বিল্লাল হোসেন প্রান্তঃ
ময়মনসিংহে ডাঃ মুশফিকুর রহমান শুভ বালিকা উচ্চবিদ্যালয় সিটি করপোরেশন কর্তৃক উচ্ছেদের প্রতিবাদে ও পুনরায় চালুর দাবিতে সর্বস্থরের জনগণকে সাথে নিয়ে মানববন্ধন করেছে নগরীর ১৯ ও ২০ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ। পর্যায়ক্রমে মহানগরীর ৩৩ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠন একই দাবিতে লাগাতার মানববন্ধন করেছে।
২৫ নভেম্বর বুধবার সকালে নগরীর কেওয়াটখালি রেলক্রসিং এলাকায় ১৯ ও ২০ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনসহ শত শত নারী পুরুষ শান্তিপূর্ণ এ মানববন্ধন করেছে।
বক্তারা অবিলম্বে ডাঃ মুশফিকুর রহমান শুভ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়টি চালুর দাবি জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, নগরীতে সিটি করপোরেশনের অনেক জমি বেহাত হয়ে পড়ে আছে। ২০১৮ সালে সিটিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়া পরিত্যক্ত স্থানে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টি কেন গুড়িয়ে দিতে হয়?।
বক্তারা সিটি করপোরেশন মেয়রের প্রতি স্কুলটি পুনরায় চালুর আহবান রেখে বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ করে “জনপ্রিয়তা অর্জন করা যায়না”। এ ঘটনায় ময়মনসিংহের আপামর জনতা হতবাক হয়ে হতাশা ব্যাক্ত করেছে। বাহবা “দিয়েছে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়নতায় উসকে দেয়ারা”।
বক্তারা বলেন, স্কুলটির জমি সংলগ্ন স্থানে একাধিক সমিতি, নামে বেনামে প্রতিষ্ঠান ও বসতবাড়ী গড়ে উঠতে পারলে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেন উচ্ছেদের নামে গুড়িয়ে দেয়া হলো? স্কুলটি সাবেক ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের প্রায়ত পুত্র ডাঃ মুশফিকুর রহমান শুভর নামে হওয়ার কারনেই কি গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে কি না এমন প্রশ্নও উঠেছে মানববন্ধন থেকে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, মহানগর আওয়ামী লীগ সহ সভাপতি মোহাম্মাদ আলী জিন্নাহ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান পারভেজ, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রতন, জেলা যুবলীগ যুগ্ম আহবায়ক আখেরুল ইমাম সোহাগ,২০ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ইসতিয়াক আহমেদ রুবেল, মহানগর আওয়ামী লীগ সদস্য মাহবুবুর রহমান সোহাগ, জেলা যুবলীগ সদস্য মোঃ জসিম, বিপ্লব রহমান জুয়েল, পিন্টু সরকার, আসাদুজ্জামান রুমেল, ২২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ যুগ্ম আহবায়ক আজিজুল হক লালু, শহর ছাত্রলীগ সাবেক যুগ্ম আহবায়ক সাগর চৌধুরী, হারুন অর রশিদ, জেলা ছাত্র সমাজের সাবেক সহ সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলাম রফিক, ১৯ নং ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি গোলাম মোস্তফা, শহর ছাত্রলীগ সাবেক যুগ্ম আহবায়ক শেখ মোঃ জাবেদ, জেলা ছাত্রলীগ সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক পার্থ প্রতিম সেন,যুবলীগ কর্মী মোঃ হাদিস প্রমুখ।
উল্লেখ ডাঃ মুশফিকুর রহমান শুভ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেনী থেকে নবম শ্রেনীর পর্যন্ত ২৬০ জন নারী শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত। স্কুলটি বন্ধ হয়ে গেলে যাদের বেশির ভাগ শিক্ষার্থীর জীবন চরমভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। কারণ এ স্কুলটিতে প্রায় ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী নিন্ম আয়ের পরিবার থেকে এখানে বিনাবেতনে পড়ালেখা করতো। নারী শিক্ষায় অগ্রজ এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির বিলুপ্তি ঘটলে ময়মনসিংহ হারাবে নারী শিক্ষায় অবদান রাখা একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।