বিল্লাল হোসেন প্রান্তঃ
ময়মনসিংহে ডাঃ মুশফিকুর রহমান শুভ বালিকা উচ্চবিদ্যালয় সিটি করপোরেশন কর্তৃক উচ্ছেদের প্রতিবাদে ও পুনরায় চালুর দাবিতে সর্বস্থরের জনগণকে সাথে নিয়ে মানববন্ধন করেছে নগরীর ১৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ।
২২ নভেম্বর নগরীর গাঙ্গিনারপাড় শহীদ ফিরোজ জাহাঙ্গীর চত্বরে এ মানববন্ধন আয়োজন করে ১৬ নং ওয়ার্ড এলাকাবাসী।
ময়মনসিংহ নগরীর আকুয়া ফুলবাড়িয়া রোডের পরিত্যক্ত ময়লা আবর্জনার ভাগাড় পরিস্কার করে এলাকাবাসীর উদ্যােগে ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত করা হয় ডাঃ মুশফিকুর রহমান শুভ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। যা গত ৯ নভেম্বর সিটি করপোরেশন বুলডোজার চালিয়ে গুড়িয়ে দেয়।
এ ঘটনায় লাগাতার শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে ৩৩ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠন ও সাধারণ জনগণ। এরই ধারাবাহিকতায় আজ ১৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ মানববন্ধন কর্মসূচী করেছে।
মহানগর আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হোসাইন জাহাঙ্গীর বাবু বলেন, ডাঃ মুশফিকুর রহমান শুভ একজন মানবিক চিকিৎসা ছিলেন। তার স্বীয় স্বকীয়তায় তিনি মানুষের কাছে প্রিয়পাত্র ছিলেন। তার অকাল প্রয়ানে আকুয়াবাসী তার স্মৃতিকে ধরে রাখতে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছে। সে স্কুলটি গুড়িয়ে দিয়েছে সিটি করপোরেশন।
তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনের অনেক জমি বেদখলে রয়েছে তা উদ্ধারের খবর নেই। যানযট জলযটে নাকাল ময়মনসিংহ সিটি সেদিকে তাদের খেয়াল নেই, যথাযথ বৈধতায় না হওয়ায় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাদের ভেঙ্গে দিতে হবে।
মানববন্ধন কর্মসুচীতে বক্তব্য রাখেন জেলা যুবলীগের যুগ্ম -আহ্বায়ক আখেরুল ইমাম সোহাগ, মহানগর যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক রাসেল পাঠান, জেলা স্বেচ্ছাসেকলীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক দেবাশীষ পান্নাসহ ওয়ার্ড আ.লীগের নেতৃবৃন্দ। এতে উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবলীগ সদস্য জসিম উদ্দিন, পিন্টু সরকার, রাশেদুল হক রনি, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নয়ন দে, মিজানুর রহমান মামুন, শাওন খান প্রমুখ।
মানববন্ধন থেকে পুনরায় স্কুলটি চালুর জন্য দাবি জানানো হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে স্কুলটির জমি সংলগ্ন স্থানে একাধিক সমিতি, নামে বেনামে প্রতিষ্ঠান ও বসতবাড়ী গড়ে উঠতে পারলে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেন উচ্ছেদের নামে গুড়িয়ে দেয়া হলো? স্কুলটি সাবেক ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের প্রায়ত পুত্র ডাঃ মুশফিকুর রহমান শুভর নামে হওয়ার কারনেই কি গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে কি না এমন প্রশ্ন উঠেছে মানববন্ধন থেকে।
উল্লেখ ডাঃ মুশফিকুর রহমান শুভ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেনী থেকে নবম শ্রেনীর পর্যন্ত ২৬০ জন নারী শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত। স্কুলটি বন্ধ হয়ে গেলে যাদের বেশির ভাগ শিক্ষার্থীর জীবন চরমভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। কারণ এ স্কুলটিতে প্রায় ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী নিন্ম আয়ের পরিবার থেকে এখানে বিনাবেতনে পড়ালেখা করতো। নারী শিক্ষায় অগ্রজ এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির বিলুপ্তি ঘটলে ময়মনসিংহ হারাবে নারী শিক্ষায় অবদান রাখা একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।