বিল্লাল হোসেন প্রান্তঃ
ময়মনসিংহের চরাঞ্চল জেলখানর চরে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি পেয়ে তীব্র স্রোতে ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধ পূনঃসংস্কার কাজ শুরু হয়ে গেছে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসীর জন্য একনও ত্রান সহায়তা আসেনি।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকাল থেকে ময়মনসিংহ পানি উন্নয়ন বোর্ড বাঁধ পুনঃসংস্কার সামগ্রি নিয়ে কাজ শুরু করেছে।
ময়মনসিংহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ জহুরুল ইসলাম জানান, জরুরী টেন্ডারে বাঁধ সংস্কারে কাজ চলছে। ৪ হাজার ২৫০ কেজি জিও ব্যাগ প্রাথমিকভাবে বাঁধে ফেলা হচ্ছে। এক্ষেত্রে সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধি, সদর উপজেলা অফিসের প্রতিনিধিরা রয়েছেন কার্যক্রমের সাথে।
ময়মনসিংহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কে এম শফিকুল হক বলেন, এই বাঁধটি ২৩ কিলোমিটার। এর ৩০ মিটার বন্যার পানির তোরে ভেঙ্গে যায়। জরুরী ভিত্তিতে আমরা বাধটি সংস্কারে কাজ করছি।
বাধঁ ভেঙে প্রবল বেগে পানি প্রবেশ করায় তলিয়ে গেছে সদর উপজেলার চর জেলাখানা, চর গোবিন্দপুর, দূর্গাপুর, বারেরচর, চরসিরতা এলাকার কয়েক’শ ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, আমন ধানের বীজতলা ও কয়েকটি মাছের খামার। ঝুঁকিতে রয়েছে আরও বেশ কয়েকটি গ্রাম।
বাধঁ ভেঙ্গে বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় আতঙ্কে রয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার কয়েক হাজার মানুষ। ঘরবাড়ি ছেড়ে খোলা আকাশের নিচে বাধেঁর উপর আশ্রয় নিয়েছে অসংখ্য পরিবার।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসীর জানান, সরকার বাঁধটি দ্রুত সংস্কারে পদক্ষেপ নিয়েছে এ জন্য আমরা খুশি। তবে এখানে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য ত্রানসহ সহায়তা সামগ্রী প্রয়োজন।
বাঁধ ভেঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত জেলখানা চরের আসাদ মিয়া জানান, আমাদের বাড়িঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। পরিবার নিয়ে বাঁধে আশ্রয় নিয়েছি। এখন কাজ কর্মেও যেতে পারছিনা। খাবারে কষ্টে আছি।
তিনি জানান, কারা যেন নাম ঠিকানা লিখে নিয়ে গেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন সহায়তা পায়নি।
এলাকাবাসী জানান, বাধঁ সংস্কার হয়ে গেলে পানি হয়তো আর ঢুকবে না। তবে ঢুকে যাওয়া পানি বেড়িয়ে যাওয়া ব্যবস্থা না করলে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলো দীর্ঘ সময় পর্যন্ত পানি বন্দি থাকবে।