বিল্লাল হোসেন প্রান্তঃ
রাজনীতিতে যোগ্য জায়গায় যোগ্য ব্যাক্তিকে না বসালে ক্ষতি হয় নিজের। আমি নিজে এক্সপেরিয়েন্স করেছি যদি চেয়ারের যোগ্য জায়গায় যোগ্য ব্যাক্তিকে না বসালে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় নিজের বলেছেন ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্ত।
২৬ সেপ্টেম্বর রবিবার নগরীর হাজী কাশেম আলী কলেজ মাঠে ১৮ নং ওয়ার্ড যুবলীগের কর্মী সভায় উদ্ধোধকের বক্তব্যে ময়মনসিংহ মহানগর যুবলীগের নেতৃবৃন্দকে উদ্দেশ্য করে বক্তব্য দেন মোহিত উর রহমান শান্ত। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোঃ ইকরামুল হক টিটু।
সুসজ্জিত জাঁকজমকপূর্ণ কর্মী সভায় ঐক্যবদ্ধ যুবলীগ গড়ার কথা বলে মোহিত উর রহমান শান্ত বলেন, রাজনীতিতে প্রতিযোগীতা থাকবে প্রতিহিংসা নয়। প্রতিহিংসা পরায়ন হলে দলে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়, বিভাজনের সৃষ্টি হয়। বিভাজন সৃষ্টি হলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় দলের। মনে রাখবেন বিভাজিত শক্তি কখনও লক্ষে পৌছতে পারেনা।
তিনি শাহীনুর রহমান, রাসেল পাঠান, রাসেল আব্দুল্লাহর প্রতি অনুরোধ রেখে বলেন, রাজনৈতিকভাবে তোমাদের পছন্দের, ভালোবাসার মানুষ থাকতেই পারে তবে চেয়ারের যোগ্য জায়গায় যোগ্য ব্যাক্তিকে না বসালে ক্ষতি হয় নিজের।
তিনি বলেন, আজ থেকে ১৪ বছর আগে আমরা বঙ্গবন্ধুর শ্লোগান দিতে পারতাম না। জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেনেড হামলায় হত্যা করার চেষ্টা হয়ে সে সময় আমাদের মিছিল করতে গিয়ে পুলিশের টিয়ার সেল, গুলির মুখে ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হতো। মনে রাখবেন জননেত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রের ক্ষমতায় না থাকলে আমি আপনি কেউই এভাবে সমাবেশ মিটিং মিছিল করতে পারবো না।
শান্ত বলেন, রুগ্ন, ভঙ্গুর,পাচবারের দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ান দেশকে হাতে নিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা আজ উন্নত দেশের কাতারে এনেছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা না থাকলে আমি আপনি কেউই থাকবো না। তাই যেকোন সমাবেশে মিটিং মিছিলে শ্লোগান হবে বঙ্গবন্ধু আর শেখ হাসিনা। মিছিল মিটিংএ আপনারা যখন শান্ত ভাই, টিটু ভাই শ্লোগান দেন তখন নেতাদের সামনে সবচেয়ে বেশি লজ্জিত হয় আমরা। আজ থেকে সকল মিটিং মিছিলে শান্ত ভাি, টিটু ভাইয়ের চেয়ে বেশি শ্লোগান হয়ে শেখ হাসিনা আর বঙ্গবন্ধু।
সমাবেশের মুখ্য সমন্বয়ক একরামুল ইসলাম নোমারের সভাপতিত্বে, মহানগর যুবলীগ সদস্য এজিএস জয়ের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও সিটি মেয়র মোঃ ইকরামুল হক টিটু।
তিনি বলেন, মোহিত উর রহমান শান্ত ও আমার মাঝে কোন বিরোধ নাই। আমরা দুজনেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কর্মী শেখ হাসিনার কর্মী। ব্যাক্তি নামে শ্লোগানে নিরুৎসাহিত করে তিনি বলেন, আপনারা যখন টিটু ভাই, শান্ত ভাই শ্লোগান দেন তখন নেতৃবৃন্দের সামনে আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়।
তিনি মহানগর যুবলীগের নেতৃবৃন্দকে উদ্দেশ্য করে বলেন, কারও মুখ দেখে নয়, সাংগঠনিক সক্ষমতা যাচাই করে পদায়ন করবেন। কারণ শক্তিশালী সংগঠন জননেত্রী শেখ হাসিনার শক্তি।
সমাবেশে প্রধান বক্তা ময়মনসিংহ মহানগর যুবলীগের আহবায়ক শাহীনুর রহমান বলেন, যারা প্রার্থী হয়েছেন কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক সদস্য ফরমের মাধ্যমে সিভি দিবেন যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে নেতৃত্ব দেয়া হবে।
সমাবেশ বক্তা সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক রাসেল পাঠান বলেন, ময়মনসিংহ মহানগর যুবলীগকে শক্তিশালী সংগঠনে রুপান্তর করতে আমরা বদ্ধপরিকর। এ সংগঠন জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রধান শক্তিতে পরিনত করতে কেন্দ্রীয় নির্দেশনার শতভাগ বাস্তবায়ন করা হবে।
তিনি বলেন, ময়মনসিংহ মহানগর যুবলীগ এযাবৎ কেন্দ্রীয় সকল কর্মসূচী বাস্তবায়ন করে এসেছে। সকল সংকটে মহানগর যুবলীগ জনগণের পাশে থেকেছে মানবিক সহায়তার মাধ্যমে।
সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক রাসেল আব্দুল্লাহ, ১৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ মোঃ খলিলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক দুলাল মিয়া। উপস্থিত ছিলেন, মহানগর যুবলীগের সদস্য ইফফাত হাসান রিজন, আশরাফুজ্জামান মিলন, জিয়াউল হক জিয়া, রেজোয়ান সরকার রিফাত, সুমন হোসেন, আল আমিন।
কর্মী সমাবেশে শেষে জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে কলেজ প্রঙ্গনে বৃক্ষরোপণ করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও উদ্বোধক।