বিল্লাল হোসেন প্রান্তঃ
হাজী বিরিয়ানী,নবাব বিরিয়ানী,লালবাগ রয়েল বিরিয়ানী নামে দোকান খুলে ময়মনসিংহে দেদারসে চলছে কিছু বিরিয়ানী হাউজ। সনামধ্যন পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী বিরিয়ানী হাউজগুলোর নাম ব্যবহার করা হয়েছে এতে। খবর নিয়ে জানা গেছে নাম ব্যবহৃত প্রতিষ্ঠানগুলোর কোনটারই শাখা প্রতিষ্ঠান নেই কোথাও। তাহলে কি করে এরা একই নামে চালাচ্ছে এ ব্যবসা।
ময়মনসিংহ নগরীর নতুন বাজার,জেলা স্কুলের মোড়, গাঙ্গিনারপাড় মোড়,চরপাড়ায় গড়ে উঠেছে এ বিরিয়ানী হাউজগুলো। এদের ক্রেতা বেশিরভাগ স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা। এসব বিরিয়ানী হাউগুলোর কোনটাতেই বিক্রয় প্রতিষ্ঠানে রান্না করা হয় না। রান্নাঘর কোথায় তা কেউই জানে না। প্রশ্ন উঠেছে যা বলা হয় তাই কি খাওয়া হচ্ছে।
প্রশাসন বিভিন্ন হোটেল রেস্টুরেন্টগুলোর মান ঠিক রাখতে অভিযান করেন। সে চাপে রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীরা প্রতিষ্ঠান নিয়মিত পরিস্কারক পরিচ্ছন্ন রাখেন। কিন্তু এসব বিরিয়ানী হাউগুলো কি রান্না করছে, কতটা স্বাস্থ্যসম্মত তা যাচাই করার কোন সুযোগ থাকছেনা রান্নার স্থান কোথায় না জানার কারনে। অন্যত্র রান্না করে বিক্রয় হাউজে হাড়ি বসিয়ে এসব বিরিয়ানী বিক্রয় করা হচ্ছে। যাদের প্রতিষ্ঠানিক বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সচেতন মহল।
ময়মনসিংহের সচেতন নাগরীকরা মনে করেন প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ও প্রতিষ্ঠানিক পরিচয় গ্রাহকের কাছে পন্য বিক্রয়োত্তর দায়বদ্ধতা থাকে। কিন্তু এসব খাবারে কোন অনিশ্চয়তা আসলে দায়ভার ঢাকার প্রতিষ্ঠানগুলো নেবে কি? কারন একই নামে ঢাকার সেই সনামধন্য প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কোন শাখা নেই বলে ঘোষনা লাগিয়ে রেখেছেন তাদের প্রতিষ্ঠানে। এছাড়া ঢাকার হাজী বিরিয়ানী আর ময়মনসিংহের হাজী বিরিয়ানীর দাম অনেক ব্যবধান। এক্ষেত্রেই প্রমান করে কম দামে বেশি মুনাফা হাতিয়ে নিতে মানহীন খাবার দিয়ে প্রতারনা হচ্ছে এখানে।
সচেতন মহলের দাবি দায়িত্বপূর্ন প্রশাসন দ্রুত এদের বৈধতা যাচাই পূর্বক খাবার হোটেল, রেস্তোরাঁ ও রেস্টুরেন্ট ব্যবসার নিয়মনীতির আওতায় আনা হইক।