বিল্লাল হোসেন প্রান্তঃ
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হত্যায় জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার দাবি করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। ঠিক তখনি শ্লোগানে ফুঁসে উঠেছে ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগ। তারা কেন্দ্রের সাথে একমত প্রকাশ করেছে ময়মনসিংহ আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয় থেকে। শোকাবহ আগস্টের আলোচনা সভায় ডিজিটাল মাধ্যমে যুক্ত হয় ময়মনসিংহ ছাত্রলীগ।
৩১ আগস্ট বিকালে গণভবনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত আগস্ট আলোচনা সভার অনুষ্ঠানে পজেক্টরের মাধ্যমে নেতাকর্মীদের নিয়ে অংশ নেন ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মোঃ রকিবুল ইসলাম রকিব, সাধারণ সম্পাদক সরকার মোঃ সব্যসাচীর হাজার কর্মীবাহিনী সমেত। এতে যুক্ত ছিলেন, জেলা ছাত্রলীগের অধিন্ত সকল ইউনিটের নেতৃবৃন্দ। ছিলেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য,মাহবুবুর রহমান সোহাগ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ যুগ্ম আহবায় আবুল হোসেন, ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বর্তমান জেলা যুবলীগ সদস্য এবিএম আক্তারুজ্জামান রবিন, জেলা যুবলীগ সদস্য পিন্টু সরকার।
গণভবনে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতার কন্ঠে যখন আগস্টের শোক অগ্নি হয়ে ঝড়ছে। ববঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্য ইতিহাস যখন তুলে ধরছে বক্তারা। ঠিক তখন ময়মনসিংহ ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতাকর্মীর অবয়বে ফুটে উঠেছে অগ্নিমূর্তীর রূপ। দেশরত্ন শেখ হাসিনার মলিন মায়াভরা মুখ তখন প্রতিটি কর্মীর হৃদয়কে ব্যথিত করেছে। পিনপতন নিরবতায় তারা চেয়ে দেখেছে তাদের একমাত্র ভরসার আশ্রয় শেখ হাসিনা আপার নিরব আত্মচিৎকার।
বক্তারা যখন শোকাবহতার উত্তাপে শপথ নিচ্ছেন আর কোন ষড়যন্ত্র হতে দেয়া হবে না জাতির পিতার শেষ রক্তধারা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। ছাত্রলীগের লাখ সেনানিরা তখন শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে ঢাল হতে প্রস্তুত। ময়মনসিংহে শ্লোগান উঠে শেখ হাসিনার ভয় নাই রাজপথ ছাড়ি নাই।
আলোচনা সভায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমপি, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান জয় প্রমুখ।
এরপর সভায় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ৭৫এ বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের হত্যা, হত্যা পরবর্তী সে সময়কার জিয়া জোট সরকারের ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার কার্যক্রম তিনি তুলে ধরেন।