জনমত ডেক্সঃ
ময়মনসিংহের সাবেক একজন কর পরিদর্শক ও পুলিশের এস আইসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে ময়মনসিংহ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তারা হলেন, কর পরিদর্শক মো. মোকসেদ আলী ও পুলিশের সাবেক উপ-পরিদর্শক (এস আই) আব্দুল জলিল।
সম্পদ বিবরণীর বাইরে ৩১ লাখ ৫৭ হাজার ৪৬০ টাকা মূল্যমানের সম্পদের তথ্য গোপন করায় মোকসেদ আলীর বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। গত ১৮ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহের সিনিয়র জুডিশিয়াল স্পেশাল জজ আদালতে বিচারের জন্য পাঠায় দুদক।
অন্যদিকে ৫৭ লক্ষ ৬৯ হাজার ৪৮২ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভুত দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে পুলিশের সাবেক এস আই আব্দুল জলিলকে ।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে নগরীর সেহড়া এলাকা থেকে মোকসেদ আলীকে গ্রেফতার করে দুদকের সকহারী পরিচালক সাধন চন্দ্র সুত্রধর। গ্রেফতারের পর তাকে ময়মনসিংহের সিনিয়র জুডিশিয়াল স্পেশাল জজ আদালতে উপস্থাপন করলে আদালত মোকসেদ আলীকে করাগারে পাঠনোর আদেশ দেন। পরে তাকে ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
অন্যদিকে দুর্নীতির মামলায় পুলিশের সাবেক এস আই আব্দুল জলিলকে নগরীর আকুয়া হাজীবাড়ি এলাকা থেকে গ্রেফতার করে ময়মনসিংহ দুদক। এসআই আইব্দুল জলিলকে গ্রেফতারের পর তাকে ময়মনসিংহ দুদকের জেলা কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান দুদক সহকারী পরিচালক সাধন চন্দ্র সুত্রধর।
ময়মনসিংহ দুদকের উপসহকারী পরিচালক সাধন চন্দ্র সূত্রধর এবং একেএম বজলুর রশিদ মঙ্গলবার বিকেলে এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, গত ১৮ সেপ্টেম্বর আভিযোগ অনুসন্ধান শেষে বিকেলে ময়মনসিংহ দুদকের উপসহকারী পরিচালক সাধন চন্দ্র সূত্রধর বাদী হয়ে কর পরিদর্শক মোকসেদ আলীর বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।
অন্যদিকে পুলিশের সাবেক এস আই আব্দুল জলিল ও স্ত্রী আসমা বেগমের বিরুদ্ধে চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারী ৫৭ লক্ষ ৬৯ হাজার ৪৮২ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভুত দুর্নীতির মামলা করেন ময়মনসিংহ দুদকের সহকারী পরিচালক একেএম বজলুর রশিদ।
গ্রেফতার পুলিশের এস আই আব্দুল জলিলকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান সহকারী পরিচালক বজলুর রশিদ।