বিলাল হোসেন প্রান্ত;
ময়মনসিংহ নগরীর মোবাইল মার্কেট হারুন টাওয়ারের দোকানকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ,ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ককটেল চার্জের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পুলিশ প্রায় ৩১ জনকে আটক করেছে।
২৭ আগস্ট দুপুরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে পুরো এলাকায় আতংকাবস্থার সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশি এ্যাকশনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। এঘটনাকে কেন্দ্র করে নগরী জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
সূত্র জানায়, হারুন টাওয়ারের দোকানদার বিপুলের সাথে মালিক পক্ষের বিরোধ চলছিলো। ২৬ আগস্ট হারুন টাওয়ারের মালিক গোলাম আম্বিয়া হারুনের ছোট ছেলে দোকানদার বিপুলকে মারধর করে। এ ঘটনার ২৭ আগস্ট কোতোয়ালী থানায় মামলা দেন বিপুল।
২৭ আগস্ট দোকারদাররা প্রেসক্লাব প্রঙ্গনে মানববন্ধন করে। পরে ঘটনাস্থলে দোকানদারের পক্ষে সেখানে যান “ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা।” সূত্র আরও জানায়,”এসময় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মালিক পক্ষের একজনকে মারধর করে সন্ত্রাসীরা।” মালিক পক্ষের ভারাটে সন্ত্রাসীরা ককটেল চার্জ করে এলাকায় আতংকাবস্থার সৃষ্টি করে। শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ময়মনসিংহ সদর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আল আমিননের নেতৃত্বে কোতোয়ালী থানা পুলিশ বিশৃঙ্খলাকারীদের গ্রেফতারে অভিযান চালান। এসময় হারুন টাওয়ারের মালিক হারুনের বিল্ডিং থেকে ৩১ জন উঠতি বয়সী কিশোরকে আটক করে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। তাদেরকে বিল্ডিংয়ের ছাদের তালা কেটে বের করে পুলিশ।
অভিযান চলাকালে হারুন টাওয়ারের মালিক গোলাম আম্বিয়া হারুনের বাড়ির প্রবেশ দ্বারের পাশেই একটি রুমে বিপুল পরিমানে দিয়াশলাই ও ককটেল বানানোর বিভিন্ন দ্রব্যের আলামত উদ্ধার করে পুলিশ।
আটককৃতরা হলো, ফাহিম শাহরিয়ার অনন্ত, ইফতেখার মাহমুদ, মোঃ রাফি, ইশরাক আহম্মেদ, আমিরুল ইসলাম সেজান, মোঃ সাকিব, অংকন দাস, শ্রাবণ দাস, জয় দাস, তোফায়েল হোসেন আকাশ,বায়জিদ আহমেদ জিহাদ, জাকির হোসেন, ওয়াকিল ইয়ার চৌধুরী, ইমামূল ফেরদৌস সন্ধি, পারবন চৌধুরী, শান্ত, বিজয় বর্মন, আবু রায়হান, দিদার ইসলাম ফয়সাল, মাশরাফি মামুন, মোঃ সাকিব, ফাপরহান শিহাব, আমিনুল ইসলাম, জয়েল সাগর,দীন ইসলাম, মোঃ সাকিব, রুবাইয়াত ই রেজা, আরমান হিমেল, পারভেজ মোশাররফ, মেহেদি হাসান ও নাহিয়ানি খান।
অভিযানে ছিলেন কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফিরোজ তালুকদার, ওসি তদন্ত মুশফিকুর রহমান, ওসি ইন্টিলিজেন্স উজ্জল, ওসি অপারেশন ওয়াজেদ আলী, ১নং ফাড়ি ইনচার্জ খোরশেদ আলম, ডিএসবি (ডিআই১) ইমরান হুসাইনসহ পুলিশ ফোর্স।
ঘটনা সম্পর্কে পুলিশের আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে কোতোয়ালী থানার ওসি ফিরোজ তালুকদার জানিয়েছেন, এঘটনায় যারাই জড়িত থাকুকনা কেন, কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। আটককৃতরা পুলিশ হেফাজতে আছে। এবিষয়ে করনিয় সম্পর্কে পরে জানানো হবে।