বিল্লাল হোসেন প্রান্তঃ
কাউন্ট ডাউন শুরু। আর মাত্র ৫ দিন বাকী ময়মনসিংহ সদর উপজেলার ৬ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীদের বিজয়ী করতে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। সাথে আছেন স্থানীয় তৃণমুলের নেতাকর্মীরা। তবে নৌকার পক্ষে এখনও প্রচারনায় নামতে দেখা যায়নি স্থানীয় আওয়ামী লীগের হাই প্রফাইল নেতৃবৃন্দকে।
৫ নং সিরতা উইনিয়নে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু সাঈদকে ঘিরে সাধারণ ভোটার উজ্জীবিত। চরাঞ্চলবাসী নৌকার পক্ষে গণজোয়ার তুলেছেন। তবে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থকরা দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দকে পাশে না পেয়ে অনেটাই হতাশা ব্যক্ত করেছেন। যাদের উপস্থিতি দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করতে ও নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করতে সহায়ক।
সিরতা বাজারে চায়ের দোকানে কথা হয় কৃষক আলিম মিয়ার সাথে, তিনি বলেন চর সিরতা বাধভাঙ্গা আনন্দ, উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে নৌকার সমর্থনে। চরের মানুষ সব সময়ই নৌকার পক্ষে তাদের নিরঙ্কুশ রায় দিয়েছেন। এবারো ব্যতয় হবেনা।
নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত জানিয়ে ছাত্রলীগ কর্মী ফুয়াদ বলেন, এ নির্বাচনে সবার আগেই আওয়ামী লীগ তাদের প্রার্থী সিলেকশন করে নৌকার মনোনয়ন দিয়েছে। তবে এলাকায় দলীয় ও ব্যাক্তি গ্রুপিংকে পোষন করে চলছে নৌকার পক্ষে স্থবিরতা । ভুমি রক্ষা আন্দোলনের নামে একটি পক্ষ নৌকার বিপক্ষে প্রার্থী দিয়েছে। যা নৌকার জন্য অশনিসংকেত হতে পারে।
একই চিত্র ধরাপরে ১০ নং দাপুনিয়া ইউপিতে। এখানে সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ হুমায়ন হাসান উজ্জল নৌকা প্রতীকে
ব্যাপক জনপ্রিয়তায় রয়েছেন। তবে এখানে একাধিক সতন্ত্র প্রার্থীর জেরবারে ক্রমশই কুন্ঠাসা হয়ে পড়ছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী। সুযোগ নিচ্ছে বিএনপি ঘরানার সতন্ত্ররা।
গুঞ্জন উঠেছে জেলা সদরে আওয়ামী লীগের নেতৃস্থানীয় নেতৃবৃন্দের উদাসীনতা ও অবহেলায় নৌকার ভরাডুবি হতে পারে এখানে । এক্ষেত্রে নৌকার প্রার্থীর সাথে আওয়ামী লীগের সতন্ত্র প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগকে কাজে লাগাতে পারে বিএনপি ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী। আবারও হতে পারে সতন্ত্র জয়জয়কার।