- বিল্লাল হোসেন প্রান্ত ॥
একাদশ সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ সদর আসনে মহাজোটের প্রার্থী বেগম রওশন এরশাদকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যেগে বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বর্ধিত সভায় ২১ ওয়ার্ড নেতৃবৃন্দ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দেয়া প্রার্থীকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
১ ডিসেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় শিববাড়ি আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এ বর্ধিত সভায় বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দ।
বর্ধিত সভায় মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি আলহাজ এহতেশামুল আলম এর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্ত এর পরিচালনায় মহানগর আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হোসাইন জাহাঙ্গীর বাবুর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দ।
সভায় মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি জাহাঙ্গীর আহমেদ মহানগর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, জাতীয় পার্টিকে নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে অনেকে টোপ দিয়েছিলেন, কিন্তু জাতীয় পার্টির কো চেয়ারম্যান বেগম রওশন এরশাদের বলিষ্ঠ ভূমিকার জন্য তা সফল হয়নি। মহাজোট কেউ ছিনিয়ে নিতে পারেনি, মহাজোট অটুট রয়েছে, থাকবে।
তিনি বলেন, আমি ধন্যবাদ জানাই ময়মনসিংহের সিংহ পুরুষ ধর্মমন্ত্রী আলহাজ অধ্যক্ষ মতিউর রহমান স্যারকে। তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা থাকা সত্ত্বেও আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানিয়ে মনোনয়ন পর্যন্ত কিনেন নি। আমরা বিশ্বাস করি মহাজোটে আওয়ামী লীগকে পেয়ে আমরা অনেক অনেক অংশে বলিয়ান। আমাদের বৃহত্তর শক্তির সামনে কোন অপশক্তি মাথা তুলে দাড়াতে পারবে না ইশাআল্লাহ।
ময়মনসিংহে মহাজোটের বিপক্ষে সতন্ত্র প্রার্থী সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি প্রশাসনের কাছে থেকে জানতে পারি জমার দিন বিকাল ৫টার পর। আমাদের নেত্রী বেগম রওশন এরশাদকে বিষয়টি জানালে তিনি দু:খ ভারাক্রান্ত কণ্ঠে বললেন, ‘আমি আওয়ামী লীগকে যে সার্ভিস দিয়েছি এই তার উপহার। কেন আমার বিরুদ্ধে প্রার্থী দাড় করানো হলো।আমিতো কোন বাড়তি আসন চাইনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে বলেছেন, আমি দুইটি আসন নিয়ে নির্বাচন করবো, আপনিও দুইটি আসন নিয়ে নির্বাচন করেন’।
জাহাঙ্গীর আহমেদ বলেন, আরেকটি ডাউট নিয়ে জল্পনা চলছে, ময়মনসিংহ সদর আসনটি অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে। আমরা শুধু এতটুকু বলতে চাই, আমাদের নেত্রী বয়সের শেষ প্রান্তে এত ধন-সম্পদের লোভ আমাদের নাই।
তিনি বলেন, অনেকেই কমিটি বাণিজ্য থেকে শুরু করে মনোনয়ন বাণিজ্য চলছে। আমাদের দলে ও আপনাদের দলে। আমরা ওইসব দিকে লক্ষ্য দিতে চাই না। আমরা শুধু এতটুকু বলতে চাই এর গভীরে অনেক শক্তি রয়েছে। যারা মনোনয়ন বাণিজ্য করতে চান, ময়মনসিংহ সদরের মানুষকে বলি দিতে চান, ষড়যন্ত্র করে ময়মনসিংহের রাজনীতিকদের পদদলিত করে ব্যবসায়ীদেরকে জনগনের সেবক ও শাসক করতে চান। তারাই আজকে ময়মনসিংহ সদরকে নিয়ে চিহিৃত কিছু লোককে নিয়ে রাজনীতিকে কুলশিক করছে।
তিনি বলেন, আমাদের নেত্রী বেগম রওশন এরশাদ গতকাল ১২ টায় আমাকে আমাকে ফোনে জিগ্যেস করেছেন ওনি (সতন্ত্র প্রার্থী) কেন আমার বিরুদ্ধে প্রার্থী হলো। তখন আমি বলেছি, এর জবাব আমার কাছে নাই, আপনি প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জানতে পারেন। উনি নিশ্চয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রির কাছে খবর পাঠিয়েছেন।
ব্যবসায়ীদের কাছে রাজনীতিবিদরা কখনও মাথা নত করবে না, বর্ধিত সভায় এমন ম্যাসেজ দিয়ে তিনি বলেন,বাংলাদেশে দুইধারার রাজনীতির বাইরে কোন সতন্ত্র প্রার্থী রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ করতে পারেনা। তবে সালমান এফ রহমান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি হতেন।
বর্ধিত সভায় প্রধানমন্ত্রীর সকল পদক্ষেপ ও সিদ্ধান্তের প্রতি শতভাগ আস্থা রাখবে বলে জানিয়ে মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি আলহাজ এহতেশামুল আলম বলেন, ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগ মহাজোট প্রার্থীকে যেকোন মুল্যে বিজয়ী করবে ইনশাআল্লাহ।
সভায় ২১ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দসহ বক্তব্য রাখেন, ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগ সহ সভাপতি অধ্যাপক গোলাম ফেরদৌস জিল্লু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর শহীদ উদ্দিন, মাহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আওয়াল সেলিম, মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা প্রার্থ প্রতিম চন্দ্র প্রমুখ।
এতে উপস্থিত ছিলেন ,জেলা আওয়ামী লীগ যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক রেজাউল হাসান বাবু, মহানগর আওয়ামী লীগ সহ সভাপতি এড, আব্দুর রহমান আল হোসাইন তাজ, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক জেসমিন, সদস্য আনোয়ারা খাতুন, জেলা যুবলীগ সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম সারোয়ার, জেলা জাতীয় পার্টির সহ সভাপতি এড. সোহরাব হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ইদ্রিস আলী, কোষাধ্যক্ষ খোকন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, ছাত্র সমাজ নেতা বিল্লাল, মহানগর সভাপতি হাজী হারুন প্রমুখ।