বিল্লাল হোসেন প্রান্তঃ আপডেটঃ
ময়মনসিংহের চরাঞ্চলে শামীম এন্টারপ্রাইজের মালিকানাধীন জুটমিলের নারী শ্রমিক (তাতী) কে গণধর্ষণ মামলার প্রধান দুই আসামি আদালতে (১৬৪)স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে।
গণধর্ষণ মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামি আরিফ ২৩ জুলাই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। তার দেয়া তথ্যমূলে অজ্ঞাত চার আসামির একজন সোহাগকে গ্রেফতার করে কোতোয়ালী থানা পুলিশ। ২৮ জুলাই রবিবার সোহাগ বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। তবে এ মামলার প্রধান আাসমি ইসমাঈল (২৫) কে এখনও পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ধর্ষিতা বয়ড়া ছালাকান্দা এলাকার তিন সন্তানের জননী। সে তিন বছর যাবৎ ময়মনসিংহের চরাঞ্চলে শম্ভুগঞ্জ শামীম এন্টারপ্রাইজের মালিকানাধিন জুট মিলে তাতী শ্রমিক হিসাবে কর্মরত। কর্মের সুবাদে তার সাথে পরিচয় হয় জুট মিলের তাতী ইসমাঈলের সাথে।
ঘটনার দিন ২০ জুন রাত ৮ টার দিকে ইসমাঈল ধর্ষিতাকে কথা আছে বলে জুট মিলের ভেতরে ১ম শ্রেনীর কোয়ার্টারের ছাদে নিয়ে যায়। সেখানে ধর্ষিতার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে ইসমাঈলের পরিকল্পনা অনুযায়ী আগে থেকে উৎপেতে থাকা তার চার বন্ধু আসে। ধর্ষিতাকে একটি পরিত্যক্ত পানির ট্যাংকির ভিতরে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এবং ধর্ষিতার মোবাইল,স্বর্ণের চেইন,নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
ঘটনার ৫ দিন পর ২৬ জুন ইসমাঈলের বোন জামাই মামলার দ্বিতীয় আসামি আরিফ(২৫) আপোষ মিমাংশার কথা বলে ধড়ষিতাকে তাদের বাড়িতে নিয়ে একমাস আটকে রাখে। এবং প্রতিনিয়ত বিভিন্ন হুমকি দিতে থাকে কোন মামলা মোকদ্দমা না করার জন্য। পরে ১৭ জুলাই ধর্ষিতাকে তার স্বামীর কাছে বুঝিয়ে দেয়ার কথা বলে শম্ভুগঞ্জ চামড়া বাজার মাদ্রাসার কাছে ছেড়ে দিয়ে বিবাদীরা পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ধর্ষিতা সমালোচনার মুখে তার স্বামী ও আত্মীয় স্বজনের পরামর্শে ২৩ জুলাই কোতোয়ালী থানায় নিজে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলায় ইসমাঈল ও আরিফ এর নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাত চারজনকে আসামি করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি তদন্ত খন্দকার শাকের আহমেদ জানান, জুটমিলে গণধর্ষণ মামলার দুই আসামিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। আজ (২৮ জুলাই) সোহাগ নামের এজাহার নামিয় আসামি বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারামূলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তিনি বলেন, বাকি আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশি পক্রিয়া চলছে। আইনের হাত থেকে কেউ ছাড় পাবেনা।