বিল্লাল হোসেন প্রান্তঃ
ময়মনসিংহের সাধারণ মানুষের কাছে দায়িত্বশীল ও জনপ্রিয় একজন পুলিশ হিসাবে সমাদৃত ছিলেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সাবেক ওসি মোঃ আশিকুর রহমান।
তবে মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, ছিনতাইকারীর কাছে ছিলেন আতংকের নাম। সরকারের মাদক বিরোধী জিরো টলারেন্স হান্ড্রেড পার্সেন্ট বাস্তবায়ন করেছেন তিনি। ২৮ অধিক চিহ্নিত,কুখ্যাত মাদক সন্ত্রাসী বন্দুকযুদ্ধে মারা পড়েছে। শতশত মাদক ব্যবসায়ী আইনের আওতায় এসেছে। শতাধিক শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। আত্মগোপনে থাকা তাদের অনেকেই এখনো এলাকায় আসতে পারছেনা।
ময়মনসিংহের সাধারণ জনগণ যাকে পুলিশ হিরো বলেও সম্বোধন করেছে। মাদক, সন্ত্রাসের আন্ডারগ্রাউন্ড রাজত্বে একের পর এক হানা দিয়ে তছনছ করেছেন তাদের অভয়ারণ্য। স্বস্তি ফিরে পেয়েছে অসহায় নাগরীর সমাজ। সে সমাজই তাকে প্রেরনা ও প্রশংসার আসনে বসিয়েছিল। তিনি ছিলেন ময়মনসিংহ জেলার শ্রেষ্ঠ পুলিশ অফিসার। হিরো পুলিশ।
ময়মনসিংহের সেই হিরো পুলিশ আশিক ঠাকুরগাঁওয়ে গিয়েও রয়েছেন আলোচনার শীর্ষে। ঠাকুরগাঁও সদর থানার প্রধান ফটকে একটি ব্যানারে নিরেট সত্য কথা লিখে, তা পালন করে এবার তিনি জেলা ব্যাপী আলোচনার সৃষ্টি করেছেন। যদিওবা তিনি যেটি করেছেন সেটি ব্যাতীক্রম কিছু না। নিয়ম অনুযায়ী এমনটিই হওয়ার কথা। কিন্তু নিয়ম ভাঙ্গা অনিয়মকে নিয়মে আনতে তিনি সরাসরি কাজ করছেন। এটিই ব্যাতীক্রম। এখানেই তিনি ব্যাতীক্রম।
থানার সামনে ব্যানারে লেখা, ‘মামলা ও জিডি করতে টাকা লাগে না। গরীব অসহায়দের জন্য বিনা টাকায় অভিযোগ লিখে দিতে সহযোগিতা করবে পুলিশ। এটা দেখে সাধারণ মানুষ স্বাগত জানিয়েছে
দালালচক্র সচকিত হয়েছে।
ওসি আশিকুর রহমান দালালচক্রের দৌরাত্ম থেকে সাধারণ মানুষ যাতে কোনোভাবে প্রতারণার শিকার না হয় সেজন্য এটি করেছেন। জনসেবায় খুলেছেন বিশেষ সার্ভিস সেন্টার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বদৌলতে ময়মনসিংহে ফের আলোচিত ঠাকুরগাঁওয়ের ওসি আশিকুর রহমান। যিনি ছিলেন ময়ময়সিংহের হিরো পুলিশ।