বিল্লাল হোসেন প্রান্তঃ
ময়মনসিংহের বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ১৯৯২ সালের শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত পূনর্মিলনী উপলক্ষে সকল শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বাণী প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি এ আয়োজনকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ প্রকাশ করেছেন।
আগামী ২৭ ডিসেম্বর এর জন্য প্রদত্ত প্রধানমন্ত্রী বাণীতে বলা হয়েছে, “সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট বাঙ্গালী বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান স্বাধীনতার পরপরই যুগোপযোগী শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করেছিলেন। জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে আমরা সবসময়ই শিক্ষাখাতের প্রসার ও মানোন্নয়নে কাজ করছি”।
প্রধানমন্ত্রী বাণীতে বলেছেন, “আওয়ামী লীগ সরকার দেশের শিক্ষাখাতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে। বাজেটে শিক্ষাখাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। শিক্ষানীতি ২০১০ প্রনয়ন করেছি। এই নীতির বাস্তবায়ন করছি। দেশে নতুন নতুন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করছি। আমাদের সরকার উপবৃত্তি প্রদান, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাষ্ট ফান্ড গঠন, বিনা বেতনে অধ্যায়নের ব্যবস্থা করছে। মাধ্যমিক স্থর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ। আমাদের পদক্ষের কারণে দেশের শিক্ষাখাতে আমূল পরিবর্তন এসেছে”।
তিনি বলেন, “আমি আশা করছি ময়মনসিংহ শহরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ১৯৯২ ব্যাচের ছাত্র ছাত্রীরা দেশপ্রেম, সততা ও নিষ্ঠার মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞানের সর্বোচ্চ প্রয়োগ করে জাতির পিতারা ক্ষুধা দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বির্নিমানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই পূনর্মিলনী এর সাফল্য কামনা করেন”। ১নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর বাণীটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ময়মনসিংহবাসীর আনন্দে উৎফুলিত হয়ে উঠেন। সাধারণ বিষয়েও ময়মনসিংহ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আবেগ প্রকাশ সকলকে আনন্দিত ও অভিভূত করেছে।