বিল্লাল হোসেন প্রান্ত –
ময়মনসিংহের সাথে আমার আত্নিক সম্পর্ক রয়েছে বলে স্মৃতিচারণ করে আপ্লুত হলেন সেনা প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক। জানালেন ময়মনসিংহের জামালপুরেই শৈশব জীবন কেটেছে তার। বাবার চাকরির সুবাধে অনেকদিন থেকেছেন জামালপুরে বকুলতলায়। সেনা প্রধানের এমন মধুর স্মৃতিচারণ মুগ্ধ করলো উপস্থিত সবাইকে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ময়মনসিংহ নগরীর সার্কিট হাউজ মাঠে বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের সহযোগিতায় ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার ব্যবস্থাপনায় যুব গেমসের বিভাগীয় পর্যায়ের অ্যাথলেটিক্স ও কাবাডি প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন স্মৃতি চারণ করলেন তিনি।
ময়মনসিংহ বিভাগীয় পর্যায়ে বাংলাদেশ যুব গেমসে উপস্থিত থাকতে পেরে নিজের উচ্ছ্বাসের কথাও বললেন সেনা প্রধান। ময়মনসিংহের জামালপুরে নিজের শৈশব জীবনেরও স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ‘ময়মনসিংহ বিভাগের সঙ্গে আমার আত্নিক সম্পর্ক রয়েছে। ষাটের দশকে আমি জামালপুরে অনেক দিন ছিলাম। ব্রক্ষপুত্র নদের তীরে বকুলতলায় আমরা থাকতাম।’
এর তিনি ‘কাবাডি প্রতিযোগিতায় ময়মনসিংহ ও জামালপুরের খেলা উপভোগ করেন। এ খেলা উপভোগ করতে গিয়ে নিজের বক্তৃতায় বেলেন আমি যেন ঠিক শৈশবেই ফিরে গেলাম। শৈশবের দিনগুলোর কথা আমার ভীষণ মনে পড়ছিল।’ মুহুর্তেই ঝাপসা হয়ে আসলো সেনা প্রধানের চোখ। পরে সেনা প্রধান অ্যাথলেটিক্স ও কাবাডি প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার জিএম সালেহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঘাটাইল ক্যান্টনম্যান্টের জিওসি মেজর জেনারেল সাজ্জাদুল হক, ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক (ডিসি) খলিলুর রহমান, পুলিশের ময়মনসিংহ রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি ড.আক্কাছ উদ্দিন ভূঞা, ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকা, ময়মনসিংহ পৌরসভার মেয়র মো: ইকরামুল হক টিটু, মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি আলহাজ এহতেশামুল আলম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ নূরে আলমসহ ময়মনসিংহ ক্যান্টনম্যান্টের সিনিয়র কর্মকর্তাসহ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।