স্টাফ রিপোর্টারঃ
ময়মনসিংহ ঈশ্বরগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের এক শিক্ষার্থী দাতের চিকিৎসা নিতে গেলে উত্তেজিত ডাক্তার টুল দিয়ে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আহত শিক্ষার্থীর নাম মো: তরুণ মিয়া।
অভিযুক্ত ওই চিকিৎসকের নাম ডা: এ.কে.এম আনিসুর রহমান (বাবলু)। সে মমেক হাসপাতালের ডেন্টাল বিভাগের আবাসিক সার্জন বলে জানা গেছে।
সোমবার (৮ জুলাই) দুপুরে মমেক হাসপাতালের ডেন্টাল বিভাগে এ ঘটনা ঘটে।
আহত তরুণ মিয়া অভিযোগ করে বলেন, সোমবার সকাল ১০ টা থেকে লাইনে দাড়িয়ে ডাক্তার দেখাবো বলে আমি অপেক্ষা করছি। ডাক্তার এ.কে.এম আনিসুর রহমান ৩০ মিনিট রোগী দেখার পর রুম থেকে বেরিয়ে যান। ১ ঘন্টা পর আবার ফিরে আসেন। এরমধ্যে অনেক রোগীর জমাট বাধে। ডাক্তার আসার পর আমি ডাক্তার দেখানো জন্য রুমে প্রবেশ করি। তখন ডাক্তার বলেন রুম থেকে বেরিয়ে যান। এখন রোগী দেখব না।
এসময় তরুণ বলেন স্যার আমার আগামীকাল পরীক্ষা আছে। আমাকে আজকে একটু দেখে দেন। পরে আসতে আমার অসুবিধা হবে। একথা বলায় ওই চিকিৎসক তার রুমে থাকা বসার টুল দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এতে তরুন মিয়ার মাথা ফেটে রক্ত ঝড়তে থাকে। তরুণের চিৎকারে লোকজন এসে চিকিৎসকের হাত থেকে তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
অন্যদিকে মমেক হাসপাতালের ডেন্টাল বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা: এ.কে.এম আনিসুর রহমান বাবলুর সঙ্গে এবিষয়ে মুঠোফোনে কথা বলতে চাইলে, তিনি বলেন, আমি যা বলার গতকালই বলে দিয়েছি। এখন আর কথা বলতে পারবো না। যেহতো বিষয়টি অফিসিয়াল হয়ে গেছে আপনি ডেপুটি ডাইরেক্টর স্যারের সাথে কথা বলুন।
মমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডাঃ লক্ষী নারায়ন এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। আহত কলেজ শিক্ষার্থী আমার কাছে মৌখিক ভাবে অভিযোগ দিয়েছেন। তাকে বলেছি লিখিত অভিযোগ দিতে। পরে সে আর অফিসে আসেনি। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।
এঘটনায় ময়মনসিংহ জুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। একজন চিকিৎসকের এমন আচরণে সচেতন নগরীক সমাজ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। চিকিৎসা সেবায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল যখন দেশব্যাপী সুনাম অর্জন করে যাচ্ছে। তখন এমন ঘটনা সেই সুনামকে অনেকা ম্লান করেছে বলে মন্তব্য চলছে।