বিল্লাল হোসেন প্রান্তঃ
আগামীকাল ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা মামলার রায় ঘোষনাকে কেন্দ্র করে যেকোন নাশকতা প্রতিহত করতে মাঠে থাকবে ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগ। সকাল থেকেই দলীয় কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের অবস্থান নেয়ার বিষয়ে নির্দশনা দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি দিয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি আলহাজ এহতেশামুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্ত।
এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে একাত্মতা প্রকাশ করে ছাত্রলীগকে মাঠে থাকার ঘোষনা দিয়েছে সদ্য সাবেক পৌর ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ফয়জুর রাজ্জাক উষাণ।
আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা এ মামলায় পলাতক আসামি তারেক রহমানসহ ৪৯ আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড দাবি করে আজ দলীয় কার্যলয়ে বক্তব্য রাখেন।
আওয়ামী লীগের সমাবেশে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় মতিঝিল থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে করা দুই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ সব আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তির আবেদন জানিয়েছে। অপরদিকে খালাসের দাবি জানিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।
পুরান ঢাকার ১ নম্বর অস্থায়ী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নুর উদ্দিন রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে গত ১৮ সেপ্টেম্বর রায় ঘোষণার জন্য ১০ অক্টোবর দিন ধার্য করেন। আলোচিত এ মামলায় ৫১১ জন সাক্ষীর মধ্যে ২২৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। সাফাই সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে আরও ২০ জনের।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদিকা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন দলের তিন শতাধিক নেতাকর্মী।
ঘটনার পরদিন মতিঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফারুক আহমেদ বাদী হয়ে মামলা করেন। পরে রাষ্ট্র পক্ষের আবেদনে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পান সিআইডির পুলিশ সুপার আবদুল কাহ্হার আখন্দ।
তিনি ২০১১ সালের ৩ জুলাই তারেক রহমানসহ ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে মোট ৫২ জনের নামে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি অভিযোগপত্র দেন। জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ,জঙ্গি নেতা মুফতি হান্নান ও জেএমবি সদস্য শহিদুল আলম বিপুলের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় মামলা থেকে তাদের নাম বাদ দেয়া হয়।
ফলে এ মামলায় এখন আসামির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৯ জন। এর মধ্যে তারেক রহমানসহ ১৮ জন পলাতক রয়েছেন। বাকি আসামিদের মধ্যে কারাগারে রয়েছেন ২৩ জন এবং জামিনে ছিলেন ৮ জন। জামিনে থাকা ৮ আসামির জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।