বার বার উত্তীর্ণ আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান জননেতা। নিস্বার্থ জননেতার প্রতিকৃতি যাকে করেছে ময়মনসিংহের রাজনীতির প্রিন্সিপাল।

 

 

আলহাজ অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। জনপ্রিয় জননেতা। সেই নেতার রাজনৈতিক জীবন:আদর্শ ও সংগ্রাম সমাজসেবা ও উন্নয়নে অবদানে জনগনকে করেছে মুগ্ধ। । দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের পরিক্রমায় ময়মনসিংহের রাজনীতির অগ্রযাত্রা হয়েছে বেগবান। সারাদেশের তুলনায় ময়মনসিংহে রাজনৈতিক শান্তিপূর্ন আবহ ধরে রাখতে অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের প্রগতিশীল ও ইতিবাচক রাজনীতি অন্যতম নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে আপোষহীন নেতৃত্ব দিতে গিয়েই সময়ের সাহসী সন্তান অধ্যক্ষ মতিউর রহমান ময়মনসিংহের মানুষের বিপুল আস্থা ও ভালোবাসায় সমৃদ্ধ হন। সে সময়ই তৎকালীন জান্তা শাসনের রক্তচক্ষু ও লোভলালসা উপেক্ষা করে তিনি আদর্শের পতাকা তুলে ধরেন। জনগনের প্রত্যাশা আশা আকাঙ্খা সেদিন মূর্ত হয়ে উঠেছিলো এই নেতার চারিত্র্যে।

 

রাজনৈতিক জীবনের উষালগ্নে এক অগ্নিযুগের সংগ্রামী হিসেবেও তিনি নেতৃত্বে অগ্রনী ভূমিকা রেখেছেন। ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে ময়মনসিংহের অধ্যায়ে তার নাম লেখা থাকবে স্বার্ণাক্ষরে। ১০ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ মুক্ত দিবসে মুক্তিযোদ্ধা জনতার যে র‌্যালী হয় তার অন্যতম নেতৃত্বদানকারী এই বীর মুক্তিযোদ্ধা স্থানীয় ইতিহাসের মহানায়ক। ময়মনসিংহে আওয়ামী রাজনীতির প্রাণ পুরুষ। সর্বজন শ্রদ্ধেয় জননেতা।

 

১৫ আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর দেশের জটিল রাজনীতিতে অনেক প্রতিকুলতার সুত্রপাত ঘটে। যা জিয়া থেকে শুরু করে এরশাদ পর্যন্ত প্রলম্বিত। এ সময়ে কারাবরণ, অনেক হুমকি আর মন্ত্রীত্বের প্রলোভন উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি ধরে রাখার ইতিহাস আলহাজ অধ্যক্ষ মতিউর রহমানেরই রাজনৈতিক বৈশিষ্ট্য ও জীবনের অধ্যায়। রাজনৈতিক জীবনে ঘাত প্রতিঘাতের মূর্ত প্রতীক এই নেতা ময়মনসিংহের ৪ সিনেমা হলে একযোগে বোমা হামলা মিথ্যামামলার আসামী হয়ে পুত্র মোহিত উর রহমান শান্ত সহ কারান্তরীন ছিলেন বিএনপি জামাত ৪ দলীয় জোট সরকারের আমলে ও ষড়যন্ত্রে। সহ্য করেছেন অসহনীয় নির্যাতন। একাধারে ২৩ মাস আটক রেখে নির্যাতন চালিয়েছিলো তার উপর। ১/১১ পরবর্তী সময়ে সংস্কার পন্থীদের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের পক্ষে আলহাজ্ব অধ্যক্ষ মতিউর রহমানই সর্বপ্রথম গর্জে উঠে ছিলেন। বলেছিলেন নেত্রীকে মাইনাস করে বাংলাদেশে কোন রাজনীতি নয়। কেউ যদি করেন তবে ময়মনসিংহে তাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দিলাম। এই হলেন মতিউর রহমান বঙ্গবন্ধুর আদর্শ জননেত্রীর নেতৃত্ব আর আওয়ামী লীগের জন্য দৃষ্টান্ত। এক জীবন্ত কিংবদন্তী।

 

 

বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় আওয়ামীলীগ সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার এক কথায় নি:শর্ত ভাবে তার নির্বাচনী এলাকা ময়মনসিংহ সদর আসনে তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেন। এই আসনে জাতীয় পার্টির নেতা বেগম রওশন এরশাদকে ছাড় দেন। যা বিরল ও ঐত্যিহাসিক। নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্য প্রকাশে একজন কর্মীর ভূমিকার অনন্য দৃষ্টান্ত প্রিন্সিপাল মতিউর রহমান। সেই সুবাদে আজ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতায় দেশ এগিয়ে চলেছে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে । জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা পেয়েছে ময়মনসিংহ। আর প্রধানমন্ত্রী তাকে মন্ত্রিসভায় সদস্য পদ দিয়ে ধন্য করেছেন। উন্নয়নের পথে ময়মনসিংহ পেয়েছে বিভাগ। সর্বোপরি ময়মনসিংহের উন্নয়নের রূপকার একজন মতিউর রহমান।

 

বঙ্গবন্ধু থেকে বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনার রাজনৈতিক নেতৃত্বের ধারাতেই পথ চলেছেন অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। ৫৭ বছরের রাজনৈতিক জীবনে প্রায় ১৩ বছর তিনি ছিলেন ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সভাপতি । দিয়েছেন বলিষ্ঠ নেতৃত্ব। ময়মনসিংহ জেলার তৃণমূলে আওয়ামী লীগ এর নেতাকর্মী সমর্থকদের এক প্রিয় নাম অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। বর্তমান জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নয়া নেতৃত্বে তার উত্তরসূরী ও নতুন প্রজন্ম ময়মনসিংহের রাজনীতিতে নতুন ধারার সূত্রপাত করেছে। যা ভবিষ্যৎ স্থানীয় নেতৃত্বকে অভিষ্ঠ লক্ষ্যে নিয়ে যাবে । সেই সাথে আগামী দিনের রাজনীতির ভারসাম্য ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আলহাজ্ব অধ্যক্ষ মতিউর রহমান এর নেতৃত্বের প্রভাব ও দিক নির্দেশনার প্রতি রয়েছে জনগনের অগাধ আস্থা ও বিশ্বাস। ময়মনসিংহ বিশ্বাস করে জনগন মনে করে ময়মনসিংহ বিভাগে আওয়ামী রাজনীতিতে প্রিন্সিপাল মতিউর রহমান রয়েছেন অসমান্য উচ্চতায়। তার বিকল্পহীন নেতৃতের প্রতি গনমানুষের আস্থা ও সম্মান নিারংকুশ। বর্ষীয়ান এই জননেতা শুধু ময়মনসিংহ বা ময়মনসিংহবিভাগ নয়,তিনি বাংলাদেশের ইতিবাচক রাজনীতির দৃষ্টান্ত।

জন্ম ও প্রাথমিক জীবন:
মতিউর রহমান ১৯৪২ সালের ৮ ফেব্র“য়ারি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার আকুয়া গ্রামের এক সম্ব্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।তার পিতার নাম আবদুর রেজ্জাক এবং মায়ের নাম মেহেরুন্নেসা খাতুন।

 

 

শিক্ষা জীবন:
মতিউর রহমান আকুয়া মডেল প্রাইমারি স্কুল থেকে ১৯৫৩ সনে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করেন   ।  এ সময় তিনি বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলায় প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় প্রথমস্থান অধিকার করেন।১৯৫৪ সনে ময়মনসিংহ জেলা স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হন এবং সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত লেখা পড়া করেন।এরপর তিনি নকলা উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি সম্পন্ন করেন।নবম ও দশম শ্রেণি পর্যন্ত ময়মনসিংহের মৃত্যুঞ্জয় স্কুলে পড়াশুনা করেন এবং ১৯৫৮ সনে মেট্রিক পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন।ময়মনসিংহ আনন্দমোহন কলেজ থেকে ১৯৬১ সনে বিজ্ঞান বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।এরপর ১৯৬৪ সনে আনন্দমোহন কলেজ থেকে বিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।এ সময় তিনি গফরগাঁও থানার পাঁচবাগ উচ্চ বিদ্যালয় এবং মনোহরদি হাতিরদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে বি.এস.সি. শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।এরপর ১৯৬৬ সনে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাণিবিদ্যা বিভাগে ভর্তি হয়ে ১৯৬৭ সনে এম.এস.সি. সম্পন্ন করেন।এম.এস.সি. পাশের পর তিনি জামালপুর জেলার নান্দিনা কলেজ এবং ময়মনসিংহের নাসিরাবাদ কলেজে প্রাণিবিদ্যার শিক্ষক হিসেবে চাকুরী করেন।তিনি স্বল্পকালীন সময়ের জন্য ময়মনসিংহ কলেজেও শিক্ষকতা করেন।

 

 

রাজনৈতিক জীবন:
মতিউর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে তৎকালীন ঢাকা হল বর্তমানে ড. মুহম্মদ শহিদুল্লাহ হলের ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।১৯৫৮ সালে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগদান করেন।সাংগঠনিক জীবনে অধ্যক্ষ মতিউর রহমান দুইবার ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে ১৯৯৬ সাল থেকে ২০১৪ পর্যন্ত মোট ১৮ বছর দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সম্মানিত সদস্য হিসেবে ২বার দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে জননেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ মতিউর রহমান বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ১৪৯ (ময়মনসিংহ-৪) আসন থেকে ১৯৮৬ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে তিনি জাতীয় সংসদের অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।নবম সংসদে তিনি রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ি কমিটি’র সভাপতি, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি’র সম্মানিত সদস্য, জাতীয় সার সমন্বয় ও বিতরণ কমিটি’র সদস্য, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের সদস্য, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরসের গভর্নর, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।এছাড়া তিনি ১৯৯৬ সনে একবার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট মেম্বার এবং ২০০৮ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত পরপর তিনবার সিন্ডিকেট মেম্বার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।তিনি স্বাধীনতার পর থেকে মোট তিনবার ময়মনসিংহ পৌরসভার নির্বাচিত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।মতিউর রহমান রাজনৈতিক কারণে বিভিন্ন সময়ে কারাবরণ করেন।
১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭ সন পর্যন্ত দুই মেয়াদে দীর্ঘ ২৩ মাস কারাবরণ করেন।তিনি ২০০২ সালে ময়মনসিংহের চারটি সিনেমা হলে বোমা হামলার মিথ্যা মামলায় কারাবরণ করেন।শতপ্রলোভনের মুখে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির প্রতি অবিচল থেকে তিনি তাঁর সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করতে থাকেন।বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে অকৃত্রিম অবদানের জন্য অধ্যক্ষ মতিউর রহমান ‘মুজিব দর্শন বাস্তবায়ন পরিষদ’ কর্তৃক ২০০০ সালে ‘বঙ্গবন্ধু পদক’ লাভ করেন।

 

 

মুক্তিযুদ্ধে অবদান:
অধ্যক্ষ মতিউর রহমান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষক ও সফল সংগঠকের দায়িত্ব পালন করেন।এ সময় মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনে তিনি সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের ঢালু যুব শিবিরের ইনচার্জ ছিলেন।মহান মুক্তিযুদ্ধে ১১ নম্বর সেক্টরে তার নেতৃত্বে অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন এবং পাকিস্তানী বাহিনীর বিরম্নদ্ধ তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেন।তার নেতৃত্বে ১০ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ হানাদার মুক্ত হয়। তিনি বৃহত্তর ময়মনসিংহে অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন গড়ে তুলেন
১৯৬৯ সালের গণআন্দোলনে শাহাদাত বরণকারী আলমগীর মনসুর মিন্টুর নামে ১৯৬৯ সালে তিনি আলমগীর মনসুর মিন্টু মেমোরিয়াল কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত প্রায় ৩৪ বছর তিনি এ কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০২ সালে তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ মতিউর রহমান একাডেমী স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন এছাড়া তিনি প্রতিষ্ঠা করেন মেহের রাজ্জাক বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠা করেন বাসাবাড়ি মার্কেট ও গাঙ্গিনাপাড় হকার্স মার্কেট, ময়মনসিংহ। তিনি নাসিরাবাদ গার্লস স্কুল, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজ এবং নওমহল সানফ্লাওয়ার প্রি-ক্যাডেট স্কুল প্রতিষ্ঠায় বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। তাছাড়াও একাধিক মসজিদ মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন।

 

 

শিক্ষা ক্ষেত্রে অবদান:
একজন শিক্ষা উদ্যোক্তা ও শিক্ষা অনুরাগী হিসেবে তিনি বহু স্কুল ও কলেজ পরিচালনায় তার দক্ষ নেতৃত্বের গুণাবলীকে কাজে লাগিয়েছেন।তিনি ময়মনসিংহের নাসিরাবাদ কলেজ, ময়মনসিংহ মহাবিদ্যালয়, ময়মনসিংহ মহিলা ডিগ্রী কলেজ, আলমগীর মনসুর মেমোরিয়াল কলেজ, ইসলামি একাডেমী, আকুয়াবাড়ি মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি’র সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাছাড়াও ময়মনসিংহের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালন করেছেন।

 

 

পুরস্কার ও সম্মাননা:
অধ্যক্ষ মতিউর রহমান রাজনীতি, শিক্ষা, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ একাধিক পুরস্কার লাভ করেন। তিনি The United Cultural Convention, United State of America কর্তৃক ২০০৫ সালে International Peace Prize,পদকে ভূষিত হন। এছাড়াও তিনি International Biographical Center England কর্তৃক ২০০২ সালে Outstanding Intellectuals Of The 21st Century পদকে ভূষিত হন তিনি অভিনয়, নাটক, আবৃত্তিসহ নানা প্রকার সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর ১৯৬৭-৬৮ সেশনে প্রাণিবিদ্যা বিভাগ থেকে ফুটবল খেলা প্রতিযোগিতায় বিশেষ সম্মানে ভূষিত হন।

Print Friendly, PDF & Email

সর্বশেষ খবর



এ বিভাগের অন্যান্য খবর



আমাদের সঙ্গী হোন

যোগাযোগ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় –

২২ সি কে ঘোষ রোড, ময়মনসিংহ
বার্তা কক্ষ : ০১৭৩৬ ৫১৪ ৮৭২
ইমেইল : dailyjonomot@gmail.com

© সর্বস্বত্ব স্বাত্বাধিকার দৈনিক জনমত .কম

কারিগরি সহযোগিতায় BDiTZone.com