বিল্লাল হোসেন প্রান্তঃ
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলা থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) ৪ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মোঃ শরিফ মিয়া (১৮), মোঃ আইয়ুব আলী (২৫), মোঃ নজরুল ইসলাম (৫৫), মোঃ এরশাদ আলী (২৩)। তারা সবাই মুক্তাগাছার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
সোমবার (৩০ মার্চ) বিকেলে র্যাপিড এ্যাকশান ময়মনসিংহ ব্যাটালিয়ন র্যাব-১৪ এর প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। রবিবার (২৯ মার্চ) সকাল ৬ টার দিকে উপজেলার বিন্নাকুড়ি এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব-১৪ এর অধিনায়কের পক্ষে মিডিয়া অফিসার এএসপি মোঃ তৌফিকুল আলম প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, র্যাব-১৪ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদ পায় মুক্তাগাছা উপজেলার বিন্নাকুড়ি দাখিল মাদ্রাসার পাশে পরিত্যক্ত টিনের ঘরের ভিতর কতিপয় নিষিদ্ধ ঘোষিত জেএমবি’র সদস্যরা গোপন বৈঠক করছে। র্যাব অভিযান চালালে উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালানোর সময় তাদের আটক করা হয়।
তিনি আরও জানান, অভিযুক্ত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা বিভিন্ন ইসলামি মুফতি যেমন-জামিলুদ্দীন, জসীমুদ্দীন রাহমানী প্রভৃতি বক্তার বয়ান শুনত এবং এইসব শুনে একটা সময় জিহাদের প্রতি উদ্ভুদ্ধ হয় ও জেএমবি’র সমর্থক হয়ে উঠে। তারা একই চিন্তা-চেতনার অধিকারী হওয়ায় তাদের মধ্যে একে অপরের সাথে অল্প সময়ের মধ্যে সখ্যতা গড়ে উঠে।
আটককৃতরা নিজেদেরকে জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) এর সক্রিয় সদস্য হিসাবে পরিচয় দেয়। নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের জন্য বিভিন্ন কৌশলে কাজ করত এবং সংগঠনের জন্য চাঁদা (ইয়ানত) উত্তোলন করে সংগঠনের তহবিল সংগ্রহে ভূমিকা রাখত। এ ছাড়াও সংগঠনের সক্রিয় সদস্য হিসেবে যে কোন নাশকতামূলক কর্মকান্ডের পরিকল্পনা ছিল তাদের।
এএসপি আরও জানান, তাদের কাছ থেকে ১ টি মোবাইল সেট, ২টি সিম, ৭ টি জিহাদি বই, ১৭ টি লিফলেট, ৫ টি মাসিক পত্রিকা, ১ টি ব্যাগ, ৭ টি মোমবাতি, ৮ টি গ্যাসলাইট, ৪ টি প্লাস্টিকের স্যান্ডেল উদ্ধার করা হয়। এ সময় অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজন দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা থানায় মামলা দায়েরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।