বিল্লাল হোসেন প্রান্তঃ
জনমতের পুর্বাভাস যদি সত্য হয়- তবে ৫ মের পরদিন অর্থ্যাৎ সিটি মেয়র পদে নতুন নেতৃত্বের অভিষেক হবে এমন আলোচনাই চলছে ময়মনসিংহ নগর জুড়ে। যে নেতৃত্ব ময়মনসিংহের আগামী নগরকে একটি আধুনিক উন্নত নগরে পরিনত করতে বদ্ধপরিকর। ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্ত সে পরির্বতন সুচনা করতে সমর্থ বলে মনে করে নগরবাসী।
এগিয়ে যাবে ময়মনসিংহ। এগিয়ে যাবে ময়মনসিংহ আওয়ামী লীগ। ময়মনসিংহকে এগিয়ে নিতে তাই সবচেয়ে জনপ্রিয় অপেক্ষাকৃত তরুণ নেতা মোহিত উর রহমান শান্তকে মহানগরের নেতৃত্বে
দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। ইতিমধ্যে সাংগঠনিকভাবে দলকে শক্তিশালী করে দলের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে জাতীয় নির্বাচনে নিজ যোগ্যতার প্রমান রেখেছেন তিনি।
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নবীন-প্রবীনদের লবিং চলছে। রাজনৈতিক বোদ্ধারা প্লাস-মাইনাস হিসাব কষে দেখছেন ময়মনসিংহ মহানগরে-এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়।’
জনমত বলছে- ময়মনসিংহে এখন সময় শান্ত’র। অনিরুদ্ধ। ফ্যাক্টর তিনিই। যোগ্য তিনি, জনপ্রিয় তিনি আবার প্রতিপক্ষের একমাত্র টার্গেটও তিনি।
জনপ্রত্যাশা হচ্ছে শান্তই যেন আসেন নগর উন্নয়ন নেতৃত্বে। রাজনীতিতে তার সাথে নেতৃত্বের প্রতিদ্বন্দিতায় স্বাভাবিকভাবেই কেউ কেউ থাকবেন। তবে, শান্ত’র সমর্থকরা তার জনপ্রিয়তাকে এতোটাই আনপ্যারালাল মাত্রায় নিয়ে গেছেন যে বয়সে কম হলেও তাকেই মানুষ ধরে নিচ্ছে পরবরর্তী মেয়র হিসেবে। তাই আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে তিনি।
নগরবাসী ময়মনসিংহের পরবর্তী মেয়র হিসেবে যার সম্ভাবনার কথা একবাক্যে স্বীকার করেন তিনি মোহিত উর রহমান শান্ত। এটা জনগণের স্বতঃস্ফুর্ত মনের কথা। একেই ব্যাখ্যা করা যায়- ‘জনপ্রত্যাশিত পপুলার নেতা। মহানগর আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা অর্থ্যাৎ তৃনমূল যাকে পছন্দ করে তিনি শান্ত। ’
সূত্রমতে- ‘মানুষ যখন শান্তকে পছন্দ করে ,সমর্থন করে তখন আর কোন নেতার নাম মনে রাখে না।’
মহানগর আওয়ামী লীগে তৃণমূলে ভোট হলে মোহিত উর রহমান শান্ত মেয়র পদে বিজয়ী হবেন। জনমত এটাই। তার অবিশ্বাস্য জনপ্রিয়তার রহস্য তিনি আওয়ামী লীগের শান্ত। এ জনপদের মাটি ও মানুষের সন্তান।
জনগণের হৃদয় থেকে উঠে আসা এই ধারণা কোন আবেগ নয়, বাস্তব ভিত্তি দিয়ে যা প্রামান্য। শান্ত স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির এক পরীক্ষিত নেতা, আওয়ামী লীগের রাজণীতিতে মোহিত উর রহমান শান্ত বিশ্বস্ততা, আস্থা, নির্ভরতা ও ভালোবাসার নাম। ‘এই নাম একদিনে উঠে আসেনি। ’এর পেছনে রয়েছে তার সাংগঠনিক দক্ষতা, প্রজ্ঞা,নিবেদিতপ্রাণ কর্মীর ত্যাগ- তিতিক্ষা, মানুষের প্রতি ভালোবাসা, নিরব মানবসেবা। নেতাকর্মীদের পাশে থাকা ও তাদের সঞ্চালিত রাখার ভূমিকাটি শান্ত’র গুনাবলী।
আওয়ামী লীগের চরম দুদির্নেও ময়মনসিংহে আওয়ামী লীগকে বলিষ্ঠ ও সাহসী নেতৃত্ব দিয়েছেন যিনি- তিনি জেলায় আওয়ামী রাজনীতির প্রাণপুরুষ ধর্মমন্ত্রী আলহাজ্ব অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। তার সন্তান, তার রাজনৈতিক উত্তরসুরী হলেও শান্ত ছাত্রজীবন থেকেই আছেন রাজপথে লড়াই সংগ্রামে। বিএনপি জামাতের ময়মনসিংহের একমাত্র শত্রু শান্ত। এন্টি আওয়ামী রাজনীতির টার্গেটও তিনিই।
সিনেমা হলের বোমা হামলার মিথ্যা মামলায় তাই পিতা-পুত্রকে কারাগারে পুরেছিল তৎকালীন বিএনপি-জামাত জোট সরকার।
দুর্দিনে দুঃসময়ে আন্দোলন সংগ্রামে আওয়ামী লীগের অকুতোভয় সৈনিক শান্ত রাজনীতি করেন আদর্শের । যে আদশের্র রাজনীতি তিনি পেয়েছেন তার পিতার দৃষ্টান্ত থেকে।