ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় ৪র্থ শ্রেনীর এক স্কুল ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় এক মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে। পরে ওই স্কুলছাত্রী লোকলজ্জার ভয়ে নিজ বাড়িতেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এঘটনায় মাদ্রাসা শিক্ষক মোবারক হোসেন (২৮) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার ( ৫ মে) বিকেলে ত্রিশাল থানা পুলিশ নিহত ওই কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ মমেক হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, উপজেলা ধানীখোলা ইউনিয়নের গয়সাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেনীর ছাত্রী সোহাগী (১৩) প্রতিদিনের মতো শনিবার (৫ মে) সকাল বেলা স্থানীয় কাওরানবাড়ি ফূরকানিয়া মাদ্রাসায় মক্তবে পড়তে যায়। পরে মাদ্রসা শিক্ষক মোবারক হোসেন (২৮) তার রুমে ঢেকে নিয়ে যায়। এসময় ওই কিশোরীর সঙ্গে ধস্তাধস্তি করতে থাকে। পরে রুমের বাহিরে থাকা সেলিম নামের এক যুবক তাদের ধস্তাধস্তির ঘটনা দেখে ফেলে। তখন খবর পেয়ে এলাকাবাসী গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে।
স্থানীয়রা আরও জানায়, পরে সকাল ১০ টার দিকে সোহাগী বাড়িতে যাওয়ার পর সবার চোখের আড়ালেই নিজ ঘরে গিয়ে গলায় রঁশি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করলে দরজা ভেঙ্গে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে।
ত্রিশাল থানার ওসি তদন্ত ফায়জুর রহমান এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, প্রতিদিনের ন্যায় মাদ্রাসায় পড়তে গেলে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আসামী মোবারক হোসেনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। সে উপজেলার বালিপাড়া এলাকার বাসিন্দা। এঘটনায় নিহত সোহাগীর বাবা নজরুল ইসলাম বাদি হয়ে ত্রিশাল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।