রাত ৪:৪০ | শুক্রবার | ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সিটি নির্বাচনের উপর নির্ভর করছে রাজনীতি

আশিক চৌধুরীঃ

প্রশ্ন আছে, উত্তর নেই। ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচন কবে হবে। ময়মনসিংহে জনপ্রিয় প্রশ্ন এটি।
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে মহানগরে সর্বাধিক আলোচিত এই প্রশ্নের উত্তরের দিকে সবাই তাকিয়ে আছে। এবং এখন ও আজ পর্যন্ত এই প্রশ্নের উত্তর কারো কাছে নেই। তারিখ এখনো নির্ধারণ না হলেও নির্বাচনী আমেজে রয়েছে ময়মনসিংহ।
তবে, রাজনৈতিক বোদ্ধাদের মতে, সিটি নির্বাচনের উপরই নির্ভর করছে, ময়মনসিংহ সদর-মহানগরের পলিটিক্স। এবং এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

 

রাজনৈতিক অঙ্গনে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় ময়মনসিংহ মহানগর নির্বাচন। ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন এর গেজেট জারি এবং সিটি করপোরেশনের প্রশাসক নিয়োগের পর থেকেই ময়মনসিংহ মহানগর অপেক্ষা করছে ‘প্রথম নির্বাচনের জন্য’। চলছে প্রস্তুতি। বলা যায় ময়মনসিংহ প্রস্তুত।

 

ইতোমধ্যে ১৮০ দিনের একটা অপেক্ষার পালা শেষে এপ্রিলের ১৩ তারিখ একটা গুরুত্বপূর্ণ ডেডলাইন। প্রকৃত প্রস্তাবে এ সময় পর্যন্ত মেয়াদ বেঁধে দেয়া হয় প্রশাসক নিয়োগের ক্ষেত্রে।

 

মহানগরের প্রথম প্রশাসকের ১৮০ দিনের মেয়াদপূর্তির লাগাতার সময়েই সিটি করপোরেশেন নির্বাচন হয়ে যাওয়ার কথা। অনেক বিশেষজ্ঞ একে বাধ্যবাধকতা বলেও মন্তব্য করেন। ১৩ এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচন হলে ইতোমধ্যে নির্বাচনী তফসিল ঘোষনার আভাস মিলে যাবার কথা। তেমনটি এখনো না হওয়ায় নিবার্চন কবে হবে সে প্রশ্নের দোলচালে রয়েছে ময়মনসিংহ।

 

বেশ কদিন ধরেই বিভিন্ন মহলে ও হাওয়া থেকে পাওয়া সূত্রে বলা হচ্ছে ‘এ সপ্তাহের মধ্যেই’ জানা যাবে করেব নাগাদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা হবে।
নির্বাচন কমিশন রয়েছে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়।

 

১৩ এপ্রিল অর্থাৎ প্রশাসকের মেয়াদ শেষের আগে নির্বাচন হতে হলে প্রায় ১ মাস আগে অর্থাৎ ১৩ মার্চের মধ্যে নির্বাচনী তফসিল হবার কথাছিল। তা না হওয়ায় জনমনে ধাণা চলছে সম্ভবতঃ এই সময়ের মধ্যে মহানগরে ভোট হচ্ছে না। ফলে নির্বাচন নিয়ে আশাবাদী মহলে হতাশার কালো মেঘ ধূমায়িত হতে শুরু করেছে।

 

কিন্তু এরমধ্যেও আশার আলো ছড়াচ্ছে আরেকটি ধারণা। সেটি হলো এপ্রিলের শেষে বা মে মাসের শুরুতে মহানগর নির্বাচন হতে পারে। অর্থাৎ রমজান মাসের আগে হলে হতেও পারে। তথ্যটি অসমর্থিত সূত্রে এবং ধারণা নির্ভর।

 

সচেতন মহল মনে করনে- রমজানের আগে মহানগরে ভোট যদি না হয় তবে নির্বাচন পিছিয়ে যাবে অনির্দিষ্ট কাল।
ঈদ ও বর্ষাকালের পর নির্বাচন গড়াতে পারে। সে অবস্থায় ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের প্রশাসকের ১৮০ দিনের মেয়াদান্তে মেয়াদ আরও কতোদিন বাড়বে সেটি নিয়ে জনমনে রয়েছে ব্যাপক কৌতুহল।

 

আর সবার সব কৌতুহল, সবার সব প্রশ্নের উত্তর একটাই বিষয়টি জানেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি যখন সিদ্ধান্ত দিবেন তখনই নির্বাচন হবে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনে। এব্যাপারে তথ্যানুসন্ধানে দায়িত্বশীল সূত্র যে কথা বলেছেন তা হলো ‘অচিরেই জানা যাবে প্রকৃত খবর’। এখনই নির্বাচন হবে না হবে না-দেরী হবে।

 

এদিকে গত সংসদ নির্বাচনেও বহু আগে থেকেই চলছে মহানগর নির্বাচনের হাওয়া।
পর্যবেক্ষক মহলের মতে বিগত মহাজোট সরকার আমলে ময়মনসিংহ পৌরসভাকে সিটি করপোরেশন করার প্রথম উদ্যোগ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তারপর গত সরকার আমলে মহানগরের উন্নীত হয় ময়মনসিংহ। ফলে গত প্রায় একযুগ ধরেই ময়মনসিংহ কাপছে সিটি নির্বাচনী জ্বরে।
বিশেষ করে, সিটি করপোরেশন ঘোষনার পর থেকেই অনানুষ্ঠানিক ভাবে নির্বাচনী আমেজ শুরু হয় ময়মনসিংহে।

 

পুরনো ২১ ওয়ার্ডসহ নতুন ১২টি ওয়ার্ড অর্থাৎ মোট ৩৩টি ওয়ার্ড জুড়েই শুরু হয়ে গেছে নির্বাচনী ডামাঢোল। প্রতি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১০/১৫ জন করে প্রায় ৩ শতাধিক প্রার্থী প্রাক প্রস্তুতি পর্বে মাঠে নামেন। মহিলা প্রার্থীরাও সক্রিয়।
পোস্টার ব্যানারে ছেয়ে যায় শহর। সেই সাথে ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থানে মঞ্চ করে মতবিনিময় সভা, নির্বাচনী প্রস্তুতি সভা শুরু হয়।

 

কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করতে ইচ্ছুকরা সিরিয়াস। নির্বাচনের তারিখ এর দিকে তাদের আগ্রহ রয়েছে কিন্তু তারা তারিখের জন্য বসে নেই। প্রার্থীর সামনেই চ্যালেঞ্জ একটাই প্রথম মহানগর নির্বাচন।
কিন্তু কাউন্সিলর প্রার্থিরা যতই সরব ততই নিরব মেয়র পদে সম্ভাব্য প্রার্থীরা।

 

সিটি নির্বাচন নিয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা রাজনৈতিক। ধারণা, ক্ষমতাসীন দলের মনোনীত প্রার্থীই নির্বাচনে বিজয়ী হবেন। যদিও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী হিসাবে কেউ কেউ আওয়াজ দিচ্ছেন, তবে শেষ পর্যন্ত ভোটে আওয়ামীলীগেরই জয় জয়কার থাকবে। এমনও হতে পারে সদর উপজেলা নির্বাচনের মতো বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতাতেও মহানগরে প্রথম মেয়র নির্বাচিত হবেন। কেননা, জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন অবদান ময়মনসিংহ মহানগর। তার মনোনীত প্রার্থীকেই মহানগরবাসী পছন্দ করবেন। তাই ময়মনসিংহে মেয়র পদে সম্ভব্য প্রার্থীরা নেত্রীর মনমর্জির প্রতি সম্মান জানাতে নিজেকে সংযত রাখছেন।

 

তবে ময়মনসিংহ এর জনমত বলছে-মেয়র পদে সেই প্রার্থী হতে হবে জনপ্রত্যাশিত। না হলে নির্বাচনে আগ্রহ হারাবে জনগণের।
সেক্ষেত্রে কে হবেন ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের ইতিহাসের প্রথম মেয়র।
পরিবর্তন না অপরির্বতন কি হবে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন। জনমনে কৌতুহল এখানেই।
জানা যায়-এক্ষেত্রে আওয়ামীলীগ হাই কমান্ডের গ্রীনসিগন্যাল কার প্রতি রয়েছে-তৃণমূলের প্রত্যাশা ও সমর্থনে কার পাল্লাভারী। রাজনৈতিক মহল এ ব্যাপারে কিভাবছেন- জনমত জরিপে কে এগিয়ে-এসব প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে জনমনে।

 

তৃণমূল নেতৃবৃন্দ রাজনৈতিক ও নাগরিক মহলের মতে-সিটি নির্বাচনের উপর নির্ভর করছে মহানগর আওয়ামী লীগের রাজনীতি। একই সাথে এই নির্বাচনের উপরই করবে ভবিষ্যতে ময়মনসিংহ সদর নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামীলীগের ভবিষ্যৎ রাজনীতি।

Print Friendly, PDF & Email

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ খবর



» আগামীকাল ময়মনসিংহ মেতে উঠবে স্বাধীনতা কনসার্টে

» ভাষা শহীদদের প্রতি সংসদ সদস্য মোহিত উর রহমান শান্তর শ্রদ্ধাঞ্জলী

» ১৪৭ বেকার তরুণ তরুণীকে চাকুরির প্রস্তুতি কর্মশালা করালেন এমপি মোহিত উর রহমান শান্ত

» হালুয়াঘাট-ধোবাউড়ায় ৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ বৃদ্ধি ; কৃষি সেচে গুরুত্ব এমপির

» ময়মনসিংহ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আলোচনায় আবু সাঈদ

» সংবর্ধনা বাতিল করে শীতার্তদের মাঝে এমপি মোহিত উর রহমানের কম্বল বিতরণ

» ব্রহ্মপুত্রে নৌকায় চড়ে অনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করলেন মোহিত উর রহমান শান্ত

» ময়মনসিংহে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে উল্লাসভরে ফুলেল শুভেচ্ছায় সমাবেশ

» লেঃ কর্ণেল (অবঃ)নজরুল ইসলামের হস্তক্ষেপে দীর্ঘদিনের জমি সংক্রান্ত বিরোধের অবসান

» ময়মনসিংহ-৪ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মোহিত উর রহমান শান্ত

» আবারও জাপাকে দিলে জনগনের আস্থা হারাবে আওয়ামী লীগ

» ময়মনসিংহ-৪ আসনে মনোনয়ন কিনেছেন মহানগর সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্ত

» জনসভায় জনসমুদ্র ; সদরের প্রত্যাশা মোহিত উর রহমান শান্ত

» সংবিধান মেনে নির্বাচনে আসেন, আমরাও আসবো-বিএনপিকে মোহিত উর রহমান শান্ত

» প্রতীকী অটোরিকশা চালিয়ে অবরোধের বিরুদ্ধে মোহিত উর রহমান শান্তর প্রতিবাদ

আমাদের সঙ্গী হোন

যোগাযোগ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় –

২২ সি কে ঘোষ রোড, ময়মনসিংহ
বার্তা কক্ষ : ০১৭৩৬ ৫১৪ ৮৭২
ইমেইল : dailyjonomot@gmail.com

© সর্বস্বত্ব স্বাত্বাধিকার দৈনিক জনমত .কম

কারিগরি সহযোগিতায় BDiTZone.com

,

basic-bank

সিটি নির্বাচনের উপর নির্ভর করছে রাজনীতি

আশিক চৌধুরীঃ

প্রশ্ন আছে, উত্তর নেই। ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচন কবে হবে। ময়মনসিংহে জনপ্রিয় প্রশ্ন এটি।
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে মহানগরে সর্বাধিক আলোচিত এই প্রশ্নের উত্তরের দিকে সবাই তাকিয়ে আছে। এবং এখন ও আজ পর্যন্ত এই প্রশ্নের উত্তর কারো কাছে নেই। তারিখ এখনো নির্ধারণ না হলেও নির্বাচনী আমেজে রয়েছে ময়মনসিংহ।
তবে, রাজনৈতিক বোদ্ধাদের মতে, সিটি নির্বাচনের উপরই নির্ভর করছে, ময়মনসিংহ সদর-মহানগরের পলিটিক্স। এবং এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

 

রাজনৈতিক অঙ্গনে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় ময়মনসিংহ মহানগর নির্বাচন। ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন এর গেজেট জারি এবং সিটি করপোরেশনের প্রশাসক নিয়োগের পর থেকেই ময়মনসিংহ মহানগর অপেক্ষা করছে ‘প্রথম নির্বাচনের জন্য’। চলছে প্রস্তুতি। বলা যায় ময়মনসিংহ প্রস্তুত।

 

ইতোমধ্যে ১৮০ দিনের একটা অপেক্ষার পালা শেষে এপ্রিলের ১৩ তারিখ একটা গুরুত্বপূর্ণ ডেডলাইন। প্রকৃত প্রস্তাবে এ সময় পর্যন্ত মেয়াদ বেঁধে দেয়া হয় প্রশাসক নিয়োগের ক্ষেত্রে।

 

মহানগরের প্রথম প্রশাসকের ১৮০ দিনের মেয়াদপূর্তির লাগাতার সময়েই সিটি করপোরেশেন নির্বাচন হয়ে যাওয়ার কথা। অনেক বিশেষজ্ঞ একে বাধ্যবাধকতা বলেও মন্তব্য করেন। ১৩ এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচন হলে ইতোমধ্যে নির্বাচনী তফসিল ঘোষনার আভাস মিলে যাবার কথা। তেমনটি এখনো না হওয়ায় নিবার্চন কবে হবে সে প্রশ্নের দোলচালে রয়েছে ময়মনসিংহ।

 

বেশ কদিন ধরেই বিভিন্ন মহলে ও হাওয়া থেকে পাওয়া সূত্রে বলা হচ্ছে ‘এ সপ্তাহের মধ্যেই’ জানা যাবে করেব নাগাদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা হবে।
নির্বাচন কমিশন রয়েছে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়।

 

১৩ এপ্রিল অর্থাৎ প্রশাসকের মেয়াদ শেষের আগে নির্বাচন হতে হলে প্রায় ১ মাস আগে অর্থাৎ ১৩ মার্চের মধ্যে নির্বাচনী তফসিল হবার কথাছিল। তা না হওয়ায় জনমনে ধাণা চলছে সম্ভবতঃ এই সময়ের মধ্যে মহানগরে ভোট হচ্ছে না। ফলে নির্বাচন নিয়ে আশাবাদী মহলে হতাশার কালো মেঘ ধূমায়িত হতে শুরু করেছে।

 

কিন্তু এরমধ্যেও আশার আলো ছড়াচ্ছে আরেকটি ধারণা। সেটি হলো এপ্রিলের শেষে বা মে মাসের শুরুতে মহানগর নির্বাচন হতে পারে। অর্থাৎ রমজান মাসের আগে হলে হতেও পারে। তথ্যটি অসমর্থিত সূত্রে এবং ধারণা নির্ভর।

 

সচেতন মহল মনে করনে- রমজানের আগে মহানগরে ভোট যদি না হয় তবে নির্বাচন পিছিয়ে যাবে অনির্দিষ্ট কাল।
ঈদ ও বর্ষাকালের পর নির্বাচন গড়াতে পারে। সে অবস্থায় ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের প্রশাসকের ১৮০ দিনের মেয়াদান্তে মেয়াদ আরও কতোদিন বাড়বে সেটি নিয়ে জনমনে রয়েছে ব্যাপক কৌতুহল।

 

আর সবার সব কৌতুহল, সবার সব প্রশ্নের উত্তর একটাই বিষয়টি জানেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি যখন সিদ্ধান্ত দিবেন তখনই নির্বাচন হবে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনে। এব্যাপারে তথ্যানুসন্ধানে দায়িত্বশীল সূত্র যে কথা বলেছেন তা হলো ‘অচিরেই জানা যাবে প্রকৃত খবর’। এখনই নির্বাচন হবে না হবে না-দেরী হবে।

 

এদিকে গত সংসদ নির্বাচনেও বহু আগে থেকেই চলছে মহানগর নির্বাচনের হাওয়া।
পর্যবেক্ষক মহলের মতে বিগত মহাজোট সরকার আমলে ময়মনসিংহ পৌরসভাকে সিটি করপোরেশন করার প্রথম উদ্যোগ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তারপর গত সরকার আমলে মহানগরের উন্নীত হয় ময়মনসিংহ। ফলে গত প্রায় একযুগ ধরেই ময়মনসিংহ কাপছে সিটি নির্বাচনী জ্বরে।
বিশেষ করে, সিটি করপোরেশন ঘোষনার পর থেকেই অনানুষ্ঠানিক ভাবে নির্বাচনী আমেজ শুরু হয় ময়মনসিংহে।

 

পুরনো ২১ ওয়ার্ডসহ নতুন ১২টি ওয়ার্ড অর্থাৎ মোট ৩৩টি ওয়ার্ড জুড়েই শুরু হয়ে গেছে নির্বাচনী ডামাঢোল। প্রতি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১০/১৫ জন করে প্রায় ৩ শতাধিক প্রার্থী প্রাক প্রস্তুতি পর্বে মাঠে নামেন। মহিলা প্রার্থীরাও সক্রিয়।
পোস্টার ব্যানারে ছেয়ে যায় শহর। সেই সাথে ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থানে মঞ্চ করে মতবিনিময় সভা, নির্বাচনী প্রস্তুতি সভা শুরু হয়।

 

কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করতে ইচ্ছুকরা সিরিয়াস। নির্বাচনের তারিখ এর দিকে তাদের আগ্রহ রয়েছে কিন্তু তারা তারিখের জন্য বসে নেই। প্রার্থীর সামনেই চ্যালেঞ্জ একটাই প্রথম মহানগর নির্বাচন।
কিন্তু কাউন্সিলর প্রার্থিরা যতই সরব ততই নিরব মেয়র পদে সম্ভাব্য প্রার্থীরা।

 

সিটি নির্বাচন নিয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা রাজনৈতিক। ধারণা, ক্ষমতাসীন দলের মনোনীত প্রার্থীই নির্বাচনে বিজয়ী হবেন। যদিও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী হিসাবে কেউ কেউ আওয়াজ দিচ্ছেন, তবে শেষ পর্যন্ত ভোটে আওয়ামীলীগেরই জয় জয়কার থাকবে। এমনও হতে পারে সদর উপজেলা নির্বাচনের মতো বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতাতেও মহানগরে প্রথম মেয়র নির্বাচিত হবেন। কেননা, জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন অবদান ময়মনসিংহ মহানগর। তার মনোনীত প্রার্থীকেই মহানগরবাসী পছন্দ করবেন। তাই ময়মনসিংহে মেয়র পদে সম্ভব্য প্রার্থীরা নেত্রীর মনমর্জির প্রতি সম্মান জানাতে নিজেকে সংযত রাখছেন।

 

তবে ময়মনসিংহ এর জনমত বলছে-মেয়র পদে সেই প্রার্থী হতে হবে জনপ্রত্যাশিত। না হলে নির্বাচনে আগ্রহ হারাবে জনগণের।
সেক্ষেত্রে কে হবেন ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের ইতিহাসের প্রথম মেয়র।
পরিবর্তন না অপরির্বতন কি হবে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন। জনমনে কৌতুহল এখানেই।
জানা যায়-এক্ষেত্রে আওয়ামীলীগ হাই কমান্ডের গ্রীনসিগন্যাল কার প্রতি রয়েছে-তৃণমূলের প্রত্যাশা ও সমর্থনে কার পাল্লাভারী। রাজনৈতিক মহল এ ব্যাপারে কিভাবছেন- জনমত জরিপে কে এগিয়ে-এসব প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে জনমনে।

 

তৃণমূল নেতৃবৃন্দ রাজনৈতিক ও নাগরিক মহলের মতে-সিটি নির্বাচনের উপর নির্ভর করছে মহানগর আওয়ামী লীগের রাজনীতি। একই সাথে এই নির্বাচনের উপরই করবে ভবিষ্যতে ময়মনসিংহ সদর নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামীলীগের ভবিষ্যৎ রাজনীতি।

Print Friendly, PDF & Email

সর্বশেষ খবর



এ বিভাগের অন্যান্য খবর



আমাদের সঙ্গী হোন

যোগাযোগ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় –

২২ সি কে ঘোষ রোড, ময়মনসিংহ
বার্তা কক্ষ : ০১৭৩৬ ৫১৪ ৮৭২
ইমেইল : dailyjonomot@gmail.com

© সর্বস্বত্ব স্বাত্বাধিকার দৈনিক জনমত .কম

কারিগরি সহযোগিতায় BDiTZone.com