বিল্লাল হোসেন প্রান্তঃ সংশোধিত ঃ
ময়মনসিংহে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মুখে শহরের ধোপাখোলা মোড় থেকে ছাত্রলীগের কর্মী সাদিকুল বারি আগুনকে তুলে নিয়ে হাতুরিপেটাসহ বেধড়ক মারপিটে করে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত ওই ছাত্রলীগ কর্মীকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৬ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে জানা যায়, পূর্ব বিতন্ডার জেড়ে মঙ্গলবার বিকেল পাচটায় ইয়াসিন আরাফাত শাওন দলবল নিয়ে আগুনকে উঠিয়ে নিয়ে যায়। পরে নগরীর সেহড়া ডিবি রোডের রাকিব এর রিক্সা গ্যারেজে নিয়ে হাতুড়িপেটাসহ বর্বরোচিত নির্যাতন চালায়। ধাড়ালো অস্ত্রদিয়ে আগুনের চোখে মুখে উপর্যপুরি ঘাই দেয়। পিস্তলের বাট দিয়ে আগুনের চোখে আঘাত করে তার চোখে মারাত্বক জখম করে। হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আগুনের কোমড়ে গুরুতর আহত করে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা।এসময় স্বর্নের চেইন ও একটি মোবাইল ফোন কেড়ে নেয় আসামীরা।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে আগুনের বাবা মো: আব্দুল বারী বাদল বাদী হয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানায় ইয়াসিন আরাফাত শাওনসহ দশজনকে আসামী করে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মামলায় আসামী করা হয়েছে মহানগর যুবলীগের বহিস্কৃত সদস্য ইয়াসিন আরাফাত শাওন (২৯) পিতাঃ এ কে এম ইদ্রিস আলী, জনি মিয়া(২৮) পিতাঃ মামুন ওরফে ঢাকাইয়া মামুন সহ অজ্ঞাত আরো ১০/১২ জনকে।
উল্লেখ্য অস্ত্র মাদক ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে একাদিক মামলা রয়েছে শাওনের নামে। ২০২০ সালেন ৯ মে বিপুল পরিমানে মাদক, আগ্নেয়াস্ত্র, আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জামসহ ইয়াসিন আরাফাত শাওন ও তার ৬ সহযোগীকে গ্রেফতার করে র্যাব-১৪। এ ঘটনায় মহানগর যুবলীগের সদস্যপদ থেকে তাকে বহিস্কার করে যুবলীগ।
মামলার বাদী আব্দুল বারী বাদল বলেন, ইয়াসিন আরাফাত শাওন একজন চিহ্নিত শীর্ষ সন্ত্রাসী। সে আমার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে অস্ত্রের মুখে উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে নির্মম নির্যাতন করেছে। তিনি বলেন, শাওন কাদের ছত্রছায়ায় এসব কর্মকান্ড করছে ময়মনসিংহবাসীসহ প্রশাসন জানে বলে আমি মনে করি। তিনি এ পৈশাচিক নির্যাতনে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি তদন্ত ফারুক হোসেন বলেন, পুলিশ ৯৯৯ ফোন পেয়ে আগুনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় ইয়াসিন আরাফাত শাওনসহ অজ্ঞাতনামা দশজনকে আসামী করে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন আগুনের বাবা বাদল ।