বিল্লাল হোসেন প্রান্তঃ
অতি উৎসাহী, চাচমা, তেলবাজ থেকে সাবধান থাকবেন, নেতাদের সর্তক করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর মোস্তাক মাটিতে গড়াগড়ি দিয়ে কেঁদেছিলো। তারা বিএনপি জামায়াতের এজেন্ডায় ভাই ভাই করে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকবে ক্ষতি করতে।
৮ জুন বুধবার বিকালে ময়মনসিংহ আনন্দমোহন কলেজ মাঠে মহানগর আওয়ামী লীগের ২,৩,৪,৫ ও ৬ নং ওয়ার্ড ত্রি বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তিনি।
২,৩,৪,৫ ও ৬ নং ওয়ার্ড সভাপতির সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রী আওয়ামী লীগের সদস্য মারুফা আক্তার পপি,সদস্য উপাধ্যক্ষ রেমন্ড আরেং, ময়মনসিংহ সিটি মেয়র ইকরামুল হক টিটু, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি অধ্যপক গোলাম ফেরদৌস জিল্লু প্রমুখ। সম্মেলন উদ্ভোধক করেন, মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এহতেশামুল আলম। এতে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন, মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্ত।
সাংগঠনিক সম্পাদক নাদেল বলেন, বঙ্গবন্ধু মোস্তাককে বিশ্বাস করেছিলেন, সে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, জননেত্রী শেখ হাসিনা যাদের বেশি বিশ্বাস করেছেন তারা ওয়ান ইলিভেনে নেত্রী মাইনেস ফরর্মূলায় যোগ দিয়েছেন আগে। নেত্রীর পাশে ছিলো আজকের এই তৃণমূল আর জনগণ।
তিনি বলেন, আজকের এই আওয়ামী লীগ বহু ত্যাগ তিতিক্ষায় অর্জন হয়েছে। ময়মনসিংহ আওয়ামী লীগ নেত্রীর দুর্দিনে নেত্রীর পাশে দাড়িয়েছিলো। শামসুল হক, প্রিন্সিপাল মতিউর রহমানরা সংসার, সন্তান, আরাম আয়েশ ত্যাগ করে তিলে তিলে আজকের আওয়ামী লীগ গড়েছেন। এখনও সময় আছে সর্তক হইন। সুসংগঠিত হইন। সুসংগঠিত সাংগঠনিক শক্তির বিকল্প নেই।
জনাকীর্ণ সম্মেলনস্থল প্রকম্পিত শ্লোগানে বক্তব্য শুরু করেন ছাত্রলীগ সাবেক তুখুর নেত্রী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য মারুফা আক্তার পপি। তিনি বলেন, দৌড় হবে দৌড়, ৯৬ এর মতো খালেদা-সালাউদ্দিনদের মতো দৌড় হবে। মাজা ভাঙ্গা তারেক রমহানের ছাত্রদল ৭৫ এর স্বপ্ন দেখে। জিয়া গেছে যেই পথে খালেদা যাবে সেই পথে, খালেদা যাবে যেই পথে তারেক যাবে সেই পথে।
মারুফা আক্তার পপি বলেন, প্রতিরোধ, প্রতিঘাত মোকাবেলা করে পরাস্ত মানুষ গড়ার কারিগর এই আনন্দমোহন কলেজ থেকেই বিএনপি জামায়াতকে দৌড় দেয়া হবে। তিনি বলেন, বক্তব্য দিলে বলতে হয়, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পদ্মা সেতু, মেট্রো রেল, বিধবা ভাতা, চিকিৎসা, ৪ লেনের কথা। আমি কিছু বলবো না, বলবে জনগণ। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু এই দিনের জন্য সকল নির্যাতন সহ্য করে দেশ স্বাধীন করেছিলেন। সেদিন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এনে দিয়েছেন।
কেন্দ্রীয় আওয়ামী সদস্য উপাধ্যক্ষ রেমন্ড আরেং বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতি বর্তমানে দুটি ধারায় চলমান। একটি উন্নয়নের, আরেকটি নৈরাজ্য সৃষ্টি কারীদের চক্রান্তের। আজকে যখন প্রান্তিক থেকে নগর পর্যন্ত জনগনের স্বপ্ন পুরন হচ্ছে, দিন শেষে রাতের আধারে বিএনপি জামায়াত চক্র সে স্বপ্নকে ব্যহত রতে চক্রান্ত করছে।
তিনি বলেন, বিএনপি জামায়াতের আদর্শের কারণে জনগনের ভালোবাসা থেকে ছ্যাকা খেয়েছে। তারা জানে জনগণের ভালোবাসা আর তারা পাবেনা। তারা ক্ষমতায় থেকে জনগণকে যে অস্থিরতায় রেখে যন্ত্রনা দিয়েছে তা আজ টের পাচ্ছে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে।
সম্মেলনের প্রধান বক্তা ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্ত বলেন, ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক ৭৫ পুনরাবৃত্তি চেয়ে বক্তব্য রেখেছেন।এটি ভুলে, বা স্লিপ অব র্টন নয়, তারা এই দিবা স্বপ্নে উন্মুখ। আপনারা দেখবেন বিএনপি জামায়াতের নেতারা বিভিন্ন বক্তব্যে এ ধরনের বক্তব্য রাখার চেষ্টা করে। তাদের এ ধরনের কথা বলার কারন, জননেত্রী শেখ হাসিনা একজন প্রান্তিক মানুষ থেকে নগর মানুষের জীবন মানের উন্নয় ও পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছেন।
মোহিত উর রহমান শান্ত বলেন, তারা যখন বুঝতে পেরেছে জননেত্রী শেখ হাসিনা মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত, জনগনের ভালোবাসায় সিক্ত, জনগণের ম্যানড্যাট নিয়ে তাদের রাজপথ দখল করার কোন সম্ভাবনা নেই তখন কুখ্যাত তারেক জিয়ার চক্রান্তের ভরসায় যড়যন্ত্রে লিপ্ত। দেশে বিদেশে চক্রান্ত চলছে জনগনের উন্নয়নকে ঠেকাতে।
নেতৃবৃন্দ প্লেকার্ড, পোষ্টার, তোরণে সুসজ্জিত করে সম্মেলনকে উৎসবের আমেজে রুপ দেয়। মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এহতেশামুল আলম সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনের সমাপনি বক্তব্যে ২,৩,৪,৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডকে বিলুপ্ত ঘোষনা করে দ্বিতীয় অধিবেশনে সাংগঠনিক নিয়ম অনুযায়ী নেতৃত্ব ঘোষনা দেয়া হবে বলেন। এতে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সর্বস্থরের নেতাকর্মীবৃন্দ।