বিল্লাল হোসেন প্রান্তঃ
সেপ্টেম্বর পরবর্তী জেলা পর্যায়ে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সম্মেলন বা নতুন কমিটি প্রদান?নেতা কর্মীদের মাঝে এমন গুঞ্জন চলছে প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল জানিয়েছেন, কেবল দলীয় সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে এটি হতে পারে। তবে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিগুলো এক্ষেত্রে অগ্রধিকার পাবে। জনমত ডট কমকে দেয়া একান্ত স্বাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন, ময়মনসিংহ বিভাগের সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল।
২৯ আগস্ট ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত “জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান” শীর্ষক আলোচনা সভায় যোগ দিতে ময়মনসিংহে আসনে তিনি। রাতে নগরীর সিভার ক্যাসেল হোটেলে এই প্রতিবেদকের সাথে কথা হয় আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদকের।
ময়মনসিংহ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন পূর্ব সাংগঠনিক কার্যক্রমের আওতায় থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিটি করা, বর্ধিত সভা করার কথা বলেন শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল । তিনি বলেন, বিশ্ব মহামারি করোনা দুর্যোগের কারণে এসব কার্যক্রম স্থগিত ছিলো। তবে দুর্যোগকাল দীর্ঘস্থায়ী হলে এরমধ্যেই কার্যক্রম চালাতে হতে পারে বলে ইঙ্গিত করেন তিনি।
সম্মেলন বা নতুন নেতৃত্ব বাছাইয়ে কেমন নেতা সামনে আসতে পারে? প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক নাদেল বলেন, প্রবীণ ও নবীনের সমন্বয়ে কমিটি দেয়া হবে। যাতে করে সাংগঠনিক কার্যক্রম বেগবান হতে পারে।
ছাত্রলীগ, যুবলীগ করে আওয়ামী লীগে এসে অনেকে ছিটকে পড়ছে, হঠাৎ কেউ ডুকে ধারাবাহিকতায় ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। এতে তৃণমূলে যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে এ সম্পর্কে আপনার দৃষ্টিকোন কি? প্রশ্নের উত্তরে শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেন, একটি জেলা কমিটি করতে গেলে সম্মেলনের মাধ্যমে সেখানকার তৃণমূল কাউন্সিলরের রায় নিতে হয়। সে রায় সাংগঠনিক নিয়মে সাধারণ সম্পাদক হয়ে দলের সভাপতির কাছে যায়। সাধারণত এভাবেই নেতৃত্ব বাছাই হয়। তবে দলের নিবেদীত ত্যাগী নেতাদের প্রতি তৃণমূলের মতামতকে সিনিয়রদের কাছে পৌছানোও আমাদের দায়িত্ব।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল আরও বলেন, আমারা অবশ্যই চাইবো,প্রবীণ নেতা যারা আছেন, যারা কোন জায়গা পান নাই, তাদেরকে জায়গা করে দেয়া। তাদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানো। এক্ষেত্রে দলে আবদান রাখা নবীন নেতৃত্বকেও জায়গা করে দিতে হবে। নবীণ- প্রবীনের সমন্বয়ে কমিটি হলে তা পূর্নতা পায়।