বিল্লাল হোসেন প্রান্তঃ
১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা নিরস্ত্র বাঙ্গালীদের ধরে এনে ফায়ারিং স্কোয়াডে হত্যা করে লাশ ফেলে রাখত। ময়মনসিংহ সদরে এমন মর্মান্তিক স্মৃতি বহন করছে থানাঘাট জেলা পরিষদ ডাকবাংলোর পিছনের বধ্যভূমিটি।
সরকার এটি সংরক্ষনের ব্যবস্থা করেন। ময়মনসিংহের বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক ধর্মমন্ত্রী থানাঘাটের বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধ স্থাপনার উদ্ভোধন করেন। তবে বর্তমানে এটি অবহেলায় পতিত হয়ে অপরিস্কার ও নানা অপকর্মের আশ্রয়স্থলে পরিনত হওয়ায় এটি পুনঃসংস্কার এর উদ্যেগ গ্রহন করেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ হাফিজুর রহমান।
বৃহস্পতিবার ৭ মার্চ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ মহিনুল হাসান সরজমিনে বধ্যভূমি পরিদর্শন করেন। এসময় বধ্যভূমির চারপাশে বসবাসকারীদের সাথে কথা বলেন। এবং স্মৃতিসৌধটি সংস্কারে বাউন্ডারি ওয়াল ও দুটি গেইট নির্মানের নির্দেশ দেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন ৮ নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিল ফারুক হাসান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড এর নেতৃবৃন্দ,জেলা যুবলীগ সদস্য পিন্টু সরকার।
সদর উপজেলা কর্মকর্তা বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধটি যথাযথ সংরক্ষন কল্পে এর আশপাশে বসবাসকারী সকলের সহযোগীতা কামনা করেন। তিনি সিটি করপোরেশন এর চলমান ব্রীজ মোড় থেকে থানাঘাট বাইপাস সড়ক নির্মানে কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেন। এবং ২৬ মার্চ এর পূর্বে বধ্যভূমির সামনের রাস্তাটা পাকাকরণের অনুরোধ জানান।
এদিকে একইসাথে থানাঘাট মন্দিরের সামনে দিয়ে চলমান বাইপাস সড়ক নির্মাণ কাজে বাধা প্রদানকারী অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালান জেলা প্রসাশনের এ দুই কর্মকর্তা। এসময় নির্মিয়মান সড়কের ওয়াকওয়ে রাস্তার পাশে ৭/৮ টি অবৈধ দোকান ভেঙে দেয়া হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সিটি করপোরেশন ইঞ্জিনিয়ার আবুল কালাম আজাদসহ কর্মকর্তারা।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার আকস্মিক এ অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয় জনগণ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
একইদিন তিনি আকস্মিক পরিদর্শন করেন মা ও শিশু হাসপাতাল ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড ভবণ। কথা বলেন মা ও শিশু হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের সাথে। খোঁজ খবর নেন হাসপাতাল ব্যবস্থাপনার।