ময়মনসিংহে পুলিশ ও শিক্ষার্থী সংঘর্ষ, থানা ভাংচুর, গুলিবিদ্ধ ৫, পুলিশসহ আহত ২৫
জনমত ডেক্সঃ
ময়মনসিংহ নগরীর সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজের শিক্ষকের সাথে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনায় পুলিশ ও বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় ৫ শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ ও ৪ পুলিশ সদস্যসহ প্রায় ২৫ জনের মতো আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে তাৎক্ষনিকভাবে হতাহতোদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। এ ঘটনায় কোতোয়ালী মডেল থানা ঘেরাও করে থানার বিতর ভাঙচুর চালায় বিক্ষুব্ধ কয়েকশ শিক্ষার্থী। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড রাবাল বুলেট ছুড়ে।
বুধবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে নগরীর জিলা স্কুল মোড় ও টাউন হল মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এদিকে সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে ঘটনার খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক ড. সুভাস চন্দ্র বিশ্বাস কলেজ পরিদর্শন করেন। এ সময় ঘটনার সঠিক তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশস্থ করেন তিনি।
শিক্ষার্থীরা জানায়, বুধবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে নগরীর জিলাস্কুল মোড়ে সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজের ইংরেজির শিক্ষক শেখ শরিফুল আলমের একটি প্রাইভেটকারের সঙ্গে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনা সমাধানে সেখানে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্য আসলাম হোসেন এগিয়ে এলে শিক্ষকের সাথে পুলিশ সদস্যের বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে ওই শিক্ষককে নগরীর ২ নং পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আটক করা হয়।
পরে এই খবর কলেজে ছড়িয়ে পরলে বিক্ষুব্ধ কয়েকশ শিক্ষার্থী প্রথমে টাউন হল মোড়ে রাস্তা অবরোধ করে। এসময় পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। এরপর বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা কোতোয়ালি মডেল থানা ঘেরাও করে থানার কাচের জানালা ও দরজায় ভাংচুর চালায়। তখন তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
এসময় পুলিশ ৪/৬ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ঘটনস্থল থেকে ৩ শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন, সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজের শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন, তানজিল ইসলাম ও এসএম শাহরিয়ার।
এবিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মনুসুর আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, কলেজ কর্তৃপক্ষের সাথে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আলোচনা চলছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।