ভোলায় গৃহবধূ হত্যা মামলার এক আসামি চিফ জুডিসিয়াল আদালতের পেশকার। মামলাটির তদন্তসহ নানা কাজে প্রভাব বিস্তার করার অভিযোগ উঠেছে ওই পেশকারের বিরুদ্ধে। মামলা থেকে তার নাম বাদ দেয়ার জন্য বাদীকে বিভিন্নভাবে হুমকিও দিচ্ছেন ভোলা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টেট কোর্ট-১ এর পেশকার শহিদুল ইসলাম সবুজ।
চলতি বছরের ৩ মার্চ ভোলা পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের পাখির পোল এলাকায় গৃহবধূ রুমি আক্তারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। শ্বশুরবাড়ির লোকজন আত্মহত্যা বলে দাবি করলেও নিহতের পরিবারের অভিযোগ রুমিকে হত্যা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় গৃহবধূর মা বাদী হয়ে ভোলা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলায় রুমি আক্তারের স্বামী লিটন ও তার বোনজামাই শহিদুল ইসলাম সবুজসহ কয়েকজনকে আসামি করা হয়।
ভুক্তভোগীরা জানান, মামলা থেকে তার নাম বাদ দেয়ার জন্য বাদীকে টাকার লোভ ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন শহিদুল ইসলাম। এ ঘটনায় আদালত শহিদুলকে মনপুরা কোর্টে বদলিও করে। কিন্তু কিছু দিন পর আবার বদলি হয়ে ভোলা কোর্টে আসেন শহিদুল। শুধু তাই নয় মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে তিনি টাকা দিয়ে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি চেয়ে আদালতে একটি অভিযোগপত্র দেন। কিন্তু গত ৭ আগস্ট ওই অভিযোগপত্রের ওপর নারাজি দরখাস্ত দেন বাদী। আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর ওই নারাজির ওপর শুনানির দিন ধার্য করেছে আদালত।
পেশকার শহিদুল ইসলাম ভোলা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টেট কোর্টে দায়িত্বে থাকায় হত্যা মামলার বিচার নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেছে নিহতের স্বজনরা।
মামলার বাদী বিবি নাছিমা জানান, ‘পেশকার শহিদুল ইসলাম সবুজের ইন্ধনে তার মেয়েজামাই লিটন তার মেয়ে রুমিকে মারধর করে হত্যা করেছে। পরে ঘটনা জানাজানি হলে রুমির গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যার নাটক সাজায় লিটনের পরিবার।’
তিনি আরও বলেন, ‘মামলার পর থেকে শহিদুল ইসলাম আমাদেরকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে।’
অভিযুক্ত মো. শহিদুল ইসলাম সবুজ নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, ‘আমি শুনেছি রুমি আক্তারের সাথে তার স্বামী লিটনের ঝগড়া হয়েছে। এ থেকে রুমি আত্মহত্যা করেছে। এর সাথে আমি জড়িত না। আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে।’ দীর্ঘদিন ধরে আমি শ্বশুরবাড়িতেও যাই না বলে জানান শহিদুল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর খায়রুল কবির ঢাকাটাইমসকে বলেন, মামলার পর লিটনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিরা হাইকোর্ট থেকে জামিনে আছে। গৃহবধূ রুমি হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে।