ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলে শোক দিবসের পোস্টার ছেঁড়ার কারণে হল প্রশাসন ও হল ছাত্রলীগ যৌথভাবে হলের ১১ জন আবাসিক শিক্ষার্থীকে পুলিশে সোপর্দ করেছে। শোক দিবস উপলক্ষে সাঁটানো বঙ্গবন্ধুর পোস্টার ছেঁড়ায় তাদেরকে ভিন্ন মতাদর্শে বিশ্বাসী বলে সন্দেহ করে প্রশাসন।
মঙ্গলবার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তাদের সনাক্ত করা হয়।
এসময় তাদের কাছ থেকে ১১টি এন্ড্রয়েট ফোন, দুটি ল্যাপটপ এবং একটি ডেক্সটপ কম্পিউটার জব্দ করা হয়। যা হল কর্তৃপক্ষ তদন্তের স্বার্থে চেক করবে বলে জানিয়েছে। এগুলো বর্তমানে হল কর্তৃপক্ষের হেফাজতে রয়েছে।
আটককৃতরা হলেন ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগের আসিফ হোসেন, একাউন্টিং বিভাগের জিএম আরাফাত ইসলাম, ইসলামের ইতিহাস বিভাগের রিয়াজ উদ্দিন ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের মাহমুদুল হাসান, মনোবিজ্ঞান বিভাগের আজিম উদ্দীন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের মোকসেদুল আলম ও এহসান আহমেদ, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শাহীনুজ্জামান, ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি বিভাগের ওবাইদুল হক ভুইয়া, পালি ও বুদ্ধিস্ট বিভাগের মনির হোসেন এবং দর্শন বিভাগের বায়েজিদ ইসলাম।
সকালে হল প্রাধ্যক্ষের কক্ষে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সনাক্ত করার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূইয়া, হল ছাত্রলীগের সভাপতি ফকির রাসেল ও সাধারণ সম্পাদক নয়ন হাওলাদার সহ হলের আবাসিক শিক্ষকগণ ও নীলক্ষেত পুলিশ ফাড়ির সাব ইন্সপেক্টর সাহেব আলী।
এ বিষয়ে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শফিউল আলম ভুইয়া বলেন, যারা পোস্টার ছিঁড়েছেন তাদের উদ্দেশ্যটা ভালো মনে হয়নি। তাদের কেই কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে তা করেছেন। তাদেরকে প্রক্টরিয়াল টিমের মাধ্যমে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। পুলিশ খতিয়ে দেখবে তাদের কোনো নিষিদ্ধ সংগঠনের সদস্য কি না? তবে যারা সম্পৃক্ত না তাদের যাতে কোনো ক্ষতি না হয় সেটা দেখা হবে।