বিল্লাল হোসেন প্রান্তঃ
রাজনীতিতে কথা আছে নেতা হতে হলে কর্মী হতে হয়। নেতা হওয়া সহজ, কিন্তু কর্মী হওয়া কঠিন। একজন দক্ষ, যোগ্য, একনিষ্ঠ, আদর্শিক কর্মী হতে নিস্বার্থ জনপ্রিয়তা অর্জন করা চাই। যেটি বর্তমান রাজনীতিতে হারিয়ে যাচ্ছে। একক স্বার্থ হাসিলে সকলেই মরিয়া। সেদিক থেকে এলাকার সহরাজনৈতিক নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণের কাছে ক্লিন ইমেজের জনপ্রিয় নাম আসাদুজ্জামান রুমেল।
তিনি তার রাজনৈতিক পথচলায় ১৪ নং ওয়ার্ড তথা চরপাড়া এলাকায় সকল স্থরের মানুষের কাছে এককথায় ভালোবাসার পাত্র। তরুণ এই যুবলীগ নেতার সমাজকল্যাণমূলক কর্মকান্ড, দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি ভালোবাসা, আদর্শিক চেতনা, দলের প্রতি একাগ্রতা ও সাংগঠনিক দুরদর্শিতায় ইতিমধ্যে জেলা ব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। তিনি হয়ে উঠেছেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আইকনিক কর্মীবান্ধব নেতা। যিনি তার এলাকার উন্নয়নসহ যেকোন জনকল্যানমূলক কর্মকান্ডে থাকেন সর্বাজ্ঞে।
আওয়ামী লীগের প্রতিশ্রুতি মাদক,সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে তার অবস্থান দৃঢ় যার প্রমান তিনি ইতিপূর্বেই দিয়েছেন। ব্যবসা বা বানিজ্যিক জোন ক্ষেত চরপাড়া এলাকায় চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস বিরোধী সোচ্চার আন্দোলনে আসাদুজ্জামান রুমেলের অবস্থান স্পষ্ট। যেকারণে প্রশাসনের বিভিন্ন স্থরেও রুমেল আলোচনার পাত্র। স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল স্থরের নেতাকর্মীদের সাথে রয়েছে তার আস্থাশীলতার মেলবন্ধন। তার সাথে রয়েছে সকল সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিবিড় সম্পর্ক। যেটি তিনি তৈরি করেছেন তার কর্ম দক্ষতা, কমিটমেন্ট ও কর্মস্পৃহার মাধ্যমে।
আসাদুজ্জামান রুমেল ময়মনসিংহ জেলা যুবলীগের সদস্য হলেও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগে রয়েছে তার উজ্বল আধিপত্য। যার প্রভাব পরিলক্ষিত হয় আওয়ামী লীগের সকল কর্মসূচী ও এজেন্ডা বাস্তবায়নের মাধ্যদিয়ে। জেলা শহরে আওয়ামী লীগে সকল কর্মসূচীতে চরপাড়া তথা আসাদুজ্জামান রুমেলের আয়োজন রীতিমত সাড়া ফেলে ভিন্নতা ও নতুনত্বের মাধ্যমে। জাতীয় শোক দিবস, বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবসসহ আওয়ামী লীগের সকল কর্মসূচীতে চরপাড়ার আয়োজন প্রশংসার দাবি রাখে। যার পেছনে কাজ করে রুমেলের একনিষ্ঠ সাংগঠনির দক্ষতা ও নিবেদিত একঝাঁক কর্মী বাহিনী।
১৪ নং ওয়ার্ডে পদপদবীর নিয়ে নেতৃত্ব প্রতিযোগীতা থাকলেও আসাদুজ্জামান রুমেল সম্পর্কে সকল স্থরের নেতাকর্মীদের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি। কারণ রুমেল ১৪ নং ওয়ার্ডে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর পদপ্রার্থী হয়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা ও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকলেও এলাকার স্বার্থে, সিনিয়র নেতৃবৃন্দের ঐক্যমতে শেষতক নির্বাচন থেকে সড়ে দাড়ান। তার এ সেকরিফাইজ মনোভাব রাজনৈতিক মহলসহ সর্বস্থরে মানুষকে পুলকিত করেছে।
১৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আসন্ন সম্মেলন ১৫ ডিসেম্বর ধার্য করা হয়েছে। সম্মেলন দিন ঠিক হতেই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝে রুমেলকে ঘিরে আলোচনা প্রকোপ হয়ে উঠেছে। তাকে ঘিরে নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা জোরদার হয়েছে। ওয়ার্ড আওয়ামী লীগকে গতিশীল ডায়নামিক নেতৃত্বের কলেবরে আনতে রুমেলকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বের আসনে দেখতে চায় তারা। যেটি ওই এলাকার রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মাঝে সময়ের দাবি বলেই আলোচিত।