বিল্লাল হোসেন প্রান্ত ॥
আর মাত্র ৪ দিন বাকী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের। এ নির্বাচনে লড়াই হবে মুক্তিযোদ্ধের পক্ষে বিপক্ষের লাড়াই। বাংলাদেশে দুটি পক্ষের অবস্থান স্পষ্ট। আপনি কোন পক্ষের হয়ে অবস্থান নিবেন তার সিদ্ধান্ত আপনার বলেছেন ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্ত।
২৬ ডিসেম্বর দিনব্যাপী জননেত্রী শেখ হাসিনা মনোনীত প্রার্থী রওশন এরশাদের লাঙ্গলের ভোট চাইতে আকুয়া,ঘাগড়া, দাপুনিয়ায় লাঙ্গলের গণসংযোগ ও পথসভায় বক্তব্য রাখেন তিনি।
মোহিত উর রহমান শান্ত আগামী ৩০ তারিখ লাঙ্গলের জন্য ভোট চেয়ে বলেন, বিগত ১০ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের সকল উন্নয়নে পাশে থেকে কাজ করেছেন আমাদের সদরের সন্তান জাতীয় পার্টির কো চেয়ারম্যান বেগম রওশন এরশাদ। ময়মনসিংহে লাঙ্গল প্রতীকে ভোট দেয়া মানেই নৌকাকে বিজয়ী করা।
তিনি বলেন, বিএনপিকে ভোট দেয়া মানে জামায়াত রাজাকারদের হাতে আবার আমাদের পতাকা উঠিয়ে দেয়া। কারণ বিএনপি প্ররিচালনা করে জামায়াত শিবির। আর বিএনপির নির্ধারক তারেক রহমানের রাজনীতি হলো হত্যার রাজনীতি। ৩০ তারিখ এ দলটি আবার ক্ষমতায় এলে সেই হত্যাযঞ্জ আবার ফিরে আসবে জামায়াত শিবিরের মাধ্যমে। সারের জন্য কৃষকের বুকে গুলি, মায়ের সামনে মেয়েকে ধর্ষন, দেশের টাকা বিদেশে লোপাট, জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারাসহ অতীতে বিএনপির অরাজকতার রাজনীতির ইতিহাস তুলে ধরে মোহিত উর রহমান শান্ত বলেন, আপনাদের এটি ভুল সিদ্ধন্তে জননেত্রী শেখ হাসিনার ১০ বছরের উন্নয়ন আবার পেছনে ফেলে দেশ বিশ্বের কাছে পুনরায় দুর্নীতিতে এগিয়ে যাবে বিএনপি ক্ষমতায় এলে।
শান্ত বলেন, ময়মনসিংহে আমার পিতা অধ্যক্ষ মতিউর রহমান এমপি থাকাকালিন সময়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘাগড়া থেকে আকুয়া, দাপুনিয়া থেকে ময়মনসিংহ সড়কগুলো করে দিয়েছেন । আপনারা সারাটা জীবন আমার বাবার সাথে রাজনীতি করেছেন। আওয়ামী লীগককে ভোট দিয়ে জয়ী করেছেন। অতীতে বিএনপির ঘাটি এই এলাকাগুলো আজ আওয়ামী লীগের দূর্গে পরিনত হয়েছে। এখন এখানে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান মেম্বররা বার বার নির্বাচীত হয়। এ অর্জন আপনাদের। এ অর্জন উন্নয়নকামী জনগণের।
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যাক্তি জীবনে অসম্ভব মমতাময়ী ও ধার্মিকতার দিকগুলো তুলে ধরে বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার আল্লাহ তায়ালার নেয়ামতপ্রাপ্ত একজন মানুষ। তার জীবনে অসংখ্যবার হত্যার ঝুকি এসেছে তবুও তিনি দেশের মানুষের ভাগ্যে উন্নয়নের পথ থেকে সরে যাননি।
তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যে ব্যাক্তি সারা জীবন কথা বলেছেন তার বিপদের সময়ে তিনি পাশে এসে দাড়িয়েছেন এমন অসংখ্য উদাহরন দেয়া যাবে মানুষটিকে নিয়ে। তিনি মাত্র ৪ ঘন্টা ঘুমান বাকী সময় মানুষের ভাগ্যে উন্নয়নে কাজ করেন। তিনি খুব বেশি অসুস্থ না হলে এক ওয়াক্ত নামাজও কাজা করেন না। বরং রাতে তিনি তাহাজ্জতের নামাজ আদায় করেন। এমন একজন মানুষ যদি আমাদের নেতা হয়, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হয় সেটাতো আমাদেরই গর্ব।
তিনি দাপুনিয়া ডিকে সরকারী প্রাথমিক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পথসভায় বলেন, দাপুনিয়ায় ৩ শ একর খাস জমিতে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হবে আগামীতে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে। এ পথ সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি হাফিজুর রহমান আরজু, এতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ঘাগড়া ইউনিয়ন পথ সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও চেয়ারম্যান শাজাহান সরকার সাজু, সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক কাজল। উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দসহ এলাকার হাজারো জনতা।
আকুয়া ইউনিয়ন পথসভায় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দসহ জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক সরকার মো: সব্যসাচী।
পথসভায় মোহিত উর রহমান শান্তর সাথে ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগ যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক রেজাউল হাসান বাবু, কোতোয়ালী আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুস সালাম, মহানগর আওয়ামী লীগ সহ সভাপতি মোর্শেদুল আলম জাহাঙ্গীর, মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা আতিকুর রহমান শাহজাদা, জেলা যুবলীগ সদস্য ও সাবেক জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক আক্তারোজ্জামান রবিন,জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক সরকার মো: সব্যসাচী,জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ পান্না, জেলা যুবলীগ সদস্য পিন্টু সরকার, কোতোয়ালী যুবলীগ নেতা রাফিউর রাজ্জাক বাদশা প্রমুখ।