বিল্লাল হোসেন প্রান্তঃ
মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে ময়মনসিংহ বিভাগের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ।
সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন মিডিয়া কমিটি ময়মনসিংহ বিভাগ সমন্বয় কমিটির আয়োজনে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, সুবর্ণ জয়ন্তী ময়মনসিংহ বিভাগের সমন্বয় কমিটির আহবায়ক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম খান।
৪ মার্চ বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় চরপাড়া আল বারাকা কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সুবর্ণ জয়ন্তী মিডিয়া কমিটির আহবায়ক ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিল সদস্য ও সুবর্ণ জয়ন্তী জাতীয় কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম।
সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সুবর্ণ জয়ন্তী মিডিয়া কমিটির সদস্য সচিব সামা ওবায়েদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম।
স্বাধীনতা অর্জনের আগে স্বাধীনতা সংগ্রামকে সুসংহত ও দৃঢ় করেছে সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবি, লেখকরা। স্বাধীনতা চূড়ান্ত পরিনতি যা আজ আমরা উদযাপন করছি। স্বাধীনতা সংগ্রামে সাংবাদিকদের অবদানের কথা বলে প্রধান অতিথি বক্তব্যে নজরুল ইসলাম খান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধি নায়ক শেখ মজিবুর রহমানকে স্বীকার করে স্বাধীনতার ঘোষক মেজর জিয়াকে নিয়ে বির্তকের বিপরীতে মেজর জেনারেল সুবেদ আলী ভুঞার লেখা বইয়ের উদাহরন দেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, জিয়াউর রহমানকে অগ্রাজ্য করতে পারলে মুক্তিযোদ্ধাদের অস্বীকার করা সমান। জিয়াউর রহমানকে অস্বীকার করা মানে মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করা। জিয়াউর রহমান জাতীয় নেতাদের খুন করেছেন এটি বিশ্বাস করেন না জানিয়ে তিনি বলেন, পাকিস্তান শাসনকালে মেলিটারিতে বাংলাদেশের নেতাদের নিয়ে কটুক্তি করায় মেজর জিয়া পাকিস্তানি সেনাদের সাথে মুষ্টিযুদ্ধ করেছেন।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে গণতন্ত্রের জন্য। সেই গণতন্ত্র হত্যা করেছে আওয়ামী লীগ। খন্দকার মোশতাক মার্সল্য করেছে। খন্দকার মোশতাক তো বিএনপির ছিলো না। বিএনপি গণতন্ত্রকে বার বার উদ্ধার করেছে।
তিনি নিজের সাংবাদিকতার ইতিহাস জানিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, সাংবাদিকরা সমাজ বিনির্মানের মূল শ্রমিক। আমাকে নিয়ে ভালো লেখতে হবে না। তবে কারও অর্জন লেখা থেকে বিরত থেকে তাকে অস্বীকার করবেন না। মুক্তিযুদ্ধের আকাংঙ্খা বাস্তবায়নে যে যা করেছে তা লিখুন। আল্লাহর রওয়াস্তে যার যা প্রাপ্য তা থেকে বঞ্চিত করবেন না।
সভার সভাপতি ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে আমরা কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছি। জাতির জীবনে ৫০ বছর আমরা পালন করছি। এ জীবনে আমরা যা হবার কথা তা কি হতে পেড়েছি।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরের ১৪ বছরে ওনারা জাতিকে বিভক্ত করেছেন। আমরা এক করতে চাই। স্বাধীনতা পূর্ব ইতিহাস সম্পর্কে জানিয়ে তিনি বলেন, ইতিহাস এক পাতা দিয়ে হয় না। ইতিহাস একজনকে দিয়ে হয় না।
টুকু বলেন, পদক কেড়ে নিয়ে জাতি আর যাই হো এক হয় না। দ্বিধা বিভক্ত হয়। ৫০ বছর পর এ বিভাজনটা ঠিক না। এটা কমিয়ে আনতে পারেন সাংবাদিকরা।
সভায় স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসে এক দল আরেক দলকে,কোন নেতার অবদান কতটা তা নিয়ে যে বির্তক হয় এতে প্রজন্ম বিভ্রান্ত হচ্ছে কি? সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম বলেন, আওয়ামী লীগ সব জিনিসের কৃতিত্ব নিয়ে কাজ করছে, আমরা এটা ছড়িয়ে দিয়ে ঐক্যের চেষ্টা করছি।
সুবর্ণ জয়ন্তীকে ঘিরে বিএনপি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারবে কি? এমন প্রশ্নের জবাবে বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা চেষ্টা করছি জানিনা কতটা পারবো।